Short story, Features story,Novel,Poems,Pictures and social activities in Bengali language presented by Arghya Ghosh

অন্তরালে -- ৪০





    অন্তরালে 


          অর্ঘ্য ঘোষ



( ধারাবাহিক উপন্যাস ) 




প্রিয়কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন , আসার আগে সি,এম,ও,এইচের মুখে শুনে এলাম আপনাদের এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন টেকনিশিয়ান নিয়োগ করা হবে। ভালোই হলো ,  আপনার তো কোর্সটা করা আছে।
---- কেন , ভালো হল কেন ? 
---- মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তাই সেটা যদি টেকনিশিয়ান হিসাবে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই হয় তাহলে ভালো হয় না ? 
প্রিয় কিছু বলার আগে প্রশান্তকাকা বলে ওঠেন -- তার মতো ভালো আর হয় নাকি ? স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রিয় থাকা মানেই তো আমাদের একজন নিজের লোক থাকা। আমরা থাকি না থাকি কারও কিছু হলে কাউকে সঙ্গে নিয়ে একবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছোতে পারলেই হল। কোন দুশ্চিন্তা করতে হবে না আমাদের। 
জীতেনকাকা বলেন , সে কথা কি আর বলতে হয় ? আমরা জানব আমাদের প্রিয় আছে যখন তখন আর কিছু ভাবতে হবে। যা করার ওই করবে।
প্রশান্তকাকাদের কথা শুনে আর্যদা বলেন , চাকরিটা যাতে এখানেই হয় সে ব্যবস্থা করে দেওয়া যাবে।  সি,এম,ও,এইচের সঙ্গে আমার একপ্রস্থ কথাও হয়ে আছে।
এবারে মুখ খোলে প্রিয়। সে শান্ত অথচ দৃঢ় স্বরে বলে ,  কিন্তু আমি ঠিক করেছি সরকারের দেওয়া ওই চাকরি নেব না।
বিস্মিত হয়ে আর্যদা বলেন -- সে কি ,  কেন ? 
--- কারণ যে সরকারের পুলিশের গুলি আমার মায়ের প্রাণ নিয়েছে সেই সরকারের দয়ার দান চাকরি আমি নেব না।
প্রিয়র ওই কথা শোনার পর প্রথমে কেউ কিছুক্ষণ কোন কথা বলতে পারে না। ডাক্তারবাবুই একসময় প্রিয়কে বোঝানোর মতো করে বলেন -- তোমার যুক্তি আমি উড়িয়ে দিচ্ছি না। কিন্তু এই চাকরি যদি তুমি না'ই কর তাহলেও তো  তোমাকে সংসারের কথা ভেবে একদিন অন্য চাকরি নিতেই হবে। সেটাও তো হবে সেই এই সরকারের অধীনে। তখন কোথায় পোস্টিং হবে তার তো কোন ঠিক ঠিকানা থাকবে না। মাঝখান থেকে তোমার গ্রামের মানুষেরা বঞ্চিত হবেন। তোমার মা'ও কি শান্তি পাবেন ? তার চেয়ে আমি বলি কি তুমি চাকরিটা নিয়ে গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়াও। গ্রামের মানুষের সেবা কর। তাহলেই উপর থেকে তোমারও মা'ও খুশী হবেন। তাছাড়া গ্রামের মানুষের প্রতিও তো তোমার একটা কর্তব্য আছে। সেই কর্তব্যবোধেই তো আন্দোলন শুরু করেছিলে। তাহলে আজ যখন সামনে সেই সুযোগ এসেছে তখন কেন তুমি তা গ্রামের মানুষের কল্যাণে লাগাবে না ?
প্রিয় কোন জবাব দিতে পারে না। কিন্তু উপস্থিত গ্রামবাসীরা বলেন , আমাদের কথা ভেবে তুমি চাকরিটা নাও। তুমি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকলে আমরা বল-ভরসা পাব।
প্রিয় দেখে সবার চোখে মুখে আকুতি। অদূরে দাঁড়িয়ে আকুতি ভরা দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছেন বাবাও। মধুরিমা আর স্বাতীর চোখেও ঝড়ে পড়ছে আকুতি। সবাই যেন বলছে , আমাদের কথা ভেবেই তুমি চাকরিটা  নাও। প্রিয় তাকায় বাবার দিকে। বাবাও মাথা নেড়ে তাকে সেই কথাই বলেন। আর না করতে পারে না প্রিয়। সবার কথা ভেবে ঘাড় পাততে হয় তাকে।আর্যদা একটা ফর্ম বের করে তার কাছে সই করিয়ে নেন। স্বাতী তার ঘর থেকে সার্টিফিকেটের জেরক্সগুলো এনে দেয়। 


             
                    সেগুলো নিয়ে সেদিনের মতো ফিরে যায় আর্যদারা। ফিরে যায় যান গ্রামের লোকেরা ও। আর বাড়িটা বড়ো বেশি শুন্য লাগে প্রিয়র। মায়ের কথা ঘুরে ফিরে মনে পড়ে তার। সব আছে, শুধু মা'ই নেই। কিন্তু মায়ের অভাবেই মনে হচ্ছে সব কিছু থেকেও যেন নেই। এখন তাও মধুরিমা , স্বাতীরা রয়েছে। কিন্তু ওরা চলে গেলে কি হবে ? তাদের দুজনের রান্নাবান্নার কি হবে ? সে করতে পারে রান্না। কিন্তু আজ বাদ কাল তাকে তো যেখানেই হোক কাজে যোগ দিতে হবে। তখন কি হবে ? মাঠে খাটাখানির পর এই বয়সে সে বাবাকে হাত পুড়িয়ে রান্না করতে দিতে পারবে না। তাহলে কি হবে ? খাওয়া দাওয়ার পর প্রশ্নটা তোলে মধুরিমা। বোনের প্রশ্ন শুনে  প্রিয় বলে আমিও সেই কথাই চিন্তা করছিলাম।
সেই সময় স্বাতী গিয়েছিল বাবার বিছানা ঠিক করতে। মধুরিমা সেই সুযোগে কথাটা তোলে। বাবার উদ্দেশ্যে সে বলে , আমি বলছিলাম কি  দাদার সঙ্গে স্বাতীর বিয়েটা এবার বরং দিয়েই দাও। শ্বাশুড়ি মা 'ও এখানে আসার সময় বিয়েটা জ্যৈষ্ঠ মাসের আগেই দেওয়ার কথা বলছিলেন। তাহলে এখন বিয়েটা দিয়ে দিলেই সবদিক রক্ষা হয়। মেয়ের কথা  শুনে প্রভাতকুসুম বলেন , আমিও ক'দিন ধরে সেই কথাই ভাবছিলাম জানিস। কিন্তু সদ্য তোদের মা চলে গেলেন। তাই কালাশৌচের কথা ভেবে কি করব তা নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না।
--- দেখ বাবা , মা স্বাতীকে খুব স্নেহ করতেন।তাই তাকে দাদার বৌ করে ঘরে আনলে উপর থেকে মা সন্তুষ্ট হয়ে ওদের দুজকে আর্শিবাদই করবেন। আর মায়ের আর্শিবাদ থাকলে বিয়ে নিয়ে কে কি বলল তা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোন দরকার নেই। পুরোহিতকে কিছু মুল্য ধরে দিলে উনি ঠিক একটা বিধান দিয়ে দেবেন। তাছাড়া বিয়েটা তো রেজিস্ট্রি করে হবে , তারপর কোন ঠাকুরতলায় সিঁদুরদানটা করিয়ে নিলেই হবে।  সেক্ষেত্রে ওইসব বিধি নিষেধের প্রশ্নই উঠবে না।  দাদার কি মত ?  বলেই প্রিয়র দিকে চেয়ে থাকে মধুরিমা। প্রিয় সঙ্গে সঙ্গে কোন জবাব দিতে পারে না। প্রশ্নটা তাকে কিছুটা দোটানায় ফেলে দেয়।মায়ের শোক সবসময় আচ্ছন্ন করে রেখেছে তাকে। এইসময় বিয়ের মতো জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটু সময়েরও প্রয়োজন। আবার সেই সময় অতিবাহিত করার মতো অবকাশও নেই। বিশেষ করে বাবার কথা তাকে মাথায় রাখতেই হয়। আজ বাদ কাল সে চাকরি করতে বেরিয়ে গেলে বাড়িতে বাবাকে একা থাকতে হবে। সে নিজেও কি একাকীত্ব অনু্ভব করবে না ? মায়ের অভাব পূর্ণ হওয়ার নয় , কিন্তু সুখ - দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার জন্য তারও কাউকে চায়। সে ই কথা ভেবেই সম্মতি জানাতে হয় তাকে। প্রিয়র সম্মতি পাওয়ার পরই গোপনে ননদের মতটাও জেনে নেয় মধুরিমা। স্বাতীর যে অমত হবে না তা জানাই ছিল তার। তবুও তাকে মান্যতা দিতেই মতামতটা যাচাই করে নেয় সে। তারপরই বিয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে যায়। ঠিক হয় স্বাতীর বাবা-মাকে ডেকে পাঠিয়ে দিনক্ষণ  ঠিক করে নেওয়া হবে। ডেকে আর পাঠাতে হয় না, পরদিন বিকালেই প্রিয়কে দেখতে আসেন স্বাতীর বাবা - মা।তাদের কাছে কথাটা পাড়ে মধুরিমা। বৌমার প্রস্তাবে এক বাক্যেই সম্মতি জানিয়ে দেন তারা। মধুরিমার শ্বশুরমশাই বলেন , আমরা তো আগেই ভেবে রেখেছিলাম জ্যৈষ্ঠের আগেই ওদের চারহাত এক করে দেবার জন্য আপনাদের বলব। কিন্তু বেয়ান চলে যাওয়ার পর আর বলা হয় নি। এখন আপনারা যা চাইবেন তাই হবে। আমাদের কোন আপত্তি নেই। সেইমতো ঠিক হয়ে যায় পরদিনই ফুল্লরাতলায় সিঁদুরদান হয়ে যাওয়ার পর বোলপুরে রেজিষ্ট্রির মাধ্যমে বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। গ্রামের লোকেদের নিয়ে খাওয়া-দাওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আয়োজন করার জন্য মাচানতলায় খবর পাঠানো হয়। সেই খবর পাওয়া মাত্রই এসে পড়েন প্রশান্তকাকা, জীতেনকাকা, ঋজুদা, রাজুদারা সবাই। প্রভাতকুসুম বিনীতভাবে তাদের বলেন , তোমাদের তো অজানা কিছুই নেই। ভেবেছিলাম চাকরি-বাকরি কিছু একটা পেলে প্রিয়র বিয়েটা দেব। কিন্তু ওর মা চলে যাওয়ার পর এখন যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে বিয়েটা না দিলে আর চলছে না। তাই কালই বিয়েটা দিয়ে দেব ভাবছি। কিন্তু কি করে সব দিকে সামাল দেব ভেবে পাচ্ছি না। নমো নমো করে সারব মনে করলেও তো হবে না। বিয়ে বলে কথা। এখন তোমারই আমার ভরসা। যা করার তোমাদেরই করতে হবে। 
 প্রশান্তকাকা বলেন , আপনাকে কিচ্ছুটি ভাবতে হবে না দাদা। আমরাই সব ব্যবস্থা করে দেব। আপনি শুধু বলে দেন কি করতে হবে ? 
---- করতে হবে বলতে এই ধরো গ্রামের লোকেদের খাওয়া দাওয়া , তারপর বোলপুরে ওদের নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা, এইসব আর কি।
---- সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে দাদা। আমাদের প্রিয়র বিয়ে বলে কথা।
জীতেনকাকা বলেন , প্রিয় তো শুধু তোমার ছেলেই নয় , ও যে আমাদের সবার প্রিয় গো। অনেকদিন ধরেই তো ওর বিয়েতে কোমরে গামছা বেঁধে খাটব বলে ঠিক করে রেখেছি।
জীতেনকাকারাই গ্রামের লোকেদের বলা , রান্নাবান্নার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন। ঋজুদারাও বোলপুরে যাওয়ার জন্য ফোনে দুটো গাড়ি ঠিক করে ফেলে। ঠিক হয় একটাতে বর নিয়ে যাবে ছেলে পক্ষ, অন্যটাতে কনেকে নিয়ে যাবেন মহিলারা। ঋজুদারাও যাবে সঙ্গে। ঋজুদার ফোনে প্রিয় ডাক্তারবাবু আর আর্যদাদেরও বিয়েতে থাকার জন্য অনুরোধ জানায়। বিয়ের কথা শোনার পরই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন তারা। ডাক্তারবাবু বলে ওঠেন -- আরে তোমার বিয়ে বলে কথা। এত করে বলতে হবে না। আমরা ম্যারেজ রেজিস্টারের অফিসে ঠিক সময়ে পৌচ্ছে যাব।






                পরদিন সকাল সকাল দুটি গাড়ি বোলপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। প্রথমে ফুল্লরাতলায় মন্ত্রোচ্চারণের পর স্বাতীর সিঁথিতে সিঁদুর দান করে প্রিয়। আর এক লহমায় স্বাতীর রূপ পাল্টে যায়।  সিঁথিতে সিঁদুর ছোওয়ালেই মেয়েরা কেমন যেন অন্যরকম হয়ে যায়। সেই কথা ভাবতে ভাবতেই ফুল্লরাতলা থেকে বেরিয়ে  গাড়িতে ওঠে প্রিয়। যথাসময়ে ম্যারেজ রেজিস্টারের অফিসে পৌঁচ্ছে যায় তারা। গাড়ি থেকে নেমেই আর্যদাদের দেখতে পায় প্রিয়।তারা এগিয়ে এসে সবাইকে ম্যারেজ রেজিস্টারের অফিসে নিয়ে যান। সেখানে গিয়েই প্রিয় বুঝতে পারে আর্যদারা ম্যারেজ রেজিস্টারের সঙ্গে কথা বলেই রেখেছেন। তাই ঘন্টা খানেকের মধ্যেই সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়।অফিস থেকে বেরনোর আগে প্রিয় ম্যারেজ রেজিস্টারকে দেখিয়ে ডাক্তারবাবুকে জিজ্ঞেস করে --- ওনাকে কত দেব ? 
তার কথা শেষ হতেই ডাক্তারবাবু বলেন , ওটা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না।বলে তাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সবাইকে ডেকে নিয়ে একটি হোটেলে তোলেন। প্রিয় ভেবে রেখেছিল কোন হোটেলেই  সবাইকে খাইয়ে দেবে। তাই সে আর আর কোন প্রশ্ন তোলে না। খাবারের অর্ডার দেওয়ার জন্য কাউন্টারের দিকে এগিয়ে যায়, কিন্তু সে অর্ডার দেওয়ার আগেই টেবিলে টেবিলে খাওয়ার পৌঁচ্ছে যায়। তা দেখেই প্রিয় বুঝতে পারে এখানেও ডাক্তারবাবুর সব বলে রেখেছেন। কিন্তু খাবারের দাম সে কিছুতেই ডাক্তারবাবুকে মেটাতে দেবে না। তাই দ্রুত খাওয়া শেষ করে সে টাকা মেটানোর জন্য হোটেল ম্যানেজারের কাউন্টারে পৌঁছোয়। কিন্তু দামের প্রসঙ্গ তুলতেই ম্যানেজার জানিয়ে দেন  ডাক্তারবাবু আগেই টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন। সেটা শুনেই রাগ প্রকাশ করে সে বলে , এটা কিন্তু আপনি ঠিক করলেন না ডাক্তারবাবু। আমার বিয়েতে আপনাদের খাওয়ানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত করাটা ঠিক হলো না।  
--- তোমার বিয়ে বুঝি আমাদের প্রিয়জনের বিয়ে নয় ? আর সেই প্রিয়জনের বিয়েতে খাওনোর সুযোগ থেকে আমাদের বঞ্চিত করাটা বুঝি খুব ভালো কাজ হত ? আর বোলপুরে বিয়ে করতে এসে আমরা থাকতে তোমাদের যদি খাবার কিনে খেয়ে যেতে হত তাহলে আমাদের মুখ থাকত ? 
ডাক্তারবাবুর কথার উপরে আর কোন কথা বলতে পারে না প্রিয়। একে একে বিদায় নিয়ে গাড়িতে গিয়ে ওঠে তারা। গাড়ি থেকে হাত নাড়তে নাড়তে বোলপুর ছাড়িয়ে আসে তারা। আসার সময় স্বাতীকে সবাই তার পাশেই বসিয়ে দেয়। আড় চোখে প্রিয় সদ্য পরিণীতা স্ত্রীর মুখের দিকে চায়। তার চোখে পড়ে তখনও স্বাতীর নাকের ডগায় লেগে রয়েছে বিন্দু বিন্দু সিঁদুর  কণা। কার কাছে যেন প্রিয় শুনেছিল সিঁথিতে নেওয়ার সময় যাদের নাকের ডগায় সিঁদুর পড়ে তারা নাকি স্বামী সোহাগিনী হয়। কথাটা মনে পড়তেই আরও একবার স্বাতীর মুখের দিকে তাকায় প্রিয়। স্বাতীর সিথির সিঁদুর তাকে মায়ের কথা মনে পড়িয়ে দেয়।


        ( ক্রমশ ) 





    নজর রাখুন / সঙ্গে থাকুন 


শীঘ্রই দেশ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে আমার তৃতীয় উপন্যাস ------
  
                                  


                       ----০---

No comments:

Post a Comment