ছড়াগুচ্ছ
অর্ঘ্য ঘোষ
সনাতনের চাঁদে পাড়ি
সংসার ছেড়ে শেষে
সনাতন সাধু বেশে
চাঁদে বুঝি দেবে পাড়ি।
ভাবে বসে মনে মনে
চাঁদে যেতে কতক্ষণে
ছাড়ে কোন রেলগাড়ি।
ঘুম ভেঙে দেখে চেয়ে
চাঁদে নয় , আছে শুয়ে
মা'র কোলে মাথা রেখে।
হয় নাকো সাজা সাধু
কারা যেন সব যাদু
গ্যাছে রেখে কোথা ঢেকে।
---০---
হরিশ মালির কাব্য
সকাল থেকে লিখছে বসে ,
কলম দিয়ে জোরসে কসে।
সাধ জেগেছে ছড়িয়ে কালি
হবেই কবি হরিশ মালি।
দেখছে লোকে আসতে যেতে।
কাব্যে হরিশ শুধুই মেতে।
মালির দশায় বসে মশা ,
ছোটায় যে তার কাব্য নেশা।
কাব্য নেশায় হরিশ মালি।
হাড়মাসটা করল কালি।
----০----
আবুলের কাবুল যাত্রা
করে খর্চা
গাঁট গর্চা।
খেয়ে খাজা
হয়ে তাজা।
সেখ আবুল
যায় কাবুল।
দিয়ে প্রাণ
গায় গান।
ঝড়ে ঝাম
পায় নাম।
জান কবুল
করে আবুল।
----০----
ছটফটে ছেলে
ছটফটে ছেলে তার পটপটে কথা।
খটখটে চেহারাতে ইয়া বড়ো মাথা।
খায় দায় কাজ নাই , টো টো করে ঘোরে।
দুপ-দাপ গাছে চড়ে ধুপধাপ পড়ে।
বইখাতা বগলেতে ইস্কুলে যায় ,
পড়াশোনা করে নাকো শুধু মার খায়।
----০----
কাশিবাবুর কাশি
কাশীপুরের কাশিবাবু।
কেশে কেশে হলেন কাবু।
যেতে কাশি আসতে কাশি ,
কাশি তো নয় , বাজছে বাঁশি।
ডাক্তারে আর পারে নাকো ,
কাশিও তাই সারে নাকো।
কেশে কেশে অবশেষে ,
দিলেন পাড়ি কাশির দেশে।
---০---
দাদুর গল্প
নাকের ডগায় চশমা লাগায় , দাদু পড়েন রামায়ণ ।
ভরাট স্বরে বলেন দাদু , আয় তোরা সব গল্প শোন।
দশরথের ছিল নাকি দশ-দশটা সুসজ্জিত রথ ,
সাগর নাকি রামকে দেখে ছেড়েছিল পথ।
গুহায় তখন সুখেই নাকি থাকত গুহক মিতা।
মাটির মাঝে জন্ম নাকি নিয়েছিল সীতা।
সেই রামায়ণ আজও আছে , হারিয়ে গ্যাছে গল্প শোনার মন।
দাদুর সাথেই অনাদরে পড়ে আছে কালের রামায়ণ।
------০-----
বাসের ভিড়ে
আরে মশাই করেনটা কি , হলোটা কি বলুন ?
হয়েছে কি পিকপকেট , তাহলে পুলিশেতে চলুন।
আরে না- না পিকপকেট না ,
ফুটোই আমার পকেটখানা।
হারিয়েছে জুতোখানা আসুন দেখি একটুখানি খুঁজুন।
No comments:
Post a Comment