হারিয়ে যাওয়া পদ্যের খোঁজে
অর্ঘ্য ঘোষ
" হ্যালো ডিয়ার ধীরেন
আজকে তোমার বিয়ে।
এলোং ছিলে ডবল হলে
লাভলি লেডি নিয়ে"
না, কোন পত্র পত্রিকায় এ পদ্যের দেখা মিলবে না। কিন্তু এক সময় এ জাতীয় পদ্য অনেকেরই মুখে মুখে ফিরত। পদ্যগুণ থাক বা না থাক , পদ্য হিসাবেই পরিচিতি ছিল ওই সব রচনার। এখন যেমন বিয়ে বাড়িতে খাবারের আগে হাতে মেনু কার্ড ধরিয়ে দেওয়া হয় , বছর ২০/২৫ আগে তেমনই বর কিম্বা কনে যাত্রীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হত রঙিন লিফলেটের মতো তিন , চারপাতার ছাপানো কাগজ। সেই কাগজকেই বলা হত বিয়ের পদ্য।
সেই সময় বিয়ের অন্যতম অঙ্গই ছিল ওই পদ্য। বিয়ে চূড়ান্ত হলে হাট বাজার করার মতোই পদ্য লেখার তোড়জোড় শুরু হয়ে যেত। পাড়ার দাদা কাকারা কাগজ কলম নিয়ে কখনও ছন্দ মিলিয়ে কখনও বা গদ্যের ধাঁচে পদ্যের খসড়া লিখে দিতেন। পাত্র পাত্রীর আত্মীয় স্বজন ,বন্ধু বান্ধবের নামে ছাপা হত সেই পদ্য।
জীবনে হয়তো ওই একবারই নিজেদের নাম ছাপার অক্ষরে দেখার সুযোগ পেতেন তারা। আবার পদ্য লেখার মাধমেই অনেকের কাব্য প্রতিভারও বিকাশ ঘটত। ছাপাখানাতেও নিমন্ত্রণ পত্রের মতোই নমুনা হিসাবে মিলত পদ্য। স্থান, কাল, পাত্র বদলে একই পদ্য ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন বিয়েতে ছাপিয়ে দিতেন ছাপখানা মালিকেরা।
ওইসব পদ্যে কোথাও বাবা মা , দাদু দিদিমারা পদ্যে পাত্রীকে কি ভাবে শ্বশুর ঘর করতে হবে সেই উপদেশ দিয়েছেন। আবার সমকালীণ চালচিত্রও ধরা পড়েছে পদ্যে। কোন কোন পদ্যে দেখা গিয়েছে," দেখতে দেখতে ষোলটি বছর করলি যে তুই পার। চললি এবার শ্বশুর ঘরে মোদের ঘর ভরিয়ে আঁধার। " বলার অপেক্ষা রাখে না ওই পদ্যই বলে দেয় সেসময় মেয়েদের ১৮ বছরের কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার বিধি নিষেধ ছিল না। সে পদ্যই আজ হারিয়ে গিয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না ওই পদ্যের কথা। আমরা কি বিয়ের আসরে ফিরিয়ে আনতে পারি না ওই পদ্য। অন্য কোন সামগ্রীর বদলে উপহার হিসাবে দিতে পারি না ছাপানো পদ্য ?
------০-----
বিয়ের পদ্য ছিল একসময়।খুব ভালো করে মনে পড়ে।সেই পুরোনো পদ্য গুলি অনেক খুঁজেছি।পাই নাই।সেই পদ্য গুলি পড়তে ও আত্মীয়দের বিয়েতে ছাপতে আগ্রহী।
ReplyDeleteDin Taran Das
Burdwan.