Short story, Features story,Novel,Poems,Pictures and social activities in Bengali language presented by Arghya Ghosh

খেলার সেকাল একাল -- ৪




আছে শুধু খেলার নষ্টালজিক সুখ 


                       অর্ঘ্য ঘোষ 


মূলত শীতের মরসুমে ভলিবল খেলার চল রয়েছে এ জেলায়। বোলপুরের নেতাজি ক্লাব ,  বোলপুর টাউন ক্লাব , সুপুরের  মেঘদুত ক্লাব , সিউড়ির জোনাকি ক্লাব , রেডরোজ প্রভৃতি ক্লাবে ভলিবলের চর্চা রয়েছে।তার মধ্যে রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর হাইস্কুল ,  ময়ূরেশ্বরের চন্দ্রপুর , বোলপুরের নেতাজি ক্লাব , বিষ্ণুবাটি প্রভৃতি স্থানে মহিলাদের ভালো ভলিবলের দল রয়েছে। ভলিবলে এ জেলায় চিত্ত চক্রবর্তী , সন্তোষ দাস , সালাউদ্দিন , অখিল ঘোষ , প্রশান্ত বসু , বিশ্বনাথ গুঁই , শান্তি রানা , নিতাই সরকার , রাধা ঘোষ , অঞ্জনা গড়াই , মনিকা গড়াই , সুলতা মণ্ডল , বিশ্বরূপ দত্ত প্রমুখেরা উল্লেখযোগ্য নাম। 


            
                        বর্তমানে কবাডি খেলার চর্চার ধারাটি ক্ষীণ হয়ে গেলেও একসময় বাতাসপুরের সাদেক সেখ , কনুটিয়ার মালেক সেখ , জাহাঙ্গির সেখ , সেখ সাদ আলি , আদিরাপাড়ার মোতিউর রহমান , দেবরাগ্রামের আলাউদ্দিন সেখ , কামাল সেখ , মারগ্রামের নাসির সেখ , ইমার সেখ , গুলাম কিবরিয়া , মণ্ডলপুরের মিহির ভান্ডারী্‌ , লোহাপুরের কাজির সেখ , বোলপুরের আব্দুল সেখ , ডাঙ্গাপাড়ার উত্তম দে , বেজার তরুণ বাগদি , তিলডাঙ্গার যাদব ভাণ্ডারী , স্বপন ভল্লা প্রমুখেরা সুনাম অর্জন করেছিলেন।


  
                                     গ্রামের অলিগলি থেকে শহরের রাজপথে বর্তমানে ক্রিকেটের যে হারে দাপাদাপি বেড়েছে , সেই  হারে রাজ্য কিম্বা জাতীয় স্তরে প্রতিনিধিত্ব করার মতো ক্রিকেটার বাড়ে নি।সিউড়ির অঞ্জনাভ সাহা , সাঁইথিয়ার শুভজিৎ দাসের মতো হাতে গোনা কয়েকজন বাংলা দলে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছে। একসময় প্রবাল ঘোষ , শান্তনু ঘোষ , আব্দুল মোনায়েম , বিলে সরকার প্রমুখেরা সুনাম অর্জন করেছেন। ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ারিং-এ জেলার গৌরব বৃদ্ধি করেছেন বোলপুরের প্রেমদীপ চট্টোপাধ্যায়।রঞ্জি ট্রফি , আই , পি , এল সহ বহু খেলা তিনি দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন। এখন বরুণ মণ্ডল , সঞ্জয় সিনহা , মিঠু চক্রবর্তী , বাপ্পাদিত্য রায় প্রমুখেরা জেলায় ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করছেন। 


                            এ জেলায় হকি খেলায় তেমন একটা চল নেই বললেই চলে। একসময় সিউড়ির বিলাসবিহারী দাস ওই খেলায় সুনাম অর্জন করেন।ব্যাডমিন্টন এবং টেনিস খেলারও তেমন চল নেই। সিউড়ির রেডরোজ এবং লিজ ক্লাবে ব্যাডমিন্টন খেলার চর্চা ছিল। বোলপুর বিশ্বভারতী , রামপুরহাট রেলওয়ে ক্লাব , সিউড়ির লিজ ক্লাবে লন টেনিস খেলা হত। ব্যাডমিন্টন খেলায় সুশীল ঘোষ , ধীরেন্দ্রনাথ মুখার্জি , দেবী মজুমদার , অমিতাভ সাহা , পৃথ্বিশ ঘোষ এবং লন টেনিস খেলায় কাজল মিত্র , অরুণ সেন , ধীরেন মিত্র , বিদ্যুৎ চৌধুরী , আব্দুল রেকিব , গুলুরাজ , সুশীল ঘোষ , শিশির পৈতন্ডী , ধীরেন্দ্রনাথ মুখার্জি , আদ্যনাথ চ্যাটার্জি , কল্যাণ দাস , পৃথ্বিশ দে , হেম মুখার্জি , সমর সান্যাল , মলয় মজুমদার প্রমুখেরা খ্যাতিমান হয়েছিলেন। 


                                               
                                             অ্যাথলেটিক্সে আন্তঃজেলা , আন্তঃরাজ্য স্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জেলার গৌরব বৃদ্ধি করেছেন দুলাল কাহার , আবদুল হাসিম , আমির আলি , আবদুল রহিম , আবদুল মান্নান চৌধুরী , রথীন মাল , গৌরাঙ্গ কর , লক্ষ্মী মণ্ডল , শুভেন্দু রায় , গৌতম সাহা , অসীমা দাস , জাহিরা খাতুন প্রমুখেরা।ন্যাশনাল প্যারা অলিম্পিক সুইমিং ফেডারেশন অফ ইণ্ডিয়া আয়োজিত ১১ তম সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে সোনা এবং রূপোর পদক জিতেছে নলহাটির কুসুমজলির প্রতিবন্ধী মেয়ে অর্চনা হেমব্রম।জাতীয় তিরন্দাজি প্রতিযোগিতায় সাঁইথিয়ার বাগডোলার লক্ষ্মণ হেমব্রম সোনা জিতেছেন। ওই প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্চ পদক জয় করেছে লাভপুরের কুঁচলি গ্রামের রাজকুমার দাস। লক্ষ্মণ মহম্মদবাজারের হেরুকা হাজি সুলেমান উচ্চ বিদ্যালয় এবং রাজকুমার লাভপুরের কুরুম্বা মুকুন্দলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। পঞ্চায়েত যুব ক্রীড়া আউর খেল ( পাইকা ) অভিযান আয়োজিত জাতীয় অ্যাথলেটিক মিটে রিলে দৌড়ে বাংলা দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে সোনা জিতেছে বোলপুর বাঁধগোড়া কালীকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের ছাত্র বোলপুরেরই তাতার কলোনীর জয় সরকার। রাজ্য মাদ্রাসা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত চতুর্থ বর্ষ আন্তঃ জেলা মাদ্রাসা গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস মিটে জাভলিন থ্রো এবং শটপাটে প্রথম হয়ে দুটি স্বর্ণ পদক জয় করে ভোলাগড়িয়ার সিরাজুল ইসলাম। ওই প্রতিযোগিতায় ১৫০০ মিটার দৌড়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রৌপ্য পদক জিতেছে সাকিরা খাতুন। দুজনেই পাঁড়ুয়ের ভোলাগড়িয়া আহমেদিয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী। 
      

                     ( ক্রমশ )            

                     


         নজর রাখুন / সঙ্গে থাকুন 



    


                      --------০--------
                                                                                 
                                             
     

No comments:

Post a Comment