ফরমায়েশি গানে জাত
হারাচ্ছে ভাদু
অর্ঘ্য ঘোষ
ফরমায়েশি গান কেড়ে নিচ্ছে ভাদুর প্রাণ । নিজস্ব
ঘরানা হারিয়ে ভাদুর গান এখন কার্যত হয়ে উঠেছে প্রচারের হাতিয়ার । রাজনৈতিক দল থেকে
শুরু করে সরকারি প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে ভাদুর গান।পেটের দায়ে ফরমায়েশি গানকেই
প্রাধান্য দিতে বাধ্য হচ্ছেন শিল্পীরা । তাতে পেট হয়তো কিছুটা ভরছে , কিন্তু মন
ভরচ্ছে না তাদের ।
প্রসঙ্গত , ভাদু গানের উৎপত্তি নিয়ে নানা মুনির নানা মত প্রচলিত রয়েছে ।
একাংশের মতে , পুরুলিয়ার কাশীপুরের পঞ্চকোটের রাজা নীলমণি সিংহ দেবের আদরের কন্যার
নাম ছিল ভদ্রেশ্বরী ওরফে ভাদু । ভাদুর বিয়ের ঠিক হয় বর্ধমানের রাজকুমারের সঙ্গে ।
বিয়ে করতে আসার পথে চৌপাহাড়ি জঙ্গলে ডাকাত দলের কবলে পড়ে তার মৃত্যু হয় । সেই খবর
পুরুলিয়ার রাজবাড়িতে পৌঁচ্ছানোর পর আত্মহত্যা করে ভাদু । মতান্তরে বিয়ে করতে আসার
পথে বজ্রাঘাতে রাজকুমারের মৃত্যু হয় । ওই রাজকুমারের সঙ্গে সহমরণে যান ভাদু। সহমরণের আগে পরিবারের লোকেরা নাকি তাকে নববধুর সাজে সাজিয়ে দিয়েছিলেন । এজন্য কোথাও
কোথাও ভাদুর সিঁথিতে দেওয়ার রেওয়াজও প্রচলিত রয়েছে । ভাদুর স্মৃতিকে অক্ষয় করে রাখতে সেই থেকে ওই
রাজ্যে শুরু হয় ভাদু উৎসব ।
একসময় মুলত মহিলাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ওই উৎসব। মহিলারাই ভাদুর মুর্তি
গড়ে মুখে মুখে গান রচনা করে নাচ-গানের মাধ্যমে সারা ভাদ্র মাস ওই উৎসব পালন করতেন
। গানের মূল উপজীব্য বিষয়ই ছিল ভাদুর জন্ম , মৃত্যু এবং বিবাহ। কার্যত ভাদুর বন্দনাগীতিই ছিল উৎসবের প্রধান লক্ষ্য । ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির
দিনে পুজোর শেষে ভাদু মূর্তি বিসর্জনের পর ভাদু উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটত ।
সেই নিজস্বতা আজ আর নেই । ভাদুকে স্মরণের উপলক্ষ্যে একদা যে উৎসবের সূচনা হয়েছিল
তা এখন শুধুই জীবিকা অর্জণের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে । চাষ শেষ হয়ে যাওয়ায় ভাদ্র
মাসে সাধারণত খেটে খাওয়া মানুষজনের কাজ থাকে না। তাই মূলত খেটে খাওয়া মানুষেরাই দল
খুলে ভাদ্রমাসে গ্রামে গ্রামে ভাদু গানের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করে থাকেন ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাদুগানের মূল ভাবাধারা থেকে সরে এসে ওইসব শিল্পীরা স্থানীয়
স্তরে গ্রহণযোগ্যতার লক্ষ্যে সময়কালীণ বিষয়বস্তুকে নিয়ে গান বাঁধেন । চটুল সুরে পরিবেশিত ওইসব গান । এরফলে বর্তমান
প্রজন্মের কাছে অজানাই থেকে যায় ভাদু গানের অর্ন্তনিহিত অর্থ । একসময় ভাদু
শিল্পীদের গাইতে শোনা গিয়েছে – ‘ বনের মাঝে রাজকুমারের ঘটিল প্রাণ হানি / রাজকুমার
গেল ওগো চিতার আগুনি / সেই আগুনে আমার ভাদুমনি / হলো ওগো অনুগামিনী / । কখনও বা
গেয়েছেন – ‘অনাদরে শুকায়ে গেল ভাদুর গাঁথা মালা / তবু তো হায় এলো না শ্যাম চিকনকালা
/’ পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীরা গাইছেন – ভাদুর
আমার চোখে চশমা , হাতে ঘড়ি / ভাদু চলে নাগরের হাতটি ধরি / দু’জনে ভাদু চলে সিনেমাতে
ওই / পাশাপাশি বসে তারা দেখবে লারেলাপ্পা বই /’ । বলাবাহুল্য এই গানের ভিতর থেকে ভাদুগানের
অর্ন্তনিহিত অর্থ উদ্ধার করাই দুরহ ব্যাপার । ধারাবাহিকভাবে এমনটা চলতে থাকলে ভাদুগানের
ঘরানাটাই হারিয়ে যাবে বলে লোকসংস্কৃতির গবেষকদের আশংকা ।
দুঃস্থ ভাদু শিল্পীরা না হয় পেটের তাগিদে সস্তা জনপ্রিয়তার লক্ষ্যে ওই ধরণের গান
পরিবেশন করে চলেছেন ঠিকই কিন্তু সরকার, রাজনৈতিক দলগুলিও তাদের সেই পথেই ঠেলে
দিচ্ছি বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে । রাজনৈতিক দলের প্রচার থেকে বিভিন্ন
সরকারি প্রকল্পের প্রচারে ফরমায়েশ দিয়ে লেখানো হচ্ছে গান । অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওইসব
গানে ভাদুর বিষয়টি পুরোপুরি উপেক্ষিত থাকে । ভাদুকে সামনে রেখে শিল্পীরা পরিবেশন
করেন ফরমায়শি গান । কখনও ওইসব শিল্পীদের মুখে শোনা যায় – ‘ হাতে স্লেট , বগলেতে বই
/ ভাদু চলে স্বাক্ষরতা কেন্দ্রে ওই/। কখনও বা গেয়ে ওঠেন কন্যাশ্রী , সবুজসাথী , যুবশ্রী
সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প কিম্বা রাজনৈতিক দলের প্রচারমূলক গান । শুধু গানেই নয় , এসেছে আঙ্গিকেও
পরিবর্তন । আগে ভাদুদলে পুরুষেরাই মহিলা সেজে নাচগান করতেন । এখন মহিলারাও অংশ নিচ্ছেন।অন্যান্য প্রতিমার মতোই ভাদ্রের শেষে বিসোর্জন দেওয়া হত ভাদুমূর্তির
। এখন সারা বছরই বিভিন্ন প্রচারমূলক কাজে ভাদুগানকে ব্যবহার করা হয় । তাই এখন আর ভাদু মূর্তি বিসোর্জন হয় না । বছরের পর বছর থেকেই যায় শিল্পীদের বাড়িতে । তাই শুধু আর ভাদ্রে নয়, সারা বছরই
ভাদুর দেখা মেলে নানা প্রচার অভিযানে ।
ভাদুগানের
এ হেন বিবর্তন অনেক শিল্পীই মন থেকে মেনে নিতে পারেন না । তবু তারা ফরমায়েশি গান
লেখেন , পরিবেশনও করেন। নাহলে সরকারি প্রোগামে ডাক মেলে না। সরকার তো আর
ভাদুগানের সংরক্ষণের সেই রকম কিছু করে না – অনুযোগ শিল্পীদের। তবে এই অবক্ষয়ের
মাঝেই বীরভূমের লাভপুরের বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী , সাঁইথিয়ার সপ্তপ্রদীপ সংস্কৃতি
সোসাইটির মতো বেশ কিছু সংস্থা মূল ঘরানার ভাদু গানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চলেছে
। না হলে হয়তো বিস্মৃতির অতলে কবেই তলিয়ে যেত জনপ্রিয় ওই লোকসংস্কৃতির মূল ভাবধারাটি ।
---0---
ভাজুই ব্রত ও কিছু ধারনা
অর্ঘ্য ঘোষ
বীজ সংরক্ষণ, সংশোধন সর্বোপরি কৃষিতে এসেছে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার। ধারাবাহিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্র দখল করে নিয়েছে উন্নত প্রজাতির উচ্চ ফলনশীল বীজ। তবু আজও গ্রামে গ্রামে শস্য বীজের মান পরীক্ষার ব্রত পালিত হচ্ছে। ব্রতটির নাম ভাঁজো বা ভাজুই ব্রত।গ্রামাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই ওই ব্রত পালনের চল রয়েছে। মুলত তথাকথিত অন্ত্যজ সম্প্রদায়ের মেয়েরাই ওই ব্রত পালন করে থাকে। শস্য কামনায় ওই ব্রত করা হয় বলে ভাজুইকে শশপাতার ব্রতও বলা হয়। শস অর্থে শস্য আর পাতা অর্থে বিছানো।পাত্রে শস্য বিছিয়ে অঙ্কুরোদ্গম ঘটানোই ওই ব্রতের আসল লক্ষ্য।
ভাদ্র মাসের শুক্লা দ্বাদশী তিথিতে ইন্দধ্বজ উৎসব বা ইন্দপুজোর পরদিন হয় ভাজু ব্রতের সূচনা।সেই হিসাবে ইন্দ্রধ্বজ বা ইন্দপুজোর পরিবর্তনের সংগে ভাজুব্রতেরও সময়কালের হেরফের হয়। সাধারণত বাচ্ছা মেয়েরাই ওই ব্রত পালন করে থাকে। তবে কোথাও কোথাও বিবাহিত মেয়েদের মধ্যেও ওই ব্রত পালনের চল রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের ব্রত বড়ো ভাজুই আর বাচ্চাদের ব্রত ছোট ভাজুই হিসাবে পরিচিত।ভাজু ব্রত পালন বেশ মজার।
ভাজুকে শস্য দেবী হিসাবে কল্পনা করা হলেও ভাজুর কোন মূর্তি হয় না ।এক সময় গ্রামের মধ্যস্থলে তালপাতা দিয়ে তৈরি অস্থায়ী কোন চালাঘরে ভাজুই পাতা হত। একটি পাড়া বা গ্রামের বাচ্চা মেয়েরা যৌথভাবে ওই ব্রত পালনের আয়োজন করে থাকে। উপকরণ হিসাবে লাগে বিভিন্ন ধরণের কলাই, সন, গম, যব , ধান এবং একটি করে পাত্র। পাত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয় পাকা তালের নিচের পাঁপড়ির মতো অংশটি যাকে চলতি কথায় বলা হয় খোঙ্গো। কখনও কখনও নারকেলে মালাও পাত্র হিসাবে বিবেচিত হয়। ইঁদুরের গর্তের মাটি আর বালি দিয়ে ভর্তি করার পর পাত্রে ব্রত পালনকারিনীরা নিজ নিজ বাড়ি থেকে আনা শস্যবীজ দিয়ে ছড়িয়ে দেয়। তারপর একটা গোবর নিকানো বেদীর উপর চক্রাকারে সাজিয়ে দেওয়া হয় ওইসব ভাজুই পাত্র। মাঝখানে বসানো হয় আমের শাখা যুক্ত একটি ঘট।
এ ব্রত পালনে কোন পুরোহিত লাগে না। উচ্চারণ করতে হয়না কোন মন্ত্রও। ব্রতপালনকারী মেয়েরাই নিজ নিজ ভাজুপাত্রে টানা ৭ দিন ধরে পরিমাণ মতো জল সিঞ্চন করে। তারপর ফুল ছড়িয়ে মা-মাসীদের কাছে শেখা ছড়া আওড়ায়। আর ভাজু পাত্র ঘিরে চক্রাকারে নাচে। প্রতিদিনের উপাসনা শেষে উপস্থিত ভক্তদের দেওয়া হয় প্রসাদও। অষ্টম দিনের মাথায় মহা সমারোহে ভাজুই পাত্র পুকুরে বির্সজন দেওয়া হয়।সেদিন ব্রতপালনকারিনীদের খুব মন খারাপের দিন। সেদিন কার্যত বিলাপের সুরে তাদের গাইতে শোনা যায় -- ' সরের ডগায় সর ফুলকো , বাঁশের ডগায় ক'য়ো / আর একদিন থাকো ভাজুইমা , লাগত হোয়ো -চোয়োও// '
পুরোহিত না থাকলেও ব্রতর্টি ঠিকঠাক পরিচালনার জন্য ব্রতপালনকারিনীদের মধ্যে থেকে নেতৃত্বগুণ সম্পন্না একজনকে দেয়াসিনী নির্বাচন করা হয়। দেয়াসিনী হওয়া নিয়েও রীতিমতো স্কুলের মনিটর নির্বাচনের মতো প্রতিযোগিতা চলে। কারণ দেয়াসিনীর নির্দেশ মেনেই চলতে হয় সবাইকে। ব্রতপালনকারিনীরা প্রতিদিন ভাজুপাত্রে জল দেয় আর অধীর আগ্রহে শস্যবীজের অঙ্কুরোদ্গমের দিকে তাকিয়ে থাকে। আর সমবেত গলায় সুর করে গায় - 'একদিনেই ভাজু আমার দুয়ে দিল পা। তেমু তো সোনার ভাজুই গা তোলে না। গা তোলো রে, গা তোলেরে বসতে দেব শীতলপাটি খেতে দেব ননী।জনম সফল করো তুমি মা জননী"র মতো নানা গান বা ছড়া।
মনে করা হয়ে থাকে, ব্রত পালনের মাধ্যমে ওই ভাবেই পরীক্ষা করে নেওয়া বীজের অঙ্কুরোদ্গম ঘটানোর শক্তি। ভাদ্রের পরেই আসন্ন রবি মরসুম। রবিচাষে প্রয়োজনীয় অধিকাংশ শস্যবীজ দিয়েই ভাজুই পাতা হয়। যার ভাজুই পাত্রের শস্যের অঙ্কুরোদ্গম ভালো হয় তাদের পরিবারে বয়ে যায় খুশীর হাওয়া।কারণ তাদের বাড়িতে সংরক্ষিত শষ্যের বীজ ভালো বলে গণ্য হয়। সেই বীজ তখন অন্যরাও নিয়ে চাষ করে। তাহলে ফসলের উৎপাদন হ্রাস হওয়ার আশংকা থাকে না।এজন্য পরিবারের বড়োরাও নিয়মিত খোঁজ খবর নেন , উৎসাহ দেন।
সময়ের সংগে সংগে অবশ্য ভাজুই ব্রত পালনের পারিপার্শিকতাও বদলে গিয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় এখন সেদিনের সেই তালপাতার ঘরের পরিবর্তে কোন মন্দির বা ক্লাব ঘরে ভাজুই পাতার চল হয়েছে। তালের খোঙ্গো বা নারকেলের মালার পরিবর্তে এসেছে মাটির ভাঁড়। কোথাও কোথাও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মেয়েরাও অংশ নিচ্ছে। কিন্তু বিগত দিনে ব্যবহৃত ওইসব উপকরণই তথাকথিত তদানীন্তন অন্ত্যজদের আর্থ সামাজিক অবস্থার একটা চিত্র তুলে ধরে। ক্লাব বা ধর্মস্থানে তাদের হয়তো প্রবেশাধিকার ছিল না। বাড়িতে ভাঁড়ের মিষ্টি নিয়ে আসা যাওয়ার মতো সংগতিও ছিল না। পাশাপাশি এই ব্রত আরও একটি ধারণার জন্ম দেয়।
সাধারণত এই ব্রত পালন করে তথাকথিত অন্ত্যজ পরিবারের মেয়েরা। পরবর্তীকালে কোথাও কোথাও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মেয়েরা ওই ব্রত উদযাপনে অংশ নিলেও এক সময় মূলত তথাকথিত অন্ত্যজ শ্রেণীর মহিলাদেরই পালনীয় ছিল ওই ব্রত। ওই ভিন্নতাই একটা ধারণার জন্ম দেয়। শস্য কামনা তো সবারই কাম্য হওয়া উচিত। তাহলে শুধুমাত্র অন্ত্যজেরা কেন ওই ব্রত পালন করেন ? ধারণা বলছে - সেই রাজা, জমিদার, জোতদাদের সময় থেকেই সাধরণত অন্ত্যজেরাই কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। খাজনা কিম্বা উৎপাদিত শষ্যের ভাগের বিনিময়ে তাদেরই হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ফসল ফলাতে হয়। ফসল না হলে তার ওই রক্ত জল করা খাটনি জলে তো যায়'ই , গলায় কাল ফাঁস হয়ে চেপে বসে খাজনা কিম্বা ঋণের বোঝা।ফসল হল কি না হল তাতে তৎকালীণ জমিমালিক তথা সামন্ত রাজা , জমিদার , জোতদারদের কিছু এসে যেত না।তারা তাদের প্রাপ্য ঠিক কড়ায় গন্ডায় আদায় করে নিতেন ওইসব অন্ত্যজদের কাছে থেকে।তার উল্লেখ ইতিমধ্যেই আমরা বিভিন্ন রচনায় পেয়েছি।
সেদিন হয়তো কোন বাচ্ছা মেয়ের সামনে তার বাবাকে কিম্বা কোন স্ত্রী'র সামনে তার স্বামীকে বকেয়া খাজনার জন্য জমিদার, জোতদারের পেয়াদারা বেঁধে নিয়ে যেতে দেখে সেই ছোট্ট মেয়েটি কিম্বা সেই অসহায় স্ত্রী শস্যকামনায় শুরু করেছিলেন ওই ব্রত। কায়মনোবাক্যে ভাজুইয়ের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন , এবার থেকে মাঠ যেন ফসলে ভরে যায়। তাদের প্রিয় মানুষটিকে আর যেন হেনস্থা হতে না হয়। প্রাসঙ্গিকতা থাক বা নাই থাক ,ব্রত পালনের ধারাটা আজও রয়ে গিয়েছে। আজও অনেক গ্রামে ভাদ্রের সন্ধ্যায় কান পাতলেই শোনা যায় একদল মেয়ে সুর করে গাইছে ---"ভাজু লো সুন্দরী, মাটি লো সরা। কাল ভাজুইয়ের বিয়ে দেব পঞ্চফুলের মালা। পঞ্চফুল থগা থগা গলায় গেঁথেছি। কাউকে যেন বলো না ভাজুই পেতেছি। "
No comments:
Post a Comment