Short story, Features story,Novel,Poems,Pictures and social activities in Bengali language presented by Arghya Ghosh

অন্তরালে -- ২৮




    অন্তরালে 


         অর্ঘ্য ঘোষ 



  ( ধারাবাহিক উপন্যাস ) 




সেদিনই সন্ধ্যাবেলায় মিটিং ডাকা হয় মাচানতলায়। সেই মিটিং-এ রাত পাহারার লোকজন  , 'জীবন সুরক্ষা' কমিটির সদস্যরা তো বটেই , ডাকা হয় অন্যান্যদেরও। বিশেষ করে সামিল করা হয় মহিলাদের। কারণ অনশন আন্দোলনে তাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি নবান্নের দিন নির্ধারণেরও একটা ব্যাপার রয়েছে। এর আগে প্রসাদ মোড়ল নিজের মর্জি মাফিক একটা দিন ঠিক করে সবাইকে মাচানতলায় জানিয়ে দিত। কারও ইচ্ছা থাক বা না'ই থাক সেই দিনই সবাইকে মানতে হত। কারণ একটা গ্রামে একই দিনে নবান্ন করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এবারই প্রথম মহিলাদের মত নিয়ে নবান্নের দিন নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে 'জীবন সুরক্ষা' কমিটি। কারণ নবান্ন সুচারু ভাবে সুসম্পন্ন করতে মহিলাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই মহিলাদের আসার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলে আসা হয়। সেইজন্য মহিলারাও খুব খুশী হন। প্রিয় মাকেও আসতে বলে। মা আসার সময় অতসীকাকী , সুরোপিসি, ভানুমতী জ্যেঠিদের নিয়ে বাকি মহিলাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেকে আনেন। সবার অংশ গ্রহণে সরগরম হয়ে ওঠে মাচানতলা। প্রথমেই ওঠে অনশনের প্রসঙ্গ। প্রিয় সেদিনের নদীয়া জেলার খেতমজুরদের অনশনের খবর সহ তাদের সিদ্ধান্তের কথা সবাইকে সবিস্তারে বলে। সেই বিষয়ে প্রথমে মহিলাদের  মতামত জানতে চাওয়া হয়। কারণ তাদের মধ্যে অনেকেরই বাচ্চা ছেলেমেয়ে রয়েছে। ওইসব ছেলেমেয়েদের সামলাতে তাদের মা-কাকীমাদেরই হবে। তাই তাদের মতামত জানাটাই সর্বাগ্রে প্রয়োজন বলে মনে করে প্রিয়। অনশনের কথা শুনে প্রথম মুখ খোলেন পূর্ণা বৌদি। তার দুটি ছেলেমেয়ে একেবারে বাচ্চা। সেই কথা ভেবেই তিনি বলেন , আমাদের তো কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু ছেলেমেয়েগুলো তো সব খিদের জ্বালায় কান্নাকাটি শুরু করে দেবে। তখন সামাল দেওয়া মুসকিল হবে। তার কথা শুনে প্রশান্তকাকা বলেন , সেটাই তো চাই। তবে যদি প্রশাসনের টনক নড়ে তো নড়বে।স্বামীর কথার তীব্র প্রতিবাদ করে অতসীকাকী বলে ওঠেন , চাই বললেই তো আর হলো না। তোমরা পুরুষ মানুষ, তোমরা কি বুঝবে ? সন্তান খিদের জ্বালায় কাঁদলে মায়ের যে কি হয় তা মা ছাড়া কেউ বুঝবে না।
স্ত্রীর মুখ ঝামটা খেয়ে প্রশান্তকাকা আর মুখ খোলার সাহস দেখান না।  তার পরিবর্তে জীতেনকাকা বলেন , আচ্ছা আমরা যদিদু/চার জনের জিম্মায় বাচ্চাগুলো গ্রামেই রেখে যায় ? 
এবারে মুখ খোলেন হরপার্ব্বতী। তিনি বলেন ,  সেটা করা যেতেই পারে। তাতে আমার মনে হয় প্রশাসনের উপর চাপটা কিছুটা কমে যাবে। তখন আমাদের নিজে থেকে অনশন প্রত্যাহার করে ফিরে আসতে হতে পারে।
হরপার্ব্বতীর কথা শুনে সাহস ফিরে পান প্রশান্তকাকা। তার সুরে সুর মিলিয়ে বলে , ঠিক বলেছেন বৌদি। আমি তো সেই কথাটাই বলতে চাইছিলাম। সেদিন টিভির খবরেই তো দেখাল বাচ্চাগুলোর কান্নাকাটির ছবি সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হতে না হতেই সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠল। তারপরই প্রশাসন ঘাড় একাশি করে অনশনকারীদের দাবি মেনে  নিল। কপাল ভালো হলে বাচ্চাদের দৌলতে আমাদের দাবিও পূরণ হবে না তা কে বলতে পারে ?
ওই কথা শোনার পরও অধিকাংশ মহিলাই মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন। বিশেষ করে যাদের বাচ্চা ছেলেমেয়ে রয়েছে তাদের মনের মধ্যে একটা দোলাচল শুরু হয়ে যায়। সেটা তাদের চোখে মুখে ফুটে ওঠে। সেই সময় মুশকিল আসান হয়ে ওঠেন ছায়া বৌদি। তারও বাচ্চা ছেলে রয়েছে। তিনি বলেন , আচ্ছা আমরা যদি অনশনে বসার ঠিক আগে ছেলেমেয়েদের খাইয়ে দিই তাহলে তো আর ওরা দু/তিন ঘন্টা খেতে চাইবে না। তারমধ্যে কি সুরাহা একটা কিছু হবে না ?
ছায়াবৌদির প্রস্তাবটা মনে ধরে প্রিয়র। সে বলে , তাহলে তো খুব ভালো হয়। তারপর ২/৩ ঘন্টার মধ্যে যদি প্রশাসনের কোন সাড়া না মেলে তখন না হয় বাচ্চাদের খাইয়ে দেওয়া হবে।




                  এবারে মহিলাদের মধ্যে গুঞ্জন শোনা যায়। পূর্ণা বৌদিই বলেন , সে রকম হলে অবশ্য কোন সমস্যা হবে না। বাকি মায়েরয়াও সহমত পোষণ করেন। তাই ওই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়ে যায়। হিসাব করে দেখা যায় সব মিলিয়ে গ্রামে ৩০ জন বাচ্চা রয়েছে। প্রথমে ঠিক হয় ওইসব বাচ্চাদের জন্য যে যার  বাড়ি থেকে খাবার তৈরি করে নিয়ে যাবেন। পুরুষরা যখন অনশনে বসার আয়োজন করবেন সেই ফাঁকে মায়েরা ছেলেমেয়েদের খাইয়ে দেবেন।কিন্তু ওই প্রস্তাবে আপত্তি তোলেন প্রশান্তকাকা।তিনি বলেন , সেদিন তো বাচ্চারা সব একসঙ্গেই খাবে। কিন্তু বিভিন্ন বাড়ি বিভিন্ন রকম খাবার যাবে। এক সঙ্গে বিভিন্ন রকম খাবার খাওয়াটা খারাপ লাগবে না ?
প্রিয়ও ভাবে কথাটা। কত ছোট্ট বিষয় , কিন্তু সেটাই বাচ্চাদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কারণ বিভিন্ন পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিভিন্ন রকম। তাই কারও বাড়ি থেকে একটু ভালো খাবার যেতেই পারে। তাই সে বলে , আচ্ছা সেদিন যদি গ্রাম সুরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকেই বাচ্চাদের জন্য খাবার তৈরি করে নিয়ে যাওয়া হয় ? 
প্রশান্তকাকা বলেন , আমি তো সেটাই বলতে যাচ্ছিলাম।  গ্রাম সুরক্ষা কমিটিই বাচ্চাদের খাবারের ব্যবস্থা করবে।
বাকিরাও সহমত পোষণ করেন। হরপার্ব্বতী সুরোবালা, অতসীদের নিয়ে সেই খাবার তৈরির দায়িত্ব নেন। ছেলেমেয়েদের খাবারের বিষয়টি এভাবে ভাবার জন্য মহিলাদের মধ্যে যেটুকু দোনামোনা ভাব ছিল সেটা কেটে যায়। তারপরই এসে পড়ে  দিন নির্ধারণের ব্যাপার। সামনেই গ্রামের নবান্ন। সবাই নবান্নের পরেই দিন নির্ধারণের পক্ষে মত  দেন। তাই আগে নবান্নের দিনটাই নিধারণ করার প্রস্তাব ওঠে। মহিলারা সবাই ১৫ তারিখ নবান্নের দিন নির্ধারণের প্রস্তাব দেন। 
প্রশান্তকাকা বলেন , তাহলে ওই দিনটাই স্থির করা হোক।  প্রিয় বলে , তার আগে একবার প্রসাদকাকাদের মতটা নিলে হত না ? 
তীব্র আপত্তি তুলে প্রশান্তকাকা বলেন ,  না - না, শয়তানগুলোর সঙ্গে তো আমাদের কোন সম্পর্কই নেই। তাই আমরা কবে নবান্ন করব তা ওদের জানিয়ে করতে হবে নাকি ? ওরা ওদের মতো নবান্ন করুক না।
---- এটা তুমি ঠিক বললে না ঠাকুরপো। এর আগে গ্রামে কখনও আলাদা আলাদা নবান্ন হয় নি। এতদিন প্রসাদ মোড়ল দিন ঠিক করে আমাদের জানিয়েছে। আমরা মেনে নিয়েছি।আজ আমরা দিন ঠিক করেছি , ওরা মানতেও পারে আবার না'ও পারে। কিন্তু জানানোটা কর্তব্য বলে আমার মনে হয়। নাহলে পরে আমাদের দোষ পেতে হবে। 
কথাগুলো বলেন হরপার্ব্বতী। মায়ের কথাগুলো শুনে মুগ্ধ হয়ে যায় প্রিয়। কত শান্ত অথচ দৃঢ়ভাবে কথাগুলো বলল মা। মাকে নিয়ে তার গর্ব হয়।
প্রশান্তকাকা তবু ঘাড় পাতেন না। নিরাসক্তের মতো বলে , ঠিক আছে জানাতে পারো। কিন্তু আমি গাল বাড়িয়ে চড় খেতে যাব  না। ওর লেজে পা পড়েছে , ছোবল মারার জন্য মুখিয়ে আছে। আমাদের দেখলেই উল্টো - পাল্টা বলে দেবে।
জীতেনকাকা বলেন , ঠিক আছে তোমাদের কাউকে যেতে হবে না। আমি আর প্রিয়ই বরং গিয়ে দেখি আসি কি বলে।




                    সেইমতো জীতেনকাকার সঙ্গে প্রসাদ মোড়লের বাড়ি যায় প্রিয়। কিন্তু গিয়ে মনে হয়, না এলেই ভালো হত । প্রশান্তকাকার কথাই সত্যি হয়। তাদের কথা শুনে প্রসাদ মোড়ল বলে , আমরা কবে নবান্ন করব তা কি তোমরা ঠিক করে দেবে নাকি ? 
প্রিয় বলে -- না, মানে এতদিন তো সবার একই দিনে নবান্ন হয়েছে তাই বলতে এলাম।
---- যাও যাও, তোমরা এখন খুব মাতব্বর হয়ে গিয়েছো। তোমাদের সঙ্গে আমরা নেই। আর তোমাদের এই মাতব্বরি কতদিন থাকে তাও দেখছি।
জীতেনকাকা কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন। প্রিয় তাকে টেনে নিয়ে বাইরে আসে। মাচানতলায় তখন কি হতে পারে না পারে তা নিয়েই আলোচনা চলছিল।তাদের মুখ দেখেই কি হয়েছে তা বুঝতে বাকি থাকে না কারও।
প্রশান্তকাকা বলেন , কি হলো মিলল তো আমার কথা ? 
মা বলেন , ঠিক আছে আমাদের কর্তব্য তো আমরা করেছি।
১৫ তারিখই দিন চূড়ান্ত হয়ে যায়। হাতে আর মাত্র ১০ টা দিন। নবান্ন গ্রামের একটা বড়ো উৎসব। আত্মীয় স্বজনরা আসেন। নব্বান্নের দিন ছোট বড়ো সবাই যে যার মতো করে কবাডি কিম্বা ডাংগুলি খেলায় মেতে ওঠে। পান্তা নবান্নের দিন রাতে যাত্রা হয়। গ্রামের লোকেরাই যাত্রা করেন। ফিমেল, ড্রেস, বিবেক, যন্ত্রীদের পয়সা দিয়ে বাইরে থেকে আনা হয়। তাদের আনার জন্য কয়েকজন সকাল বেলায় তিন -চারটে গরুর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়। কয়েকজন ওইসব বহিরাগত শিল্পীদের খাওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি চাল মুড়ি তুলে বেড়ায়। তারপর বিভিন্ন বাড়ি থেকে শাড়ি আর তক্তা চেয়ে এনে নিজেরাই মঞ্চ তৈরি করে। হ্যাচাক কিম্বা ডে-লাইটের মুখে লাল-নীল কাগজ ধরে রঙিন আলোর ব্যবস্থা করা হয়। অনেক সময় মাঝপথে বিকল হয়ে যায় মাইক। তখন খালি গলাতেই চিৎকার করে পার্ট বলেন অভিনেতারা। তাই দর্শকরা আগ্রহ ভরে শোনে। বেশ কয়েকদিন মাচানতলা কিম্বা পুকুরঘাটে সেই যাত্রার কথা আলোচনা হয়। মহিলারা নিজ নিজ স্বামীর অভিনয় নৈপুন্যে সবার সেরা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। কয়েক বছর আগে তাই নিয়ে একটা মজার ঘটনা ঘটে। সেবারে হনুমানের পার্ট করেছিলেন সুরেশ বাগদি। হুপ-হাপ - লম্ফঝম্ফ করে মঞ্চ মাতিয়ে দিয়েছিলেন। পুকুরঘাটে স্বামীর গর্বে সেই কথা বলতে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী অসীমা। সেই সময় স্বামীর অভিনয় নৈপুন্যের কথা বলছিলেন প্রতিমা। মাঝপথে বাধা পেয়ে মেজাজ হারিয়ে বলে ফেলেন -- পালা লো ' হনু ভাতারী ' , তুই আর বকিস না। শুধু হুপ - আর হাপ। 
বলাবাহুল্য সেই কথা শুনে মুখ কালো করে বাড়ি ফিরেছিলেন অসীমা। তিনদিন নাকি ক্ষোভে দুঃখে স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন নি তিনি। যাত্রা ঘিরে এইরকম কত স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। সেই যাত্রাটাই এবারে আর হচ্ছে না। কিন্তু সেটা এখনও পর্যন্ত কাউকেই জানানো হয়নি।
তাই  হরপার্ব্বতী প্রশ্ন করেন -- নবান্নের তো আর দেরি নেই। কিন্তু কই , এবারে যাত্রার রির্হাশাল শোনা যাচ্ছে না কেন? 
প্রশান্তকাকা বলেন --  এবারে আর যাত্রা হবে না বৌদি। 
--- কেন , হবে না কেন ? 
--- আসলে সবই তো বুঝতে পারছেন। গ্রামের এই পরিস্থিতি। গ্রাম দু'ভাগ হয়ে রয়েছে। যাত্রার দিন ওরা অঘটন যদি একটা কিছু ঘটিয়ে ফেলে তাহলে তা সামাল দেওয়া খুব সমস্যা হবে।
--- তাই বলে যাত্রা হবে না ? এই গ্রামে বৌ হয়ে আসার পর থেকেই দেখে আসছি নবান্নে যাত্রা হচ্ছে। তোমরা গ্রাম কমিটির দায়িত্ব নিয়েছ। এখন যদি যাত্রা না হয় তাহলে তার দায় তো তোমাদের ঘাড়েই চাপবে। আর গ্রাম দু'ভাগের কথাও তো ঠিক নয়। আমরা সবাই তো এক আছি। ওরা পাঁচটা পরিবার আমাদের সঙ্গে নেই। ওই পাঁচটা পরিবারের 
ভয়ে এতদিনের একটা ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাবে ?
জীতেনকাকা বলেন , ঠিক বলেছেন বৌদি। এমনিতেই তো আন্দোলন করা নিয়ে ওদের টিকা টিপ্পনী শেষ নেই। এর পর যাত্রা না হলে তো আর কথাই নেই। অন্য গ্রামের লোকেরাও কথা শোনাতে ছাড়বে না। ওরাও তো সব যাত্রা দেখতে আসে।এবার যাত্রা দেখতে না পেলে বলবে , তোমরা দায়িত্ব নিয়ে তাহলে কি করলে ? এতদিনের যাত্রাটা বন্ধ করে দিলে ?
প্রশ্নটা প্রিয়র মনে জাগে নি তা নয়। কিন্তু একের পর এক প্রসাদ মোড়লের আক্রোশের বহ্বিপ্রকাশ দেখেই তারা এবারে যাত্রা না করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু মহিলাদের কথা শুনে সেই সিদ্ধান্ত থেকে তাদের সরে আসতে হয়।ঠিক হয় অন্যান্যবারের মতোই  এবারও পান্তা নবান্নের দিন যাত্রা হবে। আর তার দুদিন পরে অনশন কর্মসূচি শুরু করা হবে। সেই মতো শুরু হয়ে যায় চূড়ান্ত ব্যস্ততা। হাতে রয়েছে আর মাত্র ১০ দিন। তারই মধ্যে একদিকে যাত্রা অন্যদিকে অনশন কর্মসূচির জন্য 'জীবন সুরক্ষা' কমিটির সদস্যদের নাওয়া খাওয়া কার্যত মাথায় ওঠে।



            ( ক্রমশ ) 


নজর রাখুন / সঙ্গে থাকুন 


শীঘ্রই দেশ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে আমার তৃতীয় উপন্যাস ------
  
                                  


                       ----০---




No comments:

Post a Comment