Short story, Features story,Novel,Poems,Pictures and social activities in Bengali language presented by Arghya Ghosh

খেলার সেকাল একাল -- ৩

                              


   আছে শুধু খেলার নষ্টালজিক সুখ 

                           অর্ঘ্য ঘোষ 


অথচ এমন হতাশাময় ছিল না আমদের দিন। জেলার গণ্ডী ছাড়িয়ে ফুটবলার হিসাবে খ্যাতিমান হয়েছিলেন বীরভূমেরই বহু খেলোয়াড়।তাঁদের অন্যতম হলেন শ্যামা অধিকারী , গঙ্গা সাউ , রমেন চৌধুরী , রণেন্দ্রনাথ চৌধুরী , সুশীল মিত্র , ধীরেন সেন , নীহার দত্ত , সুশ্রুত বক্সি , অমিয় ব্যান্যার্জি , জোতির্ময় দাশগুপ্ত , রাখাল বিশ্বাস , অধর দাস , শিবু দত্ত , নরেশ চক্রবর্তী , শম্ভু চ্যাটার্জি , বীরেন সেন , পঙ্কজ দত্ত , সরোজ দত্ত , আমির আলি , মহঃ সফি , চিত্ত চক্রবর্তী , সন্তোষ দাস , তারক হালদার , মিতু মুখার্জী , মধু দত্ত , অনিল মুখার্জী , তড়িৎ মুখার্জী , অনাদি চক্রবর্তী , পরিমল লোধ , যদু মুখার্জী , মানস চক্রবর্তী , বিদেশ মিত্র , সমীর ব্যানার্জি , পুলক বিশ্বাস , গৌরাঙ্গ কর , গোপাল রায় , সোমেন মিত্র , আশিস মিত্র , শেখর চক্রবর্তী , সুশীল দাস , সুবল মিত্র , অজয় দাস , সোমনাথ চ্যাটার্জী , অলোক ব্যানার্জি ,তারা দে , নন্তু মিত্র , ফড়িং দাস , শিশির সরকার , আবুল হাসনাত , ভাস্কর লোধ , গৌরীশঙ্কর মণ্ডল , অমিতাভ সাহা , সদানন্দ নায়েক , মলয় সেন , সন্দীপ সিংহ , অঞ্জন দাস , দীপক হাজরা , চাঁদ ভুঁইমালি , সারথি ভৌমিক প্রমুখ।জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক তথা প্রশিক্ষক প্রদীপকুমার ব্যানার্জিও পাঁচের দশকে সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের ফুটবল দলে অধিনায়কত্ব করেছেন। 


                            দীর্ঘদিন ধরে রেফারিং তথা ফুটবল খেলা পরিচালনা করে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন সুধীর মুখার্জি , শ্যাম অধিকারী , খোকন চৌধুরী প্রমুখেরা।বর্তমানে ওই দায়িত্ব পালন করে চলেছেন স্মৃতিময় চ্যাটার্জি , অনিরুদ্ধ রায়, শুভাশিস দেবাংশী , প্রভাত দাস , গৌতম সাহা , বিশ্বজিৎ সরকার , দেবব্রত চ্যাটার্জি , মনোতোষ সরকার , অশোক কৈবর্ত , শৌভিক ব্যানার্জি , বিজয় কুমার সাউ , মহঃ মুস্তাফা , কাজি মুস্তাফা প্রমুখেরা।গ্রামাঞ্চলে বর্তমানে ফুটবল খেলায় উৎসাহ হারাচ্ছে ' জেনারেল কাস্টের' ছেলেরা। গ্রামগঞ্জে মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত ছেলেরাই ফুটবল খেলা ধরে রেখেছে। কিন্তু সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্বের অভাবে ফুটবল খেলার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটছে না।আদিবাসীরাও একটি স্তর পর্যন্ত গিয়ে খেলা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। একদিকে সরকারি আনুকুল্যের অভাব অন্যদিকে ক্ষুন্নিবৃত্তির তাগিদ তাদের খেলার মাঠ থেকে টেনে নিচ্ছে চাষের মাঠে। খে লা ছেড়ে তারা দিনমজুরী শুরু করছে।খেলা ধরে রাখলেও আদিবাসীদের সরকারি স্বীকৃতি প্রাপ্ত  ক্লাব কিম্বা কোন সংস্থা নেই বললেই চলে।তাই সরকারি কৃপা-করুণাও তাদের ভাগ্যে কমই জোটে।দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী এবং প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের নিয়ে ফুটবল এবং সাঁতার সহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন নলহাটির ইভেন গাঁওতার কর্ণধার তথা রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর জেলা সম্পাদক মহঃ বদরুদ্দোজা সেখ।তারই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বেশ কিছু ফুটবলার কলকাতার নামী দলে খেলার সুযোগ পেয়েছে। বেশ কিছু প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়ে তার কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সোনা ,রূপো এবং ব্রোঞ্চের পদক জিতেছে। 


                               ফুটবলের পাশাপাশি ভলিবল , ক্রিকেট , অ্যাথলেটিক , ব্যাডমিন্টন , এবং সাঁতারের চর্চা রয়েছে বীরভূম জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং অধীনস্থ তিন মহকুমা ক্রীড়া সংস্থায়।বোলপুরের সাইয়ে রয়েছে তিরন্দাজি , বাস্কেটবলের চর্চা।কবাডি খেলার দায়িত্বে রয়েছে সাঁইথিয়ার জেলা কবাডি অ্যাসোসিয়েশন।১৯৪১ সালে বীরভূম জেলা ক্রীড়া সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।একই সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় রামপুরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা।১৯৮০-৮১ সালে আত্মপ্রকাশ ঘটে বোলপুর এবং সিউড়ি মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার।১৯৪৯ সালে হেতমপুরের রাজকুমার সুরঞ্জন চক্রবর্তীর পক্ষে তাঁর মা জ্যোস্নাময়ী দেবী খেলার মাঠের জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ২ একর ১০ শতক জায়গা দান করেন।ওই জায়গার দলিল গ্রহীতা ছিলেন তদানীন্তন জেলাশাসক তথা পদাধিকার বলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি বিনয়লাল ঘোষ।সেই মাঠই বর্তমানে ডি,এস,এ বা জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠ হিসাবে পরিচিত।১৯৭৭ সালে রামপুরহাট পুরসভা রামপুরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থাকে খেলার মাঠের জন্য ২ একর ৫৪ শতক জায়গা দান করে।ওই জায়গার দলিল গ্রহীতা ছিলেন তৎকালীন মহকুমা শাসক তথা পদাধিকার বলে ওই ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি সুখবিলাস বর্মা।বোলপুর এবং  সিউড়ি মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার এখনও পর্যন্ত নিজস্ব কোন মাঠ নেই।১৯৫৯-৬০ খ্রিস্টাব্দে বীরভূম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক হিসাবে খগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে ওই পদে রয়েছেন বিদ্যাসাগর সাউ।বোলপুর এবং সিউড়ি মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার প্রথম সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে অজয় ঘোষ এবং অশোক ধর।তাপস দে এবং রাইহান ইকবাল বর্তমানে তাদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।রামপুরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান সম্পাদক রয়েছেন সুশান্ত ব্যানার্জি।১৯৫৭ সাল হেমগোপাল মুখার্জি ওই পদে আসীন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।                         

                               ( ক্রমশ )            

                     


         নজর রাখুন / সঙ্গে থাকুন 



    


                      --------০--------
                                                                                 
                                             
     

No comments:

Post a Comment