Short story, Features story,Novel,Poems,Pictures and social activities in Bengali language presented by Arghya Ghosh

অন্তরালে -- ৫১






  অন্তরালে 


      অর্ঘ্য ঘোষ 


( ধারাবাহিক উপন্যাস )




আরতি এক্সরে মেশিনের কাছে গিয়েই আচমকা -- কে আছো বাঁচাও , বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করে দেয়। প্রিয় কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে পটাপট নিজের ব্লাউজ ছিঁড়ে ফেলে। ঘটনার  আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়ে প্রিয়। কি ঘটতে চলেছে বুঝতে আর বাকি থাকে না তার। সে যে প্রসাদ মোড়লদের পাতা ফাঁদে পড়ে গিয়েছে সেই পরিস্থিতিতেও সেটা বুঝতে পারে। বিপদটা যে এইদিক থেকে আসতে পারে তা সে স্বপ্নেও ভাবতে পারে নি। তাই ফাঁদে পড়া প্রাণীর মতো ছটফট করতে থাকে সে। উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে কি করে উদ্ধার পাবে তা সে ভেবে পায় না। তাই ছুটে গিয়ে আরতির পা দুটি জড়িয়ে ধরে বলে , আমি তো কোনদিন তোমার কোন ক্ষতি করি নি। তুমি আমার এত বড়ো ক্ষতি কোর না। আমার ঘর - সংসার সব ভেসে যাবে। ছেলেমেয়েগুলো না খেতে পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে বেড়াবে। তুমি আমাকে দয়া কর। 
আরতি কোন কথা বলে না। অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। আচমকা হাততালি দিতে দিতে ডায়্যাগনস্টিক্ সেন্টারে ঢুকে আসে ভবানীডাক্তার , প্রসাদ মোড়ল , সুরেন মোড়ল সহ একদল লোক। তারই মধ্যে একজন ফটোগ্রাফারও ছিল। সে একের পর এক আরতির পায়ে ধরে থাকা অবস্থায় তার ছবি তোলে। প্রিয় বুঝতে পারে তাকে বিপাকে ফেলতে আঁটঘাট বেঁধেই পথে নেমেছে প্রসাদ মোড়লরা। ঘরে ঢুকেই ভবানীডাক্তার বলে , কি হয়েছে রে আরতি ? বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিলি কেন রে ?  
--- দেখ না ছোটবাবু , বুকের পরীক্ষাটা তো তুমিই করে দেবে বলেছিলে। তা আমি ভাবলাম কি হাসপাতালে তো সবাই বিনা পয়সায় পরীক্ষা করিয়ে নিয়ে যায় , তাহলে আমিই বা শুধু শুধু তোমার টাকাটা খরচ করায় কেন ? তাই এখানেই পরীক্ষা করাতে এসেছিলাম। তা জানোয়ারটা আমার কি হাল করেছে নিজের চোখেই দেখ তোমরা।
নিজের ছেঁড়া ব্লাউজ দেখিয়ে মরা কান্না শুরু করে দেয় আরতি। আরতির অভিনয় দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে প্রিয়। কিছুতেই সে কিছুক্ষণ আগের আরতিকে মেলাতে পারে না। ততক্ষণে প্রসাদ মোড়ল বলতে শুরু করে দিয়েছে , এইজন্যই বাবুর ডায়্যাগনস্টিক্  সেন্টার ছেড়ে নড়া হয় না। জানি না এর আগে পরীক্ষার নামে ও কতজনের সর্বনাশ করেছে। সবাই তো আর এসব কথা পাঁচকান করতে চায় না লোকলজ্জার ভয়ে। 
ফোঁড়ন কাটে ভবানী ডাক্তারও , হুল ফোটানোর মতো করে সে বলে , নষ্টামি করার জন্য কেমন দিনটাকে বেছে নিয়েছে দেখুন। ডাক্তার - নার্স কেউ কোথাও নেই , মানুষ বাড়ি থেকে বেরোতে পারছে না অথচ বাবুর আসা চাই। যেন উনি না এলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত। আসলে এইসব দিনে শিকার ধরা সহজ হবে বলেই দুর্যোগ মাথায় করে ঠিক হাজির হয়েছে।
কথাগুলো শুনেতে শুনতে মাথা গুলিয়ে যায় প্রিয়র। তার মাথায় একটাই চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে। যে করেই হোক এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার হতে হবে। না হলে তার ঘর-সংসার সব ভেসে যাবে।
সেই কথা ভেবেই সে প্রসাদ মোড়লদের সামনে হাতজোড় করে বলেন , বিশ্বাস করুন মেয়েটি যা বলছে আমি ওসব কিছুই করি নি।
তার কথা শেষ হয় না। প্রসাদ মোড়ল প্রশ্ন ছুড়ে দেয় -আচ্ছা , তোমার সঙ্গে কি ওর কোন ব্যাপারে শত্রুতা আছে ?
প্রিয় বলে , না , ওর সঙ্গে কবে যে কথাবার্তা হয়েছে সেটাই আমার মনে নেই। ও তো আজই প্রথম হাসপাতালে এল। শত্রুতা হবে কি করে ? 
--- তাহলে শুধু শুধু ও তোমার বদনাম করবে কেন ? 
প্রিয় মনে মনে ভাবে , কেন বদনাম করছে তা তো তোমাদের অজানা নয় প্রসাদ মোড়ল। কিন্তু মুখে সে কথা বলতে পারে না। কোন রকমে শুধু বলে , সেটাই তো বুঝতে পারছি না।
ভবানীডাক্তার বলে , এসব ক্ষেত্রে মেয়েরা সাধারণত মিথ্যা কথা বলে না। তাদেরও তো লোকলজ্জার ব্যাপার আছে। কথায় আছে না পাপ বাপকেও ছাড়ে না। আসলে ওর পাপ আজ পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাই সব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এখন নষ্টামি করে সাধু সাজার চেষ্টা করছে।



                                     ভবানী ডাক্তারের কথা শুনে ওই পরিস্থিতিতেও ম্লান হাসি ফুটে ওঠে প্রিয়র মুখে। মনে পড়ে যায় ভবানী ডাক্তারের বিরুদ্ধে কতবার চেম্বারে একা পেয়ে রোগিণীর শ্লীলতাহানির এমন কি ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভবানীডাক্তার প্রতিটি ক্ষেত্রেই ওইসব অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তারপর টাকাপয়সা দিয়ে মিটিয়ে নিয়েছে। সেই ভবানীডাক্তার আজ তাকে ফাঁদে ফেলে বুলি কপচাচ্ছে। নিজের মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা  করে তার। আজকে স্বাতীর কথা শুনলে এই বিপাকের মধ্যে পড়তে হত না তাকে। স্ত্রী , ছেলেমেয়ের মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে তার। কথাটা কানে গেলে ওদের কি প্রতিক্রিয়া হবে ভেবে পায় না সে। সব থেকে দুশ্চিন্তা হয় ছেলেমেয়ে দুটোকে নিয়ে। এই ধরনের খরব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কেউ সত্যাসত্য বিচার করে না। সবাই বলে, 'যা রটে তা কিছু বটে।' স্কুলকলেজে ছেলেমেয়েদের দিকে আঙুল তুলে সেই কথাই বলবে সবাই।লজ্জায় ওরা মুখ দেখাতে পারবে না।শুধু কি ছেলেমেয়ে দুটো ? স্বাতীকে কি কম প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে ? এরপর মেয়েটার বিয়েটাই কি আর দিতে পারবে ? হাজারও ভাবনা তাকে পাগলের মতো করে তোলে। কিন্তু ভাবারআর অবকাশ পায় না সে। শুরু হয়ে যায় চড় থাপ্পড়। প্রসাদ মোড়লরা তাকে টেনে হিঁচড়ে হাসপাতালের গেটের বাইরে নিয়ে গিয়ে একটা কাঠাল গাছের গুঁড়ির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলে।তারপর শুরু হয়ে যায় গণপ্রহার। যে আসে মেরে হাতের সুখ করে নেয়। মারের চোটে নাক মুখ ফুলে ওঠে প্রিয়র। রক্তে ঝাপসা হয়ে আসে দৃষ্টি। মাথার ভিতরটা কেমন যেন করে ওঠে তার। সকাল থেকে খালি পেটে মার খেতে খেতে দুপুর গড়িয়ে যায়। কিন্তু খিদে - তেষ্টা সব হারিয়ে যায় তার। সে শুধু মনে মনে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে তাকে এই অবস্থায় ছেলেমেয়েরা যেন না দেখে। তাদের কাছে খরব পৌঁছানোর আগেই সে যেন এই দুর্বিপাক থেকে উদ্ধার হতে পারে। কিন্তু খুব দ্রুত ওই খবর ছড়িয়ে পড়তে থাকে। খরর পৌঁছোয় মাচানতলাতেও। হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসেন প্রশান্তকাকা , জীতেনকাকা , সুরোপিসিরা। প্রিয়কে ওই অবস্থায় দেখে নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারে না তারা। প্রিয় তাদের দেখে কিছুটা আশান্বিত হয়ে ওঠে। আকুতি ভরা গলায় বলে , কাকা আপনারা বাঁচান আমাকে। বিশ্বাস করুন আমি কিছু করি নি। আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।
প্রিয়র কথা শুনে প্রশান্তকাকারা প্রিয়র বাঁধন খুলে দিতে যায়। তাই নিয়ে প্রসাদ মোড়লদের সঙ্গে প্রশান্তকাকাদের হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। প্রসাদ মোড়লরা হুংকার দিয়ে ওঠে -- খবরদার , ওই রকম একটা জানোয়ারকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে এনো না বলছি।



                          সেই সময় প্রসাদ মোড়লরাই ছিল দলে ভারি। তাই প্রশান্তকাকাদের সরে আসতে হয়। কিন্তু কিছুতেই প্রিয়র লাঞ্ছনা মেনে নিতে পারছিল না তারা। তাই প্রশান্তকাকা প্রশ্ন ছুড়ে দেন , প্রিয় যে এমনটা করেছে তার প্রমাণ কি আছে তোমাদের কাছে ? 
সেই কথা শুনে ভবানী ডাক্তার আরতিকে সামনে নিয়ে এসে বলে ,  প্রমাণ  ?  এর চেয়ে বড়ো আর প্রমাণ হয় নাকি ? 
এবারে মুখ খোলে সুরোপিসি , ও যে সত্যি কথা বলছে , তোমাদের শেখানো কথা বলেছে না তার কি ঠিক আছে ? নাহলে এত এত মেয়ে তো পরীক্ষা করতে আসে , কই তাদের মুখ থেকে তো কোনদিন এমন ধারা কথা শুনি নি। বেছে বেছে ভবানী ডাক্তারের বাড়িতে কাজ করা ওই মেয়েটিকেই ওইসব করতে যাবে ? 
প্রসাদ মোড়ল বলে , দেখ অভিযোগটা তো আমাদের নয়। যার সঙ্গে নোংরামি হয়েছে সে'ই অভিযোগ করেছে।
প্রসাদ মোড়লের কথা শেষ হতেই ভবানী ডাক্তার বলে ওঠে , অত কথায় দরকার কি আছে ? পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমও আসছে। যা বলার তাদেরকেই বলো।
পুলিশ আর সংবাদ মাধ্যমের কথা শুনে পরিত্রাণের শেষ আশার আলোটুকু নিভে যায় প্রিয়র। সে দুহাতে মুখ ঢাকা দিয়ে মনে মনে নিজের মৃত্যু কামনা করতে থাকে।প্রশান্তকাকারাও কি করবেন ভেবে পান না। প্রিয়র বাড়িতে একটা খবর দেওয়া খুব প্রয়োজন বলে মনে হয় তাদের। কিন্তু এই খবর কোন মুখেই বা দিতে যাবেন ? তারই মধ্যে ক্ষীণ আশার একটা আলো দেখতে পান তারা। প্রসাদ মোড়লরা সংবাদ মাধ্যমকে খবর দিয়েছে। তার মানে আর্যবাবুরও আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর্যবাবু কোনও ভাবে যদি প্রিয়কে উদ্ধার করতে পারেন সেই আশায় সংবাদ মাধ্যমের অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকেন তারা। 
তখনও খবরটা প্রিয়র বাড়িতে পৌঁছোয় নি। স্বামীর অপেক্ষায় থাকতে থাকতে  তীব্র অভিমান হয় স্বাতীর। অভিমান থেকে রাগ , আর একসময় রাগ থেকে দুশ্চিন্তা শুরু হয় তার মনে। সচরাচর এত দেরী তো হয় না প্রিয়র। বাবার প্রতীক্ষায় ছেলেমেয়ে দুটোরও খাওয়া হয় নি। তাড়াতাড়ি ফিরবে বলে ওদের বাবাও তো খেয়ে যায় নি। ঘর বার করতে করতে একসময় ধৈর্য হারা হয়ে পড়ে স্বাতী। শেষ পর্যন্ত টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার ভরে দিয়ে ছেলেকে ডেকে বলে, যা দেখি বাবা তোর বাবাকে খাবারটা দিয়ে আয়। আজ হাসপাতালে কেউ নেই বলে হয়তো তোর বাবা হয়তো আসতে পারছে না।খাবার নিয়ে হাসপাতালের গেটের মুখে পৌঁছোতেই জটলাটা চোখে পড়ে শঙ্খর। কৌতুহলে এগিয়ে যায় সে। জটলার ফাঁক গলে ভিতরে ঢুকতেই বাবাকে দেখে তার হাত থেকে টিফিন ক্যারিয়ারটা পড়ে যায়। খাবারগুলো ছড়িয়ে পড়ে মাটিতে। দুটো কুকুর তা কুড়িয়ে খেতে শুরু করে।



                            ছেলের উপস্থিতি টের পায় না প্রিয়। সে চোখ বন্ধ করে বসেছিল। মার খেতে খেতে ততক্ষণে যন্ত্রণা বোধটাই চলে গিয়েছে তার। তারপরেও যে যখন আসছে সমানে হাত চালিয়ে যাচ্ছে। সেটা দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারে না শঙ্খ। ছুটে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে সে। চিৎকার করে বলে , কেন আমার বাবাকে এভাবে বেঁধে  রেখে মারধোর করছ তোমরা ?  কি করেছে আমার বাবা ? ছেড়ে দাও ,  নাহলে ভাল হবে না বলছি।
কেউ তার কথা কানেই তোলে না। মারধোর চলতেই থাকে। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে চড় থাপ্পড় পড়ে তার গায়েও। তবু বাবাকে ছাড়ে না শঙ্খ।  ছেলের গলা পেয়ে লজ্জা-অপমানে কথা বলার ক্ষমতাটুকুও হারিয়ে ফেলে প্রিয়। তারই মাঝে কেউ একজন বলে ওঠে , তোর বাবা লীলা করেছে রে লীলা।
কথাটা শুনে দপকে যায় শঙ্খ। ইঙ্গিত বোঝার বয়েস তার হয়েছে। নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারে না সে । বাবার সম্পর্কে এইরকম অভিযোগ কেউ করতে পারে তা সে ভাবতেই পারে না। তাই তীব্র প্রতিবাদ করে ওঠে সে। চিৎকার করে বলে , মিথ্যা কথা। আমার বাবা এমনটা করতে পারে তা আমি বিশ্বাস করি না।
সেই সময় আরতিকে নিয়ে এসে তার সামনে দাঁড় করিয়ে দেয় ভবানীডাক্তার। তারপর বলে , আমাদের কথা বিশ্বাস নাহয় তো এর মুখ থেকে শুনে নে তোর বাবার কীর্তি। 
ব্লাউজ ছেঁড়া আলুথালু বেশের আরতির দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে শঙ্খ।
সেটা দেখে কান্না জড়ানো গলায় গল্পটা বলে আরতি। আর তা শুনেই প্রিয় বলে , বাবু বিশ্বাস করিস না ওর কথা।আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। প্রিয়র কথা শেষ হয় না। কয়েকজন লোক এগিয়ে এসে বলে , অত কথার দরকার কি ? চোর - ডাকাতরা কি কখনও চুরি-ডাকাতির কথা স্বীকার করে ?
বলেই শঙ্খকে বাবার কাছে থেকে টেনে সরিয়ে দেয় প্রসাদ মোড়লদের লোকেরা। প্রশান্তকাকারা তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। তাদের বুকে প্রবল কান্নায় ভেঙে পড়ে শঙ্খ। ততক্ষণে ফের শুরু হয়ে যায় গণপ্রহার। এবারে যন্ত্রণায় ককিয়ে করে ওঠে প্রিয়। কিন্তু একদল উন্মত্তের পৌশাচিক উল্লাসে চাপা পড়ে যায় তার আর্ত চিৎকার।



       ( ক্রমশ ) 







     নজর রাখুন / সঙ্গে থাকুন 


শীঘ্রই দেশ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে আমার তৃতীয় উপন্যাস ------
  
                                  


                       ----০---

No comments:

Post a Comment