Short story, Features story,Novel,Poems,Pictures and social activities in Bengali language presented by Arghya Ghosh

অন্তরালে -- ৩০



  অন্তরালে 


     অর্ঘ্য ঘোষ 



( ধারাবাহিক উপন্যাস ) 




তারপরই শুরু হয়ে যায় পার্ট বন্টনের পালা। প্রতিবছরই সমসংখ্যক অভিনেতা রয়েছে এমন বই-ই পছন্দ করা হয়। এবারও তার অন্যথা হয় নি। সেই হিসাবে প্রসাদ মোড়লের ছেলে এবারে না থাকায় নায়কের রোলটা কাকে দেওয়া হবে সেটা নিয়েই একটু দোটানা দেখা দেয়। এমনিতে সবার মনে  নায়কের রোল নেওয়ার একটা সুপ্ত বাসনা থাকে। কিন্তু কেউ সেটা প্রকাশ করতে পারে না।বাকিরা কেউ কারও নাম প্রস্তাব করতে পারে না।তাই সময় অতিবাহিত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত প্রশান্তকাকা বলেন ,  আমার মনে হয় নায়কের রোলটা প্রিয়কে দিলেই ভালো হবে।
কেউ কিছু বলার আগে তীব্র আপত্তি করে প্রিয় বলে --- না না , আমি কেন ? আরও তো অনেকেই আছে। তাদের মধ্যেই কাউকে নির্বাচন করা হোক।
---- এখন তুইই তো আমাদের আসল হিরো। তোরই  প্রদর্শিত পথে আমারা এগিয়ে চলেছি। তাছাড়া যাত্রার নায়কের চরিত্রের সঙ্গে তোকে মানাবেও ভালো। তোর মতোই নায়কেরও প্রতিবাদী চরিত্র।
বাকিরাও প্রশান্তকাকাকে সমর্থন জানিয়ে বলে ওঠেন -- একদম সঠিক সিদ্ধান্ত। ওর নামটাই লিখে ফেলা হোক।
অশ্বিনীকাকা খাতায় কে কোন চরিত্রে অভিনয় করবে তা লিপিবদ্ধ করছিলেন। নায়ক হিসাবে প্রিয়র নামটা লিখে ফেলেন তিনি।আর আপত্তি করার উপায় থাকে না প্রিয়র। নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে তার অবশ্য আপত্তির কিছু নেই। এতদিন পার্শ্ব চরিত্রেই অভিনয় করেছে। মনে মনে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা পোষণ করলেও প্রসাদ মোড়লের ছেলের জন্য সেই সুযোগ তার ভাগ্যে জোটে নি। অন্যরাও তো মনে মনে একই ইচ্ছা পোষণ করতে পারে। সেই কথা ভেবেই সে আপত্তি করেছিল।কারণ এই নিয়ে মন কষাকষি সে চায় না। সে চায় আন্দোলন ঘিরে তাদের মধ্যে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে সেটা যেন অটুট থাকে। কোন কারণেই সেই ঐক্যে চিঁড় ধরতে দেবে না সে। কিন্তু সবাই যখন তাকেই নায়কের রোলে নির্বাচন করে তখন সেই সংশয় দূর হয়ে যায়। তবে নায়কের রোলটা তাকে একটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল। এতদিন পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে যতটুকু প্রশংসা প্রাপ্য সেটুকু সে পেয়েছে। এবার প্রসাদ মোড়লের ছেলের অভিনয়কে ছাপিয়ে যেতে হবে তাকে। অন্যান্য দর্শকরা তো বটেই ,  বাবা-মা, বোন-ভগ্নিপতি এমনকি স্বাতীও এবারে যাত্রা দেখতে আসবে। সেরা অভিনয় দিয়ে সবার মন ভরিয়ে দিতে হবে তাকে। পরিবারের লোকেরা যাতে তাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে তার জন্য  অভিনয়ে মন প্রাণ ঢেলে দেবে সে।ততক্ষণে পাঠ বলাতে শুরু করেছেন অশ্বিনীকাকা। আজ থেকে অবশ্য সবাই তাকে মাস্টার বলতে শুরু করেছেন। এমনিতেই মাস্টার হিসাবেই তার পরিচিতি রয়েছে। তার উপরে শখের যাত্রা দলে যারা পরিচালনা বা প্রম্পট করেন তাদের মাস্টার বলে ডাকাটাই রীতি।যাত্রার পরেও বেশ কিছুদিন ওই সম্বোধনই চলে। ঘটনা এমনও ঘটে বছরের পর বছর ওইভাবে প্রম্পট বা পরিচালনার সুবাদে মাস্টার সম্বোধনের বহুল ব্যবহারে অনেকের আসল নামটাই ভুলে যান মানুষ। বহুক্ষেত্রে স্বল্প শিক্ষিত কোন দল পরিচালককে নির্দ্দিধায় মাস্টারমশাই বলে সম্বোধন করেন উচ্চ শিক্ষিত অভিনেতাও।এতদিন তাই প্রসাদ মোড়লকেও তাদের একই সম্বোধন করতে হয়েছে। লোকটার মধ্যে মাস্টারি গুনের ছিটেফোঁটাও নেই। তবু রীতি মেনে মাস্টার সম্বোধনই করতে হত তাকে। এবারে আর তা করতে হবে না। সবাই যেন তাই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। অশ্বিনী মাস্টার ওর চেয়ে অনেক গুণী মানুষ। তাকে মাস্টার মশাই সম্বোধন করেও সুখ। আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমাজে প্রকৃত গুণী মানুষেরা চিরকাল  অবহেলিত হয়ে পিছনেই পড়ে থাকেন। আর অযোগ্যরা প্রভাব প্রতিপত্তির জোরে নিলর্জ্জের  মতো দাপাপাপি করে। 



                সেই হিসাবে এবারে তাদের যাত্রায় যোগ্যজন যোগ্যস্থানই পেয়েছেন। পার্ট বলতে বলতেই প্রিয় লক্ষ্য করে বাবাজী একমনে গানের সুর ভাঁজছেন। ঋজুদা তার গানের অংশগুলো লিখে দিয়েছে। সবাই ভাবেন সেই গানেই সুর বসাচ্ছেন বাবাজী। কিন্তু রিহের্শাল শেষে তাদের ভুল ভাঙে। বাবাজী বলেন , বাবা সকল অনশন নিয়ে একটা গান বেঁধে ফেললাম। কেমন লাগছে একটু শুনবেন নাকি সব ? 
সবাই সমস্বরে বলে ওঠেন -- অবশ্যই , হয়ে যাক।
বাবাজী ভরাট গলাতে গেয়ে ওঠেন --- 

শোন শোন ভাই , সবারে একটা কথা বলে যায়।
রোগে ভুগে মরছে মানুষ , জীবনের কোন দাম নাই।
ডাক্তার নেই হাসপাতালে, 
চিকিৎসা তাই রসাতলে। 
তাইতো মোরা অনশনের দিয়েছি ডাক,সবার আসা চাই।। 

গান শেষ হতেই হাততালি দিয়ে ওঠেন সবাই। ঠিক হয় বাবাজী গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করার সময় ওই গান করবেন। গান মানুষের মনে গেঁথে যায়। সেই হিসাবে খুব তাড়াতাড়ি মানুষ তাদের কর্মসূচির কথা জেনে যাবে। পাশাপাশি মাইকেও প্রচার করা হবে। প্রশান্তকাকা বলেন , এই গান যদি আমরা যাত্রার আসরেও পরিবেশন করি কেমন হয় ? 
--- খুব ভালো হবে। বহু মানুষ যাত্রা শুনতে আসবেন। তারাও বিষয়টি জেনে যাবে। তবে সবথেকে ভালো হয় আমাদের বিষয়টিকে নিয়ে যাত্রায় গান সহ একটা ছোট দৃশ্য যদি ঢুকিয়ে দেওয়া যায়।
অশ্বিনীকাকা বলেন , তাহলে তো সোনায় সোহাগা হয়। কিন্তু দৃশ্য লিখবে কে ?  
প্রিয় বলে , সবাই যদি মত দেন তাহলে চেষ্টা করে দেখতে পারি।
প্রশান্তকাকা বলেন , আরে মত - অমতের কি আছে ? এর মতো ভালো ব্যাপার আর হয় নাকি। যাত্রাটা একটু বড়ও হবে, আবার সত্যি ঘটনা যাত্রায় দেখে অনেকের ভালো লাগবে। সব মিলিয়ে এবারের যাত্রাটা জমে যাবে। তুই লিখে ফেল।
সেই মতো পরদিন থেকে চূডান্ত ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায় প্রিয়র। একদিকে পুরোদ্যমে যাত্রার রিহার্সাল অন্যদিকে  সমান তালে প্রচারে জন্য দম ফেলার ফুরসত পায় না সে। তার মাঝেই তাকে লিখতে হয় দৃশ্যটা। মাঝে মধ্যে খুব সংশয় হয় তার। যেচে দায়িত্বটা তো নিল , পারবে তো লিখতে। মনের খেয়ালে ডায়রিতে দু'চার ছত্র লেখে বটে, কিন্তু তা আদৌও লেখা হয়ে ওঠে কিনা তা নিয়ে তার নিজেরই সন্দেহ। অথচ সেই পুঁজি আর দীর্ঘদিন যাত্রা করার অভিজ্ঞতা সম্বল করেই সে লেখার দায়িত্ব নিয়েছিল। কিন্তু লিখতে বসেই বুঝতে পারে কাজটা যতটা সহজ ভেবেছিল তা কিন্তু হয়। অন্যের লেখা বইয়ে খাপখাইয়ে একটা দৃশ্য সংযোজন করে দেওয়া চাট্টি খানি ব্যাপার নয়। 



                    
                   কিন্তু অনমনীয় জেদ যেন তাকে দিয়ে দৃশ্যটা লিখিয়েই ছাড়ে। কিন্তু লেখাটা কেমন হল তা নিয়ে তার মনে একটা খুঁতখুঁতুনি সৃষ্টি হয়। তাই সরাসরি লেখাটা রিহের্শালে দিতে সংকোচ হয় তার।  আগে কারও সামনে একবার পড়ে তার মতটা যাচাই করে নিলে ভালো হয়। সেই উদ্দেশ্যেই সে তার লেখা অংশটুকু পড়ে মাকে শোনায়। শুনতে শুনতে মায়ের চোখেমুখে মুগ্ধতার ছাপ ফুটে ওঠে। সেটা দেখে সংশয় ঘোচে প্রিয়র।সে মাকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করে -- মা ভাল হয়েছে ? তোমার ভাল লেগেছে? 
---- খুব সুন্দর হয়েছে রে ! মনেই হচ্ছে না এটা তোর লেখা। আমার ছেলেটার যে এই গুণটাও ছিল তা তো জানা ছিল না।
বলেই ছেলের চিবুকে হাত ছুঁইয়ে চুমু খান হরপার্ব্বতী।মায়ের আবেগ দেখে  পুরোপুরি নিঃসংশয় হতে পারে না সে।কারণ মায়ের মন তো। সন্তানের সমস্ত খারাপকেই ভালো দেখে। তাই সে বলে ,  মা তুমি ঠিক বলছো তো ?
---- হ্যারে বাবা হ্যা। বেশ আমার কথা বিশ্বাস না হয় তো মধুরিমা আর স্বাতীকেও একবার পড়ে শুনিয়ে আয়। ওরা কি বলে দেখ। একসঙ্গে নিমন্ত্রণটা সারা হয়ে যাবে।
---- না, আমি আর কাউকেই শোনাতে যাব না। আমার মা যেখানে ভালো বলে দিয়েছে সেখানে কে কি বলল তা নিয়ে  আমার কিছু এসে যায় না।
--- পাগল একটা। 
ছেলের চিবুক ছুঁইয়ে আরও একবার চুমু খান হরপার্ব্বতী। লেখা শোনাতে না গেলেও নিমন্ত্রণ করার জন্য পরদিনই  মধুরিমার শ্বশুরবাড়ি তাকে যেতেই হয়। নানান ব্যস্ততায় আর যাওয়ার সময় পাবে কিনা ঠিক নেই। সেই ভেবেই সে পৌঁছে যায় মধুরিমাদের বাড়ি।  সদর দরজার কড়া নাড়তেই বুকের ভিতর সেই ধুকপুকানিটা টের পায়। যখনই সে স্বাতীর কাছাকাছি হয় তখনই তার বুকে এইরকম ধুকপুকানির সৃষ্টি হয়। স্বাতীরও কি এরকমই হয় ? কোনদিন জিজ্ঞাসা করা হয়নি।কতবার ভেবেছে একান্তে দেখা হলে কথাটা জিজ্ঞেস করবে। কিন্তু নানান কথার ভীড়ে ভুলে যায়। শুধু কি ওই কথাটাই নাকি ? আরও কত কথা বলব বলে ঠিক করে রাখে। কিন্তু বলা হয় না। বেমালুম সব ভুলে যায়। নতুন কথার জন্ম হয়।স্বাতীর ভাবনায় যেন ভাবজগতে চলে গিয়েছিল প্রিয়। দরজা খোলার শব্দে বাস্তবে ফেরে।দেখতে পায় দরজা খুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে স্বাতী। তার চোখে চোখ পড়তেই হৃদস্পন্দনটা আরও বেড়ে যায়। কেউ কোন কথা বলতে পারে না।  ঘরের ভিতর থেকে ভেসে আসে মধুরিমার গলা ---- কে রে স্বাতী ? 
স্বাতী লজ্জায় কোন জবাব দিতে পারে না। প্রিয়কে শুধু বলে ' ভিতরে এসো। '
স্বাতীর পিছনে পিছনে প্রিয় ধীর পায়ে এগিয়ে যায় ঘরের দিকে। তাকে দেখেই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মধুরিমা। তারপর এগিয়ে গিয়ে প্রিয়র হাত ধরে বলে -- আয় আয় , তাই দেখি কে এসেছে জিজ্ঞেস করেও উওর মেলে না কেন। ননদিনী যে তখন কেন কথা হারিয়ে ফেলেছেন তা কেমন করে বুঝব ? 
---- বৌদি তুমি না !
---- আহা আহা , দেখি  মুখখানা দেখি। 
তারপর স্বাতীর মুখটা ধরে তুলে ধরে বলে -- উহু , মুখ দেখে তো মোটেই ভালো লক্ষ্মণ মনে হচ্ছে না।
স্বাতী কোন কথা বলতে পারে না। মুখ নামিয়ে নেয়। নতমুখে মেঝেয় পায়ের নখ ঘসতে থাকে। লজ্জায় পড়লে স্বাতী ওইভাবেই মেঝেতে পায়ের বুড়ো আঙুল ঘষে। স্বাতীর লজ্জা পাওয়ার চেনা ভঙ্গিটা খুব ভালো লাগে প্রিয়র। চেয়ে চেয়ে দেখতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু এখন বোনের কথায় অস্বস্তিতে পড়ে মুখ ফিরিয়ে নিতে হয় তাকে। একই পরিস্থিতি হয় স্বাতীরও। লজ্জায় সেও মুখ তুলে চাইতে পারে না। ওই পরিস্থিতি থেকে মধুরিমার শ্বশুর-শাশুড়ি তাদের উদ্ধার করেন। তারা বসার ঘরে ঢুকতেই প্রিয় উঠে গিয়ে তাদের প্রনাম করে, তারা মাথায় হাত রেখে  বলেন , থাক থাক বাবা। তোমাদের সব খবর ভালো তো ?  বাবা - মা কেমন আছেন ? 
প্রিয় বাবা-মায়ের কুশল সংবাদ দেওয়ার পর তার আসার উদ্দেশ্যটা বলে। শোনার পর মাউইমা বলেন , আমাদের দুই বুড়োবুড়িকে নিয়ে আর টানাটানি কোর না বাবা। বেয়াই- বেয়ানকে বোল ওরা তিন জনে যাবে। তাছাড়া বাড়িটাও আগলাতে হবে তো নাকি ? আমরা বরং পরে কখনও যাব।
কথাটা শুনে বাবাকে জড়িয়ে ধরে স্বাতী।  অভিমানে ঠোঁট ফুলিয়ে বলে , যেতে না চাও যেও না। কিন্তু নিজেদের বুড়ো-বুড়ি বলবে না। তোমরা মোটেও এখন বুড়োও নি।
---- এই শোন মেয়ের কথা। ওরে ছেলেমেয়ের বিয়ের পর নাতিনাতনি এসে গেলে  বাবা-মায়েরা বুড়োবুড়ির দলেই পড়ে যায়। সৌরভের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এবার তোদের চার হাত এক করে দিতে পারলেই আমরা ঝাড়া হাত পা।
বাবার কথা শুনে আবার লজ্জায় পড়ে স্বাতী। আড়চোখে একবার প্রিয়র মুখের দিকে তাকিয়ে ফের মুখ নামিয়ে মেঝেতে নখ ঘষতে শুরু করে সে। মেয়ের অস্বস্তি টের পেয়ে তাউইমশাই বলেন - কই গো বৌমা , প্রিয়কে জল টল কিছু দাও। 
---- হ্যা, এই দিই বাবা।
বলেই মধুরিমা রান্নাঘরের দিকে চলে যায়। তাউইমশাই বলেন - হ্যা বাবা খাওয়া দাওয়া না করে চলে যেও না কিন্তু।
প্রিয় বলে , এবারে সেই সময় হবে না। যাত্রা - অনশন নিয়ে এখন খুব ব্যস্ততা চলছে। পরে একদিন এসে বরং খেয়ে যাব।
--- বেশ ভাত না খাও , জলখাবারটা অন্তত খেয়ে যাও।
 তাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ঘরের বাইরে চলে যান মধুরিমার শ্বশুর-শাশুড়ি।আর নির্জন ঘরে স্বাতীর হাত ধরে কাছে টেনে নেয় প্রিয়। প্রিয়র মুখের দিকে আবেশ ভরা দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে স্বাতী।


      ( ক্রমশ ) 





   নজর রাখুন / সঙ্গে থাকুন 


শীঘ্রই দেশ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে আমার তৃতীয় উপন্যাস ------
  
                                  


                       ----০---


No comments:

Post a Comment