( কিস্তি --- ৪৫ )
তখন আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়ে তার চোখে। কিছুক্ষণ কথা বলতে পারেন না তিনি। সেই সময় বাড়ির দোরগোড়াতে রিক্সার ঘন্টি শুনে সম্বিৎ ফেরে তাদের। চেয়ে দেখেন রিক্সায় জয়ন্তবাবুরা বসে রয়েছেন। তাদেরও একসঙ্গে যাওয়ার কথা। তাই দ্রুত চোখের জল মুছে বেরোনোর জন্য প্রস্তুতি নেন সুধাদেবী। তাদের জন্য রিক্সা আগেই চলে এসেছে। মনোতোষও তাদের সঙ্গে কলেজে যাবে।সাধনা আর ভুবনবাবুর কাছে বিদায় নিয়ে রিক্সার দিকে এগিয়ে যান সুধাদেবী।
কিন্তু তার সামনে এসে দাঁড়ান রুম্পার বাবা।হাত কচলে বলেন -- দিদি দেনাপাওনার ব্যাপারটা যদি--
তাকে থামিয়ে দিয়ে সুধাদি বলেন , দেনা পাওনা আবার কিসের ? আমার কিছুই চাই না। তাছাড়া এই বিয়ের ব্যাপারে যা বলার , যা কিছু করার সব ভুবনই করবে।
তারপরই সবাই রিক্সায় উঠে হাত নাড়তে থাকে। গ্রাম ছেড়ে স্টেশনের বাঁকে রিক্সা মিলিয়ে যেতেই এবার ভুবনবাবুর কাছে ফের দেনাপাওনার প্রসঙ্গ তোলেন রুম্পার বাবা।আমতা আমতা করে বলেন , আমার অবস্থা তো আপনার অজানা নয় মাস্টার মশাই। আর্শিবাদের পর থেকে বড়ো দুশ্চিন্তায় আছি। কত কি দিতে হবে জানতে না পারা পর্যন্ত মনে শান্তি পাচ্ছি না।
---- সুধাদিই তো যা বলার তোমাকে বলে গেলেন। তারপর আবার আমি কি বলব ?
---- হ্যা উনি তো আপনাকেই সব দায়িত্ব দিয়ে গেলেন। সে মেয়েকে গয়না - দান সামগ্রী যা দেওয়ার দেবে । নগদ টাকা আপনাকে কত দিতে হবে শুধু সেইটা বলুন তাহলেই হবে।
--- আমাকে দিতে হবে মানে ? আমি কে ?
---- আপনিই তো সব। কেউ না জানুক আমি তো জানি আপনি না লাগলে এ বিয়ে হত না।
---- তা বলে আমি কিছুই নিতে পারব না।
---- নিতে পারব না বললে চলবে কি করে ? আপনার বাড়িতেই বিয়ে হবে। ঘর খরচা বলেও তো একটা ব্যাপার আছে।
--- সেটা আমি কোন রকমে সামলে নেব।
---- তা বললে কি করে হবে ? আমাদের ছেলেমেয়ের বিয়ে হবে , আর নিজের পকেট থেকে সব খরচ আপনি করবেন তাই কি হয় ? এর পরেই তো আপনার নিজের ছেলের বিয়ে দিতে হবে। আপনাকে যতটুকু চিনেছি তাতে মেয়ের বাবার কাছে এক পয়সা যে হাত পেতে নেবেন না তা হলফ করেই বলা যায়।তাহলে এখন কিছু নেব না বললে চলবে কি করে ?
--- সে না হয়তো ছেলের বিয়ের সময় আটকে গেলে তোমরা দেখবে। কিন্তু এখন কিছু নিতে পারব না। আর তোমাদের ছেলেমেয়ে বুঝি আমার ছেলেমেয়ে নয় ?
--- সে তো দেখবই। আমাদের ছেলেমেয়ের আসল বাবা-মা তো আপনারাই। তবে এতদিন আপনার কোন কথাই আমি অমান্য করি নি। কিন্তু এই কথাটা মানতে পারব না। তখন কিন্তু দোষ দিতে পারবেন না।
ভুবনবাবুকে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় শান্তি। সে চলে যেতেই সাময়িক স্বস্তি পান ভুবনবাবু। তাকে মহা বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছিল সে। কিন্তু কি করে সবদিক সামাল দেবেন সে চিন্তাও উড়িয়ে দিতে পারেন না। ভরসা বলতে স্কুলের প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে লোন নেওয়া। কিন্তু এই স্বল্প সময়ের মধ্যে সেটাও পাওয়া যাবে কিনা কে জানে ? স্বামীর মনের অবস্থাটা টের পান সাধনা।
দু'কাপ চা করে এনে স্বামীর পাশে বসেন তিনি। তারপর চা খেতে বলেন , তুমি অত
ভাবছ কেন ? আমার কিছু জমানো টাকা আছে। আর দুগাছা চুরি বিক্রি করে দেবে তাহলেই
হবে।
---- কিন্তু তোমার চুরি বিক্রি করে দেব ?
---- ক্ষতি কি ? দুঃসময়ের জন্যই তো মানুষ গয়না করিয়ে রাখে। তারপর না হয় সুসময় এলে আবার গড়িয়ে দিও। কিন্তু তোমাকে আমি কারও কাছে হাত পাততে দেব না।
---- কিন্তু আমি ভাবছি অন্য কথা।
---- কি কথা ?
---- ভাবছি প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে লোন নেব।
স্বামীর কথা ঠিক মনোপুত হয় না সাধনার। তাই সে চুপ মেরে যায়।স্ত্রীকে হঠাৎ চুপ করে যেতে দেখে ভুবনবাবু জিজ্ঞেস করেন কি হল , কিছু বলছো না যে ?
---- বলে আর কি হবে ? তুমি তো আমার সঙ্গে আলোচনা না করে একা একাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছো।
স্ত্রীর যে অভিমান হয়েছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না ভুবনবাবুর। অভিমান দূর করার উপায়ও তার জানা আছে। সেটাই প্রয়োগ করেন। স্ত্রীর হাত দুটো নিজের হাতে তুলে নিয়ে বলেন , এই দেখ এটা রাগের সময় ? আমার কি এখন মাথার ঠিক আছে।কোথাই একটু যুক্তি পরামর্শ দেবে , তা নয় বাচ্চা মেয়ের মতো অভিমানে ঠোঁট ফুলিয়ে বসে আছে।
---- বয়েই গ্যাছে আমার অভিমান করতে। তাছাড়া আমার যুক্তি পরামর্শ আজকাল আর কেই বা কানে তোলে ?
---- তোমার পরামর্শ কানে তুলব না মানে ? তুমি একবার বলেই দেখ যদি কানে না তুলি তাহলে আমি তোমার স্বামীই নয়।
স্বামীর কথা শুনে তার পিঠে গোটা কতক সোহাগের কিল মেরে বলেন , বেশ বললে তো ! আমার যুক্তি পরামর্শ না শুনলে তুমি নাকি আমারই স্বামী নও। তাতে যেন আমার খুব ভালো হবে।
ততক্ষণে অভিমান গলে জল হয়ে যায় সাধনার। স্বামীর হাত ধরে বলেন , আমাদের তো বিপদ-আপদ, হায়-দায় , মনোর ভবিষ্যত বলতেও তো ওই টাকাটুকু সম্বল। তাই বলছিলাম ওখান থেকে লোন নেওয়ার পরই যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে কি হবে ? তার চেয়ে আমি বলি কি চুরি দুগাছা বিক্রি করে কতটা হচ্ছে দেখই না আগে তারপর ভাবা যাবে।
স্ত্রীর কথাটা যুক্তিযুক্ত মনে হয় ভুবনবাবুর। সত্যিই তো, প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে তিনি যা লোন পাবেন তার সবটাই লাগবে না বিয়েতে। কিন্তু তুললে সেটা অবধারিত খরচ হয়ে যাবে। আবার যদি সবটা নাও তোলেন তাহলেও লোন পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত লোন পাবেন না। ওই সব কোন সমস্যাই পড়লে তো পথে বসতে হবে তাদের। অগত্যা চুড়ি বিক্রিরই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।কিন্তু চুড়ি বিক্রির আগেই একে একে সব মুশকিল আসান হয়ে যায়।সব কথা শোনার পর ভুবনবাবুর সান্ধ্য আসরের বন্ধুরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েন।
গ্রামে কয়েকটি এজমালি পুকুর রয়েছে। সেইসব পুকুরের পাড় পিটেলি , বিষকড়মজা , ভাজাবালির মতো বহু অকেজো গাছে ভর্তি।যার যখন ভোজকাজ হয় সেইসব গাছ কেটেই জ্বালানির ব্যবস্থা করা হয়। পুকুরের অংশ থাকলে ভালো , না হলে মালিকদের অনুমতি নিয়ে অন্যরাও পেতে পারেন গাছ। কিন্তু ভুবনবাবুকে গাছের জন্য কাউকেই বলতে হয় না। তার অংশ না থাকলেও তাঁর সান্ধ্য আসরের বন্ধুদের অনেকেরই অংশ রয়েছে ওইসব পুকুরে। তারাই গাছ কেটে কাজের ফাঁকে বিকালে বিকালে কাঠ চেলিয়ে ডাই করে দেয়। জ্বালানির সংস্থান হতেই একদিন বিকালের দিকে তার বাড়ির সামনে এসে থামে একটি গরুর গাড়ি।তারপর তাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সমস্ত মুদিখানার মাল তার বাড়িতে ঢুকিয়ে দিয়ে যায়। জিজ্ঞেস করতেই তারা বলে, সব মদন ময়রা পাঠিয়েছে। তখন স্মরণ হয় ভুবনবাবুর।
মদন ময়রা মুরুব্বি গোছের মানুষ। ভোজকাজের বাড়িতে একাই একশো।তারা আসলে মিষ্টির কারিগর। ভোজের বাড়িতে ভিয়েন বসিয়ে মিস্টি তৈরি করে দিয়ে আসেন। নিজেদের মিস্টির দোকান , মুদিখানা সহ বিভিন্ন কারবার আছে। তাদের মুদিখানা থেকেই ভুবনবাবুর বাড়িতে মাস কাবারে নটকোনের জিনিস আসে। তাই বিয়েতে কি রকম কি খরচ পত্র হবে জানতে একদিন তার কাছে নটকোনের ফর্দ করিয়েছিলেন। তবে তিনি চূড়ান্ত কিছু বলেন নি। কিন্তু মাল যে তিনি তার দোকান থেকে নেবেন তা ভালোই জানেন মদন। সেইজন্যই বোধ হয় আগে থেকে মালপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু পরদিন মদনের দোকানে গিয়েই ভুল ভাঙে তার। সাধনার জমানো টাকা নিয়ে দাম মেটাতে গিয়েই ' থ ' হয়ে যান তিনি।কত টাকা কি বিল হয়েছে প্রশ্ন করতেই মদন ময়রা বলেন , সে কি মাস্টার মশাই ফর্দ পান নি ? আমি তো আলাদা আলাদা বিল করেই পাঠিয়ে দিয়েছি শান্তিদার হাতে।এতক্ষণে বিষয়টি বোধগম্য হয় ভুবনবাবুর। তাই বলেন , সে ঠিক আছে। আমি জানতে চাইছি কত টাকা দিতে হবে আমাকে ?
--- আপনাকে তো আর কোন টাকা দিতে হবে না। শান্তিদার হাত দিয়ে যা পাঠিয়েছিলেন তাতেই হয়ে গিয়েছে।
---- তাতেই হয়ে গিয়েছে --- -- !
--- হ্যা তাই তো। সেই ফর্দও আমি শান্তিদার হাতেই দিয়ে দিয়েছি। শান্তিদাই তো বললেন, আপনিই নাকি ওকে বলেছেন তুমি তো মেয়ের বিয়ের মাল আনতে যাবেই, আমার মালটাও এনে দিও। আপনিও একদিন ফর্দ করিয়ে গিয়েছিলেন।সেই ফর্দের থেকে সব মালই বেশি বেশি গিয়েছে। কেন কিছু সমস্যা হয়েছে মাস্টারমশাই ?
---- সমস্যা -- না, না সমস্যা কিসের ? সব ঠিক আছে। তুমি যেন আগের দিন যেতে ভুলে যেও না।
--- কি যে বলেন মাষ্টারমশাই , আপনার বাড়িতে কাজ আর আমি ভুলে যাব ? না বললেও আমি ঠিক হাজির হয়ে যেতাম।
মদন ময়রার শেষের কথা গুলো আর কানেই যায় না ভুবনবাবুর। মনে মনে ভাবেন , শান্তি তো তাকে আচ্ছা চিক খাইয়ে দিল। কিন্তু সেটা যে নেহাৎ সূচনা ছিল তা মালুম পেলেন দিন কয়েক পরে।
তাদের গ্রামের ভোজ কাজে সাধারণত সমীরণ ধীবর মাছ আর দিলীপ দাস ছানা যোগান দেয়। অধিকাংশই তাদের কাছে থেকেই মাছ আর ছানা নেয়। কারণ সমীরণ তাদের পরিবারের লোকেদের নিয়ে মাছ কাটাকুটি করে দেয়। আর দিলীপ রাত জেগে মিষ্টির ভিয়েনের উনুনে জ্বাল দেওয়া, গুটি পাকানো থেকে টুকটাক কাজ করে দেয়। এজন্য মাছ - ছানা বায়না দেওয়ার পাশাপাশি তাদের নিমন্ত্রণ করাটাও রীতি হয়ে গিয়েছে।সেই মতো সেদিন ওদের বায়না দিতে গিয়েই শান্তির কারসাজি টের পান ভুবনবাবু। তাকে দেখেই সমীরণ আর দিলীপ আগুপিছু বলে উঠে , মাস্টারমশাই কোন দুশ্চিন্তা করতে হবে না। সময় মতো মাছ ছানা নিয়ে আমরা ঠিক পৌঁচ্ছে যাব।
--- কিন্তু কত কি লাগবে না জেনেই --- --।
---- ওসব শান্তিদার সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। আপনার পাঠানো টাকাও মিটিয়ে দিয়েছেন।
শুনেই হা হয়ে যান ভুবনবাবু। শান্তি যে পরিকল্পিতভাবে একের পর এক এমন কান্ড ঘটাবে তা তিনি ভাবতেও পারেন নি। তাই একদিন শান্তিকে ধরেন তিনি।রেগে মেগে জিজ্ঞেস করেন , এগুলো কি হচ্ছে ? তুমি কি প্রতিদান দিচ্ছ ?
---- প্রতিদান নয় মাস্টারমশাই , প্রতিদান নয়। আমি ঋণ শোধের চেষ্টা করছি। আপনি না থাকলে অমন পাত্র আমি পেতাম ? আর সেদিনই তো আমি বলেছিলাম আপনার এই কথাটা আমি রাখতে পারব না সে আপনি রাগ করুন আর যাই করুন।
তারপর আর কোন কথা চলে না ভুবনবাবুর। কারণ শুধু শান্তিকেই দোষ দিতে পারেন না তিনি। তার বারণ অগ্রাহ্য করে সান্ধ্য আসরের বন্ধুরাও যে যা পেরেছে জোর করে তার বাড়িতে ঢুকিয়ে গিয়েছে। সেইজন্য কেনা কাটা তাকে বিশেষ করতে হয় নি বললেই চলে। সে কেবল বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিমন্ত্রণটুকু করে এসেছে মাত্র। দেখতে দেখতেই বেজে ওঠে বিয়ের সানাই। বিয়ের আগের দিনই কয়েকজন প্রতিবেশীদের নিয়ে এসে পৌচ্ছে যান সুধাদিরা। আসে অম্লানও। ভোম্বল - জয়ন্তবাবুরা অবশ্য দু'তরফের নিমন্ত্রিত। তাই ভুবনবাবুর সঙ্গে দেখা করে বলে যান রুম্পাদের বাড়িতে উঠলেও কিন্তু খাওয়া-দাওয়ার সময় বরযাত্রী দলের সঙ্গে ভিড়ে যাবেন তারা। আবার বৌভাতের দিন কনেযাত্রী হয়ে কবজি ডুবিয়ে খেতে আসবেন। ভুবনবাবুও তাদের সংগে মজা করে বলেন -- আপনারা দেখছি শাঁখের করাত , দুদিকেই কাটেন।
তার কথা শুনে হাসতে হাসতে রুম্পাদের বাড়ি অভিমুখে রওনা দেন ভোম্বলবাবুরা। ভুবনবাবু ব্যস্ত হয়ে পড়েন বিয়ের তদারকিতে।তবে তাকে অবশ্য খুব বিশেষ মাথা ঘামাতে হয় না। তার সান্ধ্য আসরের বন্ধুরা তো ছিলই , অম্লান এসেও যাকে বলে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। সবার আন্তরিকতায় মহা ধুমধাম করেই বিয়েটা হয়ে যায়। ভুবনবাবুই বরকর্তা হয়েই বিয়েটা দেন। গ্রামের সবাই ধন্য ধন্য করে। কেবল কুনালের মতো কয়েকজন টিপন্নী কেটে বলে -- দেখে বাঁচি না।
মনে হচ্ছে যেন নিজের ছেলের বিয়ে দিচ্ছে।অন্যান্যদের মতো ভুবনবাবু নিজে গিয়ে তাদের বাড়িতেও নিমন্ত্রণ করে এসেছিলেন। নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে আসার সৌজন্যটুকুও দেখায় নি কুনাল , কিন্তু হাওয়ায় টিকাটিপ্পনী ছুড়ে দিতেও ছাড়ে নি। সবই কানে আসে তার। কিন্তু গুরুত্ব দেন না। সব কিছু সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সুধাদি খুব খুশি। বৌভাতের পর নতুন বৌ নিয়ে ফেরার সময় সেই খুশী তিনি চেপে রাখতে পারেন নি। গাড়িতে ওঠার সময় ভুবনবাবু আর সাধনার হাত ধরে আপ্লুত গলায় তিনি বলেন , তোমাদের এই ঋণ আমরা কোন দিন শোধ করতে পারব না।
তার কথা শেষ হতেই দরজা ছেড়ে এগিয়ে যায় গাড়ি। তারপরই একটি চেয়ারে অবসন্ন শরীর এলিয়ে দেন ভুবনবাবু। মনে মনে ভাবেন, যাক চাপটা কাটল এতদিনে। কিন্তু স্কুলে গিয়ে ফের তাকে নতুন চাপের মুখে পড়তে হয়।
( ক্রমশ )
No comments:
Post a Comment