Short story, Features story,Novel,Poems,Pictures and social activities in Bengali language presented by Arghya Ghosh

অন্তরালে -- ৩৮








অন্তরালে 


    অর্ঘ্য ঘোষ 


( ধারাবাহিক উপন্যাস )



দরজা পার হওয়ার সময়  পিছনের দিকে মুখ ফিরিয়ে হাওয়ায় একটা চুমু উড়িয়ে দিয়ে মুচকি হেসে বেরিয়ে যায় সে। অবাক হয়ে যায় প্রিয়। মেয়েটার হলো কি ভেবে পায় না। এর আগে কোনদিন এই আচরণ করে নি স্বাতী। সেই হিসাবে দেখতে গেলে সারপ্রাইজ তো বটেই। তার আর গা গড়ানো হয় না। দরজার বাইরে থেকে ঋজুদার ডাক শুনতে পায় সে। তার সঙ্গেই পোশাক পাল্টে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। যেতে যেতে ঋজুদা বলে , প্রসাদ মোড়লের গতিক খুব একটা সুবিধার লাগছে না। পঞ্চরস বাতিল হয়ে গেলেও তার বাড়িতে বাইরের থেকে লোক আসার বিরাম নেই। দফায় দফায় ওইসব লোকেদের সঙ্গে বৈঠক করছে প্রসাদ মোড়ল। কে জানে কি প্ল্যান ভাঁজছে আবার ?
--- প্ল্যান ভাঁজার আর কি আছে ? বি,ডি,ও অফিসে পুলিশ প্রশাসনের লোক, সাংবাদিকেরা সবাই থাকবেন। ওখানে প্রসাদ মোড়লের জারিজুরি খাটবে না।
ঋজুদাকে আশ্বস্ত করতে কথাটা বলে বটে কিন্তু মন থেকে সে'ও আশংকাটা উড়িয়ে দিতে পারে না। বিশেষ করে অনশন কর্মসূচিতে তাদের সঙ্গে শিশু এবং মহিলারাও থাকবে। তাদের কিছু হয়ে গেলে সারাজীবন আক্ষেপের অন্ত থাকবে না।মাচানতলাতেও তখন সবাই একই  আলোচনায় মত্ত। প্রিয়রা পৌঁছোতেই ঋজুদার মতোই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। প্রিয় তাদেরও ঋজুদার মতোই আশ্বস্ত করে বলে , যাই ঘটুক না কেন শিশু আর মহিলাদের ব্যাপারে আমাদের কিন্তু সব সময় সজাগ থাকতে হবে।কোন রকম বিপদের আঁচ পেলেই নিজেদের জীবন বিপন্ন করেও তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। 
জীতেনকাকা বলেন , প্রসাদ মোড়ল এবার যদি কিছু ঝামেলা পাকায় তাহলে গাঁ থেকে ওদের বাস তুলে দেব।
প্রিয় বলে ,  আমাদের কিন্তু মাথা গরম করে কোন প্ররোচনায় পা দেওয়া চলবে না। যাই হোক না কেন ,  কালকের দিনটা খুব ঠাণ্ডা মাথায় পার করতে হবে। আমার মনে হয় সেইজন্য এখন প্রসাদ মোড়লের প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে কালকের সব কিছু ঠিকঠাক করে নেওয়া উচিত।
প্রশান্তকাকা বলেন , ঠিক কথা। শয়তানটার কথা ভেবে সময় নষ্ট করার মতো সময় এখন আমাদের হাতে নেই। 
সেইমতো একে একে সব ঠিক করে ফেলা হয়। ঠিক হয় বাচ্চাদের জন্য পায়েস, লুচি আর একেবারে ছোটদের জন্য দুধ গরম করে নিয়ে যাওয়া হবে। ভোর ভোর এসে জীতেনকাকা সুরোপিসি, ভানুমতিজ্যেঠি, অতসীকাকী আর প্রিয়র মাকে ডেকে নিয়ে খাবার গুলো তৈরি করে নেবেন। সবকিছু কিনে রাখাই আছে। দুধটাই কেবল নিজ নিজ বাড়ি থেকে পৌঁছে দেবেন সবাই। তারপরই বেরিয়ে পড়া হবে।  পুরুষরা সবাই যাবেন ট্রাক্টরে। মহিলাদের আর শিশুদের জন্য দুটো চার চাকার ছোট গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। সব কিছু চূড়ান্ত করে সেদিনের মতো বাড়ি ফেরে সবাই।



                  খেতে বসেও প্রিয়দের বাড়িতে অনশন নিয়েই কথা হয়। মা জিজ্ঞেস করে -- হ্যা রে কখন বের হতে হবে ? 
প্রিয় বলে , তোমাকে তো বাচ্চাদের খাবার তৈরির জন্য জীতেনকাকা ভোরে ডাকতে আসবেন। খাবার তৈরি হলেই বেরিয়ে পড়ব।
মধুরিমা জিজ্ঞেস করে -- তুমিও যাবে নাকি ? 
---- আমাকে তো যেতেই হবে রে। প্রথম থেকে তো প্রিয়র কথাতেই সব কিছু হচ্ছে। সবার বাড়ির লোক যাবে , আর আমি যাব না তাই কি হয় ?
মধুরিমা আর কিছু বলে না , কিন্তু তার চোখে মুখে উদ্বেগের ছাপ ফুটে ওঠে। স্বাতীর গলাতেও উদ্বেগ ঝড়ে পড়ে। প্রিয়র মুখের দিকে চেয়ে সে বলে , তোমাদের গাঁয়ের প্রসাদ মোড়ল যা শয়তান লোক, তোমাদের কোন ক্ষতি করে দেবে না তো ?
--- সরকারি অফিসে ও কি ক্ষতি করবে আর ?
স্বাতী আর মধুরিমাকে আশ্বস্ত করতেই কথাগুলো বলে প্রিয়। তাদের মনের মধ্যে যে একটা উদ্বেগ রয়েছে তা উপলব্ধি করতে অসুবিধা হয় না। মায়ের ধাত অবশ্য আলাদা। মা প্রথম থেকেই তাকে সমর্থন যুগিয়ে এসেছেন। মায়ের দেখাদেখিই তো অন্যান্য মহিলারাও এগিয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ছোট ছেলেমেয়েকে নিয়ে অনশনে যাবেন। তারাই সবাই মাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন -- দিদি আপনিও যাবেন তো ? 
মা তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন --- যাব রে বাবা যাব। তোমরা যাবে আর আমি বাড়িতে বসে থাকব তাই কি হয় ? 
মা যে সেই কথা রাখবেন প্রিয় তা জানত। মা যাবেন  বলেই পরদিন স্বাতীদের বাড়ি ফেরার  পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। সৌরভ অবশ্য ফিরে যাবে।পরে প্রিয়ই একদিন স্বাতীদের পৌঁচ্ছে দিয়ে আসবে। গরু বাছুর দেখাশোনার ব্যাপার আছে বলে বাবাকেও থেকে যেতে হবে। রাতটা নানান চিন্তা আর উদ্বেগের মধ্যে কেটে যায় প্রিয়র। ভোরে জীতেনকাকা ডাকতে আসার আগেই মাকে নিয়ে সে পৌঁচ্ছে যায় মাচানতলায়। বাকিরাও একে একে এসে পৌঁছোতে শুরু করেন। জীতেনকাকার তদারকিতে মহিলারা বাচ্চাদের খাবার তৈরি করতে শুরু করে দেন। খাবার তৈরি হতে না হতেই একে একে টাক্টর আর গাড়ি দুটোও এসে পৌঁচ্ছে যায়। যারা অনশনে যাবেন তারাও এসে পৌঁছোন। যথাসময়ে তারা পৌঁচ্ছে যায় বি,ডি,ও অফিসের সামনে।বাচ্চাদের খাওয়ানোর পর সবাই গিয়ে বি,ডি,ও অফিসের সামনে শতরঞ্চি পেতে অনশনে বসেন। ততক্ষণে সেখানে এসে পৌঁছে গিয়েছেন আর্য এবং অন্যান্য সাংবাদিকেরা। তারা তাদের কাছে বক্তব্য নিয়ে খবর সম্প্রচার শুরু করে দেন।ক্রমে দুপুর গড়ায়। সেদিন টিভিতে দেখা খবরের মতোই ছেলেমেয়েরা খিদের জ্বালায় কান্নাকাটি শুরু করে দেয়।সেই ছবিও সংবাদ মাধ্যমে দেখানো হয়। তারপরই বি,ডি,ও সাহেব অনশনকারীদের কাছে এসে প্রশ্ন করেন , আপনাদের  মুখপাত্র কে আছেন ?
সবাই প্রিয়কেই দেখিয়ে দেয়। প্রিয়কে উদ্দেশ্য করেই বি,ডি,ও সাহেব বলেন, ডি,এম, সাহেবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি জানিয়ছেন , ডাক্তার নিয়োগের ব্যাপারটি ভেবে দেখা হচ্ছে।  তাই আমার অনুরোধ আপনারা অনশন প্রত্যাহার করে নিন।
জবাবে প্রিয় বিনীত ভাবেই বলে , আপনাদের অনেক অনুরোধ আমরা রেখেছি। ডি,এম সাহেবেরও কথা শুনেছি। কিন্তু আমাদের কথা কেউ কানে তোলেন নি। তাই ডাক্তার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন ছেড়ে উঠছি না। তাতে যা হওয়ার হোক ,  তবুও আমাদের সিদ্ধান্ত থেকে একচুলও নড়ব না।



                 আরও কিছুক্ষণ অনশন প্রত্যাহার করানোর ব্যর্থ চেষ্টার পর নিজের চেম্বারে ঢুকে যান বি, ডি,ও সাহেব। ততক্ষণে খিদের জ্বালায় ছেলেমেয়েদের চিৎকার চরমে উঠেছে। তাদের দেখে খুব কষ্ট হয় প্রিয়র। নিজেকে তার খুব অপরাধী মনে হয়। তার মনে হয় , সেদিন টিভির খবরটা দেখে বাচ্চাদের এভাবে বাজি না রাখলেই ভালো হত। ওদের মায়েদের মুখের দিকে তাকাতে পারে না প্রিয়। খিদের জ্বালায় সন্তানের কান্না মায়েরা কি সইতে পারে ? আচমকা পুলিশের তৎপড়তা বেড়ে যায়। আগে থেকেই পুলিশ ছিল। আরও এক গাড়ি পুলিশ এসে পৌঁছোয়। আর্যদা এসে জানিয়ে যান তাদের সঙ্গে কথা বলতে ডি,এম সাহেব আসছেন। 
পুলিশের তৎপড়তার কারণটি স্পষ্ট হয়ে যায় প্রিয়দের কাছে। টিভিতে ঘন ঘন খিদের জ্বালায় বাচ্চাদের কান্নার ছবি দেখেই যে মুখ রক্ষা করতে তাকে ছুটে আসতে হচ্ছে তা আর বুঝতে বাকি থাকে না কারও। সদিচ্ছা দেখাতে যে উনি আসছেন না তা প্রিয় ভালোই জানে। তার সদিচ্ছা থাকলে তো তাদের এই জায়গায় আসতেই হত না। কিন্তু বি,ডি,ও' সাহেবের মতো উনিও যদি অনশন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেন , অথবা চাপ দেন তাহলে তারা কি করবে ? প্রশ্নটা সবার সামনে তুলে ধরে প্রিয়।জবাবে প্রশান্তকাকা বলেন , ওনার আসা না আসাতে আমাদের কি এসে যায় ? এর আগেও তো কথা দিয়ে উনি কথা রাখেন নি। তাই তার কথাই বা আমরা শুনতে যাব কেন ? ডাক্তার বরাদ্দ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কারও কোন কথাই শুনব না।
বাকিরাও একই মত পোষণ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বি,ডি,ও অফিসে এসে ঢোকেন ডি,এম সাহেব। প্রথমে সোজা চলে যান বি,ডি,ও'র চেম্বারে। সেই সময় একদল সাঙ্গ - পাঙ্গ নিয়ে প্রসাদ মোড়লকে বি,ডি,ও অফিসে ঢুকতে দেখে প্রিয়রা।তাকে দেখেই কু ডাকে সবার মনে।দূর থেকেই তারা প্রসাদ মোড়লের গতিবিধির উপর নজর রাখে।বি,ডি,ও'র সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনার পর অনশনকারীদের সামনে এসে দাঁড়ান ডি,এম সাহেব। কিছুটা হুমকির সুরে তিনি বলেন , সবাইকে ভালোভাবে বলছি নিজে থেকে অনশন প্রত্যাহার করে নিন। না হলে বাড়াবাড়ি কিছু হলে তার দায় প্রশাসন নেবে না।
প্রিয় বলে , কোন দায়টাই বা আপনারা নেন বলুন তো ! সেটা যদি নিতেন তাহলে আমাদের এই পরিস্থিতিতে পড়তে হত না।
---- তাহলে আমার কথা আপনারা শুনবেন না ? 
---- আপনি শুনেছিলেন আমাদের কথা ? ডাক্তার নিয়োগের ব্যবস্থা করুন। আমরাও অনশন তুলে নেব।
--- আপনার যা ভালো বোঝেন করুন।কিন্তু আমার অফিসে সামনে বসে সাংবাদ মাধ্যমকে দেখিয়ে ছেলেমেয়ে কাঁদানো আমি কিছুতেই বরদাস্ত করব না।
 ---- তাহলে আপনিও শুনে রাখুন, আপনি যা ভালো বোঝেন করুন। কিন্তু আমাদের আন্দোলনে হস্তক্ষেপ করলে আমরাও মানব না। আর কাউকে দেখানোর জন্য আমরা ছেলেমেয়েদের কাঁদাচ্ছি না। আপনাদের জন্যই আমাদের কাঁদতে হচ্ছে। আর অফিসটা শুধু আপনারই নয়, আমাদেরও।
--- শেষবারের মতো বলছি আপনারা নাটক বন্ধ করুন।
---- নাটক করছি আমরা ? এটাকে আপনার নাটক মনে হচ্ছে ! নাটক তো আপনারা করছেন। প্রতিশ্রুতির নাটক করছেন আপনারা। তাই আমরাও ঠিক করেছি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত নড়ছি না। ডি,এম সাহেবের সঙ্গে সমানে টক্কর লড়ে যায় প্রিয়।
ডি, এম সাহেবও অনমনীয়। এবারে কিছুটা মেজাজের সঙ্গেই বলেন , দেখুন এই করতে গিয়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হলে প্রশাসন কিন্তু কঠোর হতে বাধ্য হবে।
জবাবে প্রিয় মুখ খুলতে যাচ্ছিল। কিন্তু খোলা হয় না। তাদের পিছন থেকে জেলাশাসক আর পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটা ঢিল এসে পড়ে। আর যাই কোথাই ? পুলিশ লাঠি চালাতে শুরু করে। উল্টোদিক থেকেও সমানে ইট বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। মুখ ফিরিয়ে প্রিয় দেখতে পায় প্রসাদ মোড়লের সঙ্গে ঘোরাফেরা করা লোকগুলোই তাদের দলে ভিড়ে ইট ছুড়ছে।কয়েকজনের হাতে ঝোলাও রয়েছে। তাতে যে বোমা রয়েছে বুঝতে অসুবিধা হয় না তার।  প্রসাদ মোড়লের লোকজন নিয়ে তাদের পিছু পিছু বি,ডি,ও অফিসে আসার উদ্দেশ্যটা এতক্ষণে জলের মতো পরিস্কার হয়ে যায়। আবার প্রশাসনও অনশন আন্দোলন বানচাল করতে প্রসাদ মোড়লের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা করতে পারে বলেও মনে হয় তার। ঘটনার গতিপ্রকৃতি কোনদিকে যাচ্ছে তা অনুধাবন করতে অসুবিধা হয় না প্রিয়র। অন্যান্যদের সঙ্গে সে'ও দ্রুত শিশু এবং মহিলাদের গেটের বাইরে রেখে আসতে শুরু করে। একদিকে লাঠিচার্জ অন্যদিকে ইটবৃষ্টিতে তখন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বি,ডি,ও অফিস চত্বর। তারই মাঝে পড়ে অনেকেই রক্তাক্ত হয়ে উঠেন। প্রিয়র মাথা থেকেও রক্ত ঝরে। সেই সময় উল্টো দিক থেকে বোমা পড়তে শুরু করে। প্রিয় দেখতে পায় তাদের মতোই মহিলা আর শিশুদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে দিতে মা আর নিরাপদ স্থানে পৌঁছোতে পারেন নি। ছুটে আসতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়ে যান মা। বোমার জবাবে পুলিশ তখন গুলি ছুড়তে শুরু করেছে। মাকে বাঁচাতে ছুটে যায় প্রিয়। কিন্তু কাছে পৌঁছোনোর আগেই গুলি খেয়ে মাকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখে সে। দ্রত ছুটে গিয়ে মায়ের মাথাটা কোলে তুলে নেয় সে। মায়ের বুক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ ছটফট করার পর নিথর হয়ে যায় মায়ের শরীর। প্রিয়র দু'চোখে যেন অন্ধকার নেমে আসে। মায়ের নিথর হয়ে যাওয়া শরীরটা আঁকড়ে ধরে সে আকুল কান্নায় ভেঙে পড়ে। সেই সময় গরম সীসার মতো একটা গুলি তারও উরু ভেদ করে বেরিয়ে যায়। যন্ত্রনায় মায়ের মৃতদেহের উপরেই লুটিয়ে পড়ে প্রিয়। চেতনা লুপ্ত হওয়ার আগে সে দেখতে পায় পুলিশের পোশাক পড়া কিছু লোক তার মাথায় লাঠির বাড়ি মারতে মারতে বলছে --- মার শালাকে। ব্যাটার নেতা হওয়ার খুব শখ হয়েছে। দে শালাকে নিকেশ করে।



     ( ক্রমশ ) 





নজর রাখুন / সঙ্গে থাকুন 


শীঘ্রই দেশ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে আমার তৃতীয় উপন্যাস ------
  
                                  


                       ----০---


No comments:

Post a Comment