আসুন পাশে দাঁড়ায়
( শয্যাশায়ী বিজয়বাবু )
অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে রয়েছেন হতদরিদ্র দুটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।এরফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ওই দুই পরিবার। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। হারিয়ে গিয়েছে রাতের ঘুম। অথচ তাদের পাশে নেই কেউ। তাদেরই একজন হলেন বিজয়দাস বসাক। সাঁইথিয়ার সূর্যসেন পল্লীতে তার অভাবের সংসার। এতদিন তাতের কাজ করে কোন রকমে জোড়াতালি দিয়ে চলে যেত তার ৪ সদস্যের সংসার।
কিন্তু মাস ছয়েক আগে আচমকা তার নার্ভের অসুখ ধরা পড়ে। বাঙ্গুর হাসপাতালে তাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বরং সেখানকার চিকিৎসকেরা পরীক্ষা পরামর্শ দিয়েছেন , সুস্থতা না ফেরা পর্যন্ত নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চালিয়ে যেতে হবে। সব মিলিয়ে দৈনিক খরচ প্রায় ৫০০ টাকা। ওই কথা শোনার পরই আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারের মাথায়। কারণ চিকিৎসা করানো দুরের কথা দুবেলা দুমুঠো ভাতেরই সংস্থান নেই পরিবারের।
তাই পরিবারের মুখে আহার যোগাতে স্কুল ছেড়ে হতদরিদ্র ওই তাঁতশিল্পীর বড়ছেলেকে ১১ বছর বয়সেই চায়ের দোকানে বয়ের কাজ নিতে হয়েছে। অক্ষমতার গ্লানি কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে বাবাকে। তিনি জানান, এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াও অনেক ভালো ছিল। শারিরিক যন্ত্রনার চাইতেও ওইটুকু একটা ছেলের কামাই খেতে কোন বাবা চায় ? আমি কি আর কোনদিনই শারিরিক সুস্থতা ফিরে পাব না ?
( শয্যাশায়ী বুদ্ধদেব ভাণ্ডারী )
চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন অপারেশান সহ চিকিৎসার খরচ পড়বে ২ লক্ষ টাকা। তারপরই যেন আকাশ ভেঙে পড়ে তার পরিবারেরও মাথায়। সাঁইথিয়ার মুড়াডিহি কলোনীতে তারও অভাবের সংসার। এতদিন কমিশনে অন্যের সেলুনে চুল দাড়ি কেটে কোন রকমে তার সংসার চলত। কিন্তু বর্তমানে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে থাকায় সেই আয়ও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই কি করেই বা পেটের ভাত জুটবে , কি করেই বা নিজের চিকিৎসা হবে তা জানেন না বুদ্ধদেববাবু। তিনি জানান, দু লক্ষ টাকা তো স্বপ্নের ব্যাপার, আজ বাদ কাল কি করে যে একমাত্র ছোট্ট মেয়েটার মুখে দুবেলা দুমুঠো ভাত জুটবে তারই ঠিক নেই।
No comments:
Post a Comment