কবিতা গুচ্ছ --১৯

    কবিতা গুচ্ছ

              

     

      অর্ঘ্য ঘোষ

     যাওয়া আগে

যেতে হবে যখন তখন বেলাবেলি যাওয়াই ভালো ।
তা বলে ভেব নাকো ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দিয়ে যাব।
ইচ্ছে খুশি গোল দিয়ে বাহবা কুড়িয়ে নেবে।
দুনিয়ার সব বেইমানির জারিজুরি ঘোচাতে
জঠরে জঠরে অগনিত ভ্রুনের জন্ম দিয়ে যাব।
প্রতি হাতে দিয়ে যাব কালের মোহন বাঁশি।
সাধ্য আছে বলে সাত মন তেল পুড়িয়ে
তোমরা কি একাই নাচাবে রাধা ?
বাকিরা শুধু দেখেই যাবে লাগ ভেলকির খেল ?
হাতিয়ার হাতিয়েছো বলেই ভেবে নাকো
শেষ পেরেকটাও তোমারই পুঁতবে।
তার আগেই কালের কফিনে
লিখে রেখে যাব বাঁচার শ্লোগান।

      ----০----

      দিন বদলের গান

সুরার পেয়ালা হাতে আজ এই মধু রাতে।
অশ্রু কেন গো সাকী তোমার আঁখি পাতে।।
মুখ ঢাকা মুখোশের এই দুনিয়ায়
রাত কাটে হাসি ঢাকা কান্নায়।
সর্বগ্রাসী খিদেয় পুড়েছো তো বার বার।
কেউ কি দিয়েছে কখনো নায্য দাম তার ?
অন্তরে আর্ত হাহাকার , হাসি তবু ফুটিয়েছো মুখে।
বিঁধেছে বঞ্চনার কাঁটা অভিমানী বুকে।
রাত শেষ হয়ে  তোমার জীবনে আসে নি ভোর।
ক্লান্তি অবসাদে বিষাদ প্রতিমা তুমি প্রিয়া মোর।
আর নয় এবার উল্টো পাশায় আমারাই নেব দান।
হাতে হাত রেখে গাইব দিন বদলের গান।

     ----০----    

     রক্তে ভেজা রুমাল

তোমার দুগাল ভর্তি ব্রণ

তুমি বলো ওতে নাকি ভাত বেরোয়।

আমি জানি ভাতের সংগে রক্তও বেরোয়।

ভাতের সংগে রক্তের সহাবস্থান আবহমান কালের।

আমি ক্ষুধার্ত , তবু খেতে গিয়েও পারি না।

আমার সাধনা কাপালিকের নয়।

যদি শত্রুর সাধনায়

পায়ে পায়ে

পৃথিবীর উঠোন পেরিয়ে সরে যায় রোদ

তবু জেনো পৃথিবীর পথে

একদিন আমারই ওড়াব

দূষিত রক্তে ভেজা লাল রুমাল।

    -----০-----