লুপ্তপ্রায় খেলা
' সাত মটকি '
দু'জনের সময় কাটানোর খেলা হল ' সাত মটকি '। কোথাও কোথাও খেলাটি ' সাত খোলা'র খেলা হিসাবেও পরিচিত।দু'জনের খেলা হলেও উৎসাহদাতা দাতা দর্শকের অভাব হয় না ওই খেলায়।বৃষ্টি বাদলার দিনে খেলাটি দারুন উপভোগ্য হয়ে ওঠে। ওই খেলার জন্য গুটি হিসাবে প্রয়োজন বেশ কিছু চন্দনের ফল , তেঁতুল বীচি , করমচা বা ওই জাতীয় ছোট আকারের বীজ কিম্বা ফল। প্রথমেই মাটিতে ফুট খানেক দুরত্বের ব্যবধানে মুখোমুখি সাতটি করে মোট ১৪ টি মারবেল খেলার ' গোপে'র মতো ছোট আকারের গর্ত করে নিতে হয়। জেতা গুটি রাখার জন্য দু'জন খেলোয়াড়ের পাশে অপেক্ষাকৃত বড় আরও একটি করে গর্ত করে নেওয়া হয়।পাকা মেঝের ক্ষেত্রে চক দিয়ে বৃত্তাকার ঘর তৈরি করেও খেলা চলে। দু'জন খেলোয়াড়ের হাতেই সম সংখ্যক একই রকম গুটি থাকা আবশ্যক।কত সংখ্যক গুটি অর্থাৎ প্রতিটি ঘরে ৫/৬/৭ বা ততোধিক সংখ্যক গুটি নিয়ে খেলা হবে তাও আলোচনার মাধ্যমে স্থির করে নেওয়া হয়।নির্ধারিত সংখ্যক অর্থাৎ ৬ টি করে গুটি নিয়ে খেলা স্থির হলে ৭ টি গর্তের জন্য দুজনকেই ৪২ টি করে গুটি দিতে হয়।
কে আগে দান চালবে তা ট্রসের মাধ্যমে স্থির করে নেওয়া হয়। তারপর দুজনে গর্তগুলির সামনে মুখোমুখি বসে খেলা শুরু করে। দু'জনেই নিজ নিজ ঘর অর্থাৎ গর্তে সমান সংখ্যক গুটি রাখে।তার চাল শুরু করে টসজয়ী।চাল শুরু করার অর্থ হল , নিজের যে কোন একটি ঘর থেকে সমস্ত গুটি তুলে সে পরের ঘরগুলি থেকে বিপক্ষের ঘর সহ পরপর বিলি করতে শুরু করে।সেই ঘরের গুটি বিলি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সে যেখানে গুটি বিলি শেষ হয় তার পরবর্তী ঘর থেকে সব গুটি তুলে বিলি করে।ওইভবে ক্রমান্বয়ে বিলি করতে করতে যেখানে বিতরণ শেষ হয় তার পরবর্তী যদি ফাঁকা পড়ে থাকে অর্থাৎ কোন গুটি না থাকে তাহলে সেই ঘরটি হাত বুলিয়ে পরিষ্কার করে দিয়ে যে ঘরে বিতরণ শেষ হয়েছিল সেই গুটি গুলি সে জিতে নিয়ে সরিয়ে রাখে।
ফের একই প্রক্রিয়ায় বিতরণ এবং গুটি জেতার সুযোগ থাকে।কিন্তু ওইভাবে গুটি বিলি করতে করতে বিতরণ শেষে যদি কখনও পর পর দুটি ঘর ফাঁকা পড়ে যায় অর্থাৎ পর পর দুটি ঘরেই কোন গুটি না থাকে তাহলে দানচালকারী দানের সুযোগ হারায়।তখন দান পায় বিপক্ষ খেলোয়াড়। ওইভাবে খেলতে খেলতে যে সমস্ত গুটি নিজের দিকের গর্তে নিয়ে আসতে পারে সে সমস্ত গুটির মালিক হয়ে যায় অর্থাৎ বিজয়ী ঘোষিত হয়।
------০-----
' এলাটিং বেলাটিং '
ছড়াবহুল এই খেলাটি একসময় বহুলপ্রচলিত ছিল।ওই খেলার ছড়া একসময় কচিকাঁচাদের মুখে মুখে ফিরত। চর্চার অভাবে আজ হারিয়ে গিয়েছে খেলা।শোনা যায় না সেই ছড়াও। খেলাটির নাম ' এলাটিং বেলাটিং '। খেলাটি মূলত মেয়েদের খেলা।তবে মেয়েদের সঙ্গে ছেলেদেরও খেলতে দেখা যায়। সমান সংখ্যক খেলোয়াড় নিয়ে দুটি দলে ওই খেলা চলে। পছন্দ সই পদ্ধতিতে দুটি দল গঠন করে নেওয়া হয়।তার মধ্যে একটি রাজার এবং অন্যটি প্রজার দল হিসাবে পরিচিত। কোন দল রাজা হবে তা টসের মাধ্যমে ঠিক করে নেওয়া হয়।রাজার দলে থাকে মন্ত্রী , সান্ত্রী , পাত্র , মিত্র , সভাসদ প্রভৃতি। প্রজার দলে থাকে দ্বাদশী , ষোড়শী , অষ্টাদশী , ফরসা , শ্যামলা নামধারী খেলোয়াড়।
খেলার শুরুতে ১৫/২০ ফুট দুরত্বের ব্যবধানে দুটি সরলরেখা টানা হয়।তার মধ্যে একটিকে রাজার ঘর এবং অন্যটিকে প্রজার ঘর বলে। রাজার ঘরে গিয়ে দাঁড়ায় রাজার লোকেরা অন্যটিতে প্রজারা।তারপর রাজার ঘরের খেলোয়াড়রা এক কদম এগিয়ে এসে বলে -- ' এলাটিং বেলাটিং ' সইলো।তারপর তারা নিজেদের ঘরে ফিরে যেতেই প্রজারাও একই ভাবে এক কদম এগিয়ে এসে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় - কি খবর হইল ? প্রশ্ন শেষে তারাও নিজেদের ঘরে ফেরে।তারপর একই ভাবে ক্রমান্বয়ে রাজা এবং প্রজাদের মধ্যে ' রাজামশাই একটা বালিকা চাইল , কেমন বালিকা চাইল ? ষোড়শী বালিকা চাইল , বালিকা কি পড়ে যাইবে ? বালিকা বেনারসী পড়ে যাইবে।কিসে চড়ে যাইবে ?
পালকি চড়ে যাইবে। কত টাকা দিবা ? হাজার টাকা পাবা।তাহলে নিয়ে যাও বালিকারে।'বলেপ্রশ্নোত্তর চলে। প্রশ্নোত্তর শেষ হওয়া মাত্র রাজার ঘর থেকে একজন ছুটে নিদিষ্ট নামধারী মেয়েটিকে টেনে নিজেদের ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। প্রজাদের ঘরের লোকেরাও তাকে আটকে রাখার চেষ্টা করে।তখন রাজাদের ঘরের লোকেরাও একে একে ছুটে এসে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়।সফল হলে তাকে নিজেদের ঘরে নিয়ে যায়। তারপর ফের তারা একে একে বাকিদেরও নিজেদের ঘরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ লাভ করে।সেক্ষেত্রে ১ পয়েন্ট পাওয়ার পাশাপাশি ফের তারা রাজত্ব করার সুযোগ লাভ করে। কিন্তু কোন একজনকে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হলেও আর ওই সুযোগ মেলে না।
তখন প্রজারাই রাজা হয়ে ওঠে। তারা তখন ছুটে গিয়ে রাজার ঘর দখল করে নেয়।আর রাজারা প্রজাদের ঘরে এসে মেয়েদের নাম নেয়।ফের একই কায়দায় খেলা চলে।খেলা শেষে যারা বেশি বার রাজত্ব করে অর্থাৎ পয়েন্ট পায় তারাই জয়ী হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।এই খেলায় ক্রীতদাস প্রথা এবং রাজাদের নারী লোলুপতার দিকটি অন্তর্নিহিত রয়েছে বলে মনে করা হয়ে থাকে।
-----০-----
' চিক্কা '
' চিক ' দেওয়াই খেলার মূল লক্ষ্য । তাই খেলার নাম ' চিক্কা ' বলে মনে করা হয়ে থাকে। ছেলেমেয়ে একত্রে বা আলাদা - আলাদা ভাবে ওই খেলা চলে। তবে খেলার মধ্যে পারস্পরিক টানাটানির ব্যাপার রয়েছে বলে অধিকতর বেশি বয়সের ছেলেমেয়েদের খেলা হিসাবেই পরিচিত ' চিক্কা।' খেলার জন্য পচ্ছন্দ সই পদ্ধতিতে সমান সক্ষমতা বিশিষ্ট সম সংখ্যক খেলোয়াড় নিয়ে দুটি দল গঠন করে নেওয়া হয়। কোন দল আগে দান নেবে তা স্থির করে নেওয়া হয় টসের মাধ্যমে। মাঠের মাঝে একটি সরলরেখা টেনে নিয়ে দানঘর তৈরি করে নেওয়া হয়। টসজয়ী দলের বিপক্ষের খেলোয়াড়রা সারিবদ্ধ ভাবে সেই দাগে গিয়ে দাঁড়িয়ে টসজয়ীদের হাত বাড়িয়ে তাদের টেনে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়।
সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে টসজয়ীরা ছুটে গিয়ে এক এক জন বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের হাত ধরে টেনে দাগ থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করে।ওইভাবে কোন খেলোয়াড়কে টেনে বের করতে পারলেই সে মরা হয়ে যায়।
একে একে সমস্ত খেলোয়াড় বের করতে পারলেই বিপক্ষকে ১ চিক দেয় তারা।সেক্ষেত্রে তাদের দান বহাল থাকে।কিন্তু ওইভাবে টানাটানির সময় বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা যদি তাদের ল্যাং মেরে ফেলে দিতে পারে তাহলে টসজয়ী দলের সেই খেলোয়াড়কে মরা হতে হয়।সেক্ষেত্রে বিপক্ষ দলের একজন মরা খেলোয়াড় জীবন ফিরে পায়।একই ভাবে বিপক্ষ দলের একজন ' মরা ' হলে টসজয়ী দলের একজন খেলোয়াড় জীবন ফিরে পেয়ে খেলায় সামিল হওয়ার সুযোগ লাভ করে।কিন্তু বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা যদি একে একে ল্যাং মেরে টসজয়ী দলের সব খেলোয়াড়কে ' মরা ' করতে পারে তাহলেই দান নেওয়ার সুযোগ হারায় টসজয়ীরা।তখন বিপক্ষ দল দান নেওয়ার সুযোগ পায়। খেলা শেষে যে দল বেশি চিক দিতে পারে সেই দল জয়ী ঘোষিত হয়। চর্চার অভাবে এই খেলাটিও হারিয়ে যেতে বসেছে।
------০-----
' লালটিকা '
' লালটিকা ' খেলাটি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত।কিন্তু খেলার নিয়মকানুন অধিকাংশ জায়গায় প্রায় এক। ১০ / ১২ জন ছেলেমেয়ে মূলত আলাদা আলাদা ভাবেই ওই খেলা হয়। খেলার জন্য সমতল মাঠে একটি বৃত্তাকার ঘর তৈরি করা হয়।ঘরটিকে লালুর ঘর বলা হয়ে থাকে। পাতা ফুটিয়ে একজনের ' মোর ' নির্ধারণ করা হয়। খেলার পরিভাষায় মোরধারীকে লালু বলা হয়।
নিয়ম হলো , লালুর কোমরে লাল গামছা বা কাপড়ের টুকরো ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।তারপর লালু গিয়ে বৃত্ত অর্থাৎ তার ঘরের মধ্যে গিয়ে প্রবেশ করে।বাকি খেলোয়াড়রা বৃত্তের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
তারপর 'লালু রে লালু - খা রাঙা আলু , বা লালু রে লালু , তুই বড়ো ভালু ' জাতীয় ছড়া বলতে বলতে 'মোরধারীর ' পিছনে চাপড় মারে।কিন্তু কোনক্রমে চাপড় অন্য জায়গায় পড়লে যার চাপড় লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তাকে ' মোর' নিতে অর্থাৎ লালু সাজতে হয়।আবার মোরধারী যদি বৃত্তের ভিতরে নিজের পা দিয়ে কাউকে ছুঁয়ে দিতে পারে তাহলে সেই খেলোয়াড়েরও একই দশা হয়।কিন্তু কাউকে ছোঁওয়ার জন্য লালু যদি বৃত্তের বাইরে বেড়িয়ে পড়ে তাহলেই বিপদ।সেই সময় সমস্ত খেলোয়াড়রা তার পিছনে চাপড় মারতে শুরু করে।তখন ছুটে নিজের ঘরে ঢোকার পথ পায় না লালু।যতক্ষণ পর্যন্ত সে কেউ 'মরা' না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত ' মোর ' দশা ঘোচে না লালুর।এই খেলাটিও এখন কাউকে খেলতে দেখা যায় না বললেই চলে।
-----০-----
' নুনতা '
' আমার ঘরে কে রে ?
-- আমি রে ?
-- ঘরে তুই খাস কি ?
--- নুন ছাড়া আছে কি ?
-- নুনের দাম দিবি কবে ?
--- যেদিন দেবার সময় হবে।
--- ঘরে তোর কয় ভাই বোন ?
--- পাঁচ ভাইবোন।
--- একটা বোন দিয়ে যা ।
--- পারিস তো নিয়ে যা ।'
এই ছড়াটিতেই অন্তর্নিহিত রয়েছে নুনতা খেলার অর্থ। বেদখল হয়ে যাওয়া নুনের গুদাম বা ঘর পুনঃরুদ্ধার এবং দখলদারদের বন্দী করাই ওই খেলার মূল লক্ষ্য। ১০ /১২ জন ছেলেমেয়ে একত্রে বা আলাদা আলাদা ভাবে ওই খেলা চলে। খেলার শুরুতে ১০/১২ খেলোয়াড় দাঁড়ানো যায় এমন পরিসর যুক্ত একটি বৃত্ত তৈরি করা হয়। তাকে নুনঘর বলা হয়।তারপর পাতা ফুটিয়ে বা অন্যকোন পদ্ধতিতে একজনকে নুনঘরের মালিক নির্বাচন করা হয়। খেলার পরিভাষায় তাকে নুনতা বলে। অন্যান্য খেলোয়াড়রা বৃত্তের মধ্যে অবস্থান করে।নুনতা থাকে বৃত্তের বাইরে।
তারপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব । বৃত্তের বাইরে থেকে প্রথমে নুনতা সুর করে বলে , নুনতা বলো রে।জবাবে বাকি খেলোয়াড়রা সমস্বরে বলে -- এক হলো রে। নুনতা ফের বলে , নুনতা বলো রে। এবারে বাকি খেলোয়াড়রা বলে - দুই হলো রে। ওইভাবে সাত বার নুনতা বলো রে এবং ' সাত হলো রে ' বলার পর প্রশ্নোত্তরের মতো উপরিউক্ত ওই ছড়া আউরানো চলে। ' পারিস তো নিয়ে যা ' বলার পরেই নুনঘর ছেড়ে ছুটে পালায় দখলদাররা।আর তখন নিজের ঘরে ঢুকে দখল পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে নুনতা।তারপর তার কাজ হয় দখলদারদের বন্দী করা।
দখলদারদের বন্দী করার অর্থ হলো , নুনঘর থেকে এক নিঃশ্বাসে ' ইকরি মিকরি চাম চিকরি , চামে কাটে মজুমদার ' বা ওই ধরণের ছড়া আউরাতে আউরাতে ছুটে গিয়ে দখলদারদের ছুতে হয়।তারপর নিঃশ্বাস ধরে রেখেই তাকে নিয়ে নুনঘরে পৌঁঁছোতে পারলেই সেই খেলোয়াড় বন্দী হয়ে যায়।ওইভাবে একে একে সমস্ত খেলোয়াড়কে বন্দী করতে পারলেই নুনতার দায়িত্ব শেষ হয়।
সেক্ষেত্রে শেষ বন্দীকে নুনতা হতে হয়।কোথাও কোথাও আবার নতুনভাবে নুনতা নির্বাচনের নিয়ম প্রচলিত রয়েছে।কিন্তু দখলদারদের বন্দী করার সময় যদি নুনতার দম ফুরিয়ে যায় তাহলে তাকে ছুটে ঘরে ফিরে ফের দম নিয়ে একই প্রক্রিয়ার দখলদার ধরতে হয়।কিন্তু তার আগেই যদি কোন দখলদার তাকে ছুঁয়ে দিতে পারে তাহলে প্রতিবারের জন্য একজন করে বন্দী মুক্তি পেয়ে ফের খেলায় সামিল হওয়ার সুযোগ লাভ করে।
------০-----
' মোরগ -চিল '
একসময় ছেলেমেয়েদের আরও একটি প্রিয় খেলা ছিল 'মোরগ - চিল।' ছড়া বহুল ওই খেলাটিও চর্চার অভাবে হারিয়ে যাওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ১০ / ১২ জন ছেলেমেয়ে একত্রে বা আলাদা আলাদা ভাবে ওই খেলা চলে। খেলার শুরুতে একজনের ' মোর ' নির্বাচন করা করা হয় । এই খেলায় ' মোরধারী' চিল হিসাবে পরিচিত। বাকিরা মোরগ। মোরগরা হাত ধরাধরি করে বৃত্তাকারে চিলকে ঘিরে রাখে।আর চিল হাতের বাঁধন ছাড়িয়ে বাইরে পালানোর চেষ্টা করে।মোরগরাও তাকে আটকে রাখার চেষ্টা চালায়।
ওইভাবে পালানোর সময় চিল ছড়া কাটে ' ছি -ছাই ঘোড়া দাবাই / ঘোড়া না ঘুড়ি , চাবুক ছুড়ে মারি / চাবুক দিয়ে মারলাম বাড়ি / ধুলো ওড়ে কাঁড়ি কাঁড়ি।' তারপর সুযোগ পেলেই সে হাতের বাঁধন ছাড়িয়ে ছুটে পালায়।
তখন মোরগরাও ' ছি - ছত্তর কচুর পই / চ্যাংড়া - প্যাংড়ার নানা হই / টাকের উপর আয়না / পুঁটি মাছ খায় না / টাকের উপর গোস্ত / ছোঁওয়া দিলে দোস্ত ' বলে ছড়া আউরাতে আউড়াতে তাকে ছোঁওয়ার জন্য পিছু ধাওয়া করে।যে কোন একজনের ছোঁওয়া পড়লেই চিল মোরগ হয়ে যায়।যে তাকে প্রথম ছুঁতে পারে সে পরবর্তী পর্বে চিল হওয়ার সুযোগ লাভ করে। কোথাও কোথাও চিলকে সমস্ত
খেলোয়াড়কেই ছুঁতে হয়।সেক্ষেত্রে নতুন করে চিল নির্বাচন করে ফের খেলা শুরু হয়।
No comments:
Post a Comment