( কিস্তি ---- ৪৪ )
তখন আর শোনা যায় না চটুল গানের শব্দ। এক অনাবিল ভালো লাগা নিয়ে বাড়ির পথে ফেরে তারা। আসতে আসতে প্রভাতের সঙ্গে চোখাচোখি হয়ে যায় রুম্পার। দুজনের মনই তখন পুলকানুভূতিতে ভরপুর।আজকের দিনটা তাদের জীবনে স্বরনীয় হয়ে থাকবে। স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজকের এই পিকনিকও। এই পিকনিকই তো তাদের একসূত্রে গেঁথে দিল। কোনদিন ভুবনবাবুর কথাও কি ভুলতে পারবে তারা ? তাঁর জন্যই তো সব সম্ভব হলো। ওইসব কথা মনের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে রুম্পার , তাই কখন যে গ্রামে গাড়ি ঢুকেছে সেটা টের পায়নি সে। গ্রাম ঢোকার মুখেই তাদের বাড়ি। তাই তাদেরকেই আগে গাড়ি থেকে নেমে যেতে হয়। নামার সময় অজান্তেই রুম্পার চোখ চলে যায় প্রভাতের দিকে। সে দেখে প্রভাতদাও মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে আছে তার দিকে। অন্য কারও চোখে পড়ে যাওয়ার আশংকায় সে লজ্জায় চোখ নামিয়ে নেয়।
গাড়িটা তখন তাদের ছাড়িয়ে চলে যায়। প্রভাতদার কথা ভাবতে ভাবতেই বাড়িতে পা রাখে রুম্পা। একে একে অন্যদের নামিয়ে সবার শেষে ভুবনবাবুরা বাড়ি ফেরেন।বাড়ি ফিরেই আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। সকালেই অম্নান আর সুধাদিরা চলে যাবেন। তাই প্রভাতের বিয়ে নিয়ে সুধাদি আর অম্লানের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে চান তিনি। সেইমতো বৈঠকখানা ঘরেই বৈঠক বসে। পিকনিক থেকে ফিরে ক্লান্ত থাকায় সেদিন আর ভুবনবাবুর সান্ধ্য আসরের বন্ধুরা কেউ আসেন নি। খোলামেলা আলোচনা চলে গভীর রাত্রি পর্যন্ত। শুরুতেই সুধাদি বলেন , আমার তো সাতকুলে নিজের বলতে কেউ নেই। কাজকর্ম সব ভাই তোমাকেই সামলাতে হবে।
ভুবনবাবু বলেন , কাজকর্ম করতে তো আপত্তি কিছু নেই।কিন্তু বিয়ের ব্যাপার তো ২/৩ জন লোক নিয়ে সামাল দেওয়াও যাবে না।
---- তাহলে ?
---- আমাদের গ্রামে হলে তো কোন কথা ছিল না। আমার সান্ধ্য আসরের বন্ধুরাই সবদিক সামলে দিত। কিন্তু সবাইকে তো আর অতদুরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আর সবার পক্ষে যাওয়াটাও সম্ভব হবে না।
ভুবনবাবুর কথা শুনে এবারে মুখ খোলেন অম্লানবাবু। তিনি বলেন , আচ্ছা সবাইকে না হয় অত দূরে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না , কিন্তু দুজনকে তো নিয়ে আসা সম্ভব হবে ? আর দুজনকে উঠিয়ে আনতে পারলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
---- মানে ?
---- মানে সুধাদির যখন আত্নীয় স্বজন বলতে কেউ তখন যদি প্রভাত আর সুধাদিকেই আগের দিন নিয়ে এসে তোর বাড়ি থেকেই বিয়ের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে কেমন হয় ?
কথাটা লুফে নেন ভুবনবাবু। সপ্রশংস দৃষ্টিতে বন্ধুর দিকে চেয়ে বলেন , ভালো বলেছিস তো। এদিকটা তো আমি ভেবে দেখি নি।
---- তারপর একেবারে বৌভাতের অনুষ্ঠান সেরে বৌমা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন সুধাদি।তাতে পাড়ার যদি কাউকে নিমন্ত্রণ করার থাকে তাদেরও একটা গাড়ি ভাড়া করে বৌভাতের দিন আনা যেতেই পারে। বরযাত্রী আনতে হলে তো সেই গাড়ি ভাড়া করেই আসতে হত।
---- সুধাদির মত কি ?
ভুবনবাবুর প্রশ্নে দোটানায় পড়েন সুধাদেবী।কিছুটা অস্বস্তির সঙ্গে বলেন , আমার কোন অসুবিধাই নেই। আমি ভাবছি তোমার কথা।
---- আমার কথা ?
---- নিজের ছেলে থাকতে বাড়িতে প্রথম পরের ছেলের বিয়ে দেওয়াটা উচিত নয়।
সেই সময় চা নিয়ে ঘরে ঢোকেন সাধনা। সবার দিকে চায়ের কাপ এগিয়ে দিয়ে তিনি বলেন -- কে বলল আপনাকে প্রভাত আমাদের পরের ছেলে ? ও যে আমাদের বড়ো ছেলের মতো। তাই অন্য কোন অসুবিধা না থাকলে এই বাড়ি থেকেই প্রভাতের বিয়ে হবে। মনোর বাবাই ওদের বিয়ে দেবেন।
--- আর আমার কিছু বলার নেই। তোমরা তোমাদের বড়ো ছেলের বিয়ে যেভাবে খুশী দিতে পারো।
ঠিক হয় রুম্পার বাবার সঙ্গে কথা বলে মাঘ মাসের প্রথম দিকেই বিয়ের দিন ঠিক করা হবে। সেই মতো জানিয়ে দেওয়া হবে সুধাদিদের। জয়ন্তবাবুরা তো কন্যাপক্ষের নিমন্ত্রিত হিসাবে আসবেন। ভোম্বলবাবুদের মতো দু-চারজন যেসব শুভানুধ্যায়ী আছেন তাদের নিয়ে বিয়ের আগের দিন পৌঁচ্ছে যাবেন সুধাদিরা। অম্লানবাবুও আগের দিন চলে এসে কোমর বেঁধে বিয়ের কাজে লেগে যাবেন। সেদিন অনেক রাত পর্যন্ত বিয়ে নিয়েই গল্প গুজব চলে।শোওয়ার পরও তাই দীর্ঘক্ষণ ভুবনবাবুদের চোখে ঘুম আসে না। ঘুমাতে পারে না প্রভাত আর রুম্পাও। মায়ের পাশটিতে শুয়ে উশখুশ করেই চলে রুম্পা। মা-বাবা যে শেষ পর্যন্ত তাদের বিয়েতে রাজী হবেন তা ভাবতে পারে নি সে।
শুধু মেনে নেওয়াই নয় , আজ থেকে মায়ের কাছেও তার কদর অনেক বেড়ে গিয়েছে।বেশ কয়েকবার পাত্রপক্ষ সমন্ধ ভেস্তে দেওয়ায় মায়ের বিষ নজরে পড়ে গিয়েছিল সে। আকারে প্রকারে খোঁটা শুনতে হচ্ছিল তাকে। সেই মা বাড়ি ফেরার পর থেকে মা-মা করে সোহাগের সুরে কথা বলছে তার সঙ্গে। শুধু কি তাই ? পিকনিক থেকে ফেরার পর থেকে পাড়া প্রতিবেশী যে'ই বাড়িতে এসেছে তাকেই ধরে ধরে হবু জামাই আর বেয়ানের গুণকীর্তন করছে। যারা এতদিন গরীব আর নীচু জাত বলে চক্ষুশুল ছিল তারাই আজ যেন নয়নের মনি হয়ে উঠেছে। তবে মাকে একা দোষ দিয়ে লাভ নেই। পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজনদের ক্ষেত্রেও সে দেখেছে যখনই ছেলেমেয়ের কোন বিয়ের সমন্ধ ভেঙেছে তখন বাবা-মায়ের তাদের হাজারো ত্রুটি খুঁজে বের করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাইকে বলেছেন। আবার যখন বিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে তখন হবু বেয়াই - বেহানদের গুণকীর্তনে কান ঝালাপালা করে তুলেছেন। তবে মায়ের বাড়াবাড়িটা একটু যেন বেশিই মনে হচ্ছে তার। প্রভাতদার প্রশংসায় আর ধরে না। মনে হচ্ছে মা'ই বুঝি প্রভাতদার প্রেমে পড়ে গিয়েছে। কথাটা মনে আসতেই দুষ্টু বুদ্ধি খেলে যায় তার মাথায়। একা পেলে প্রভাতকে চেপে ধরবে সে। বলবে --- কি ব্যাপার , মা হঠাৎ তোমার এত অনুরক্ত হয়ে পড়ল কেন বলতো ?
কথাটা শুনেই প্রভাতদার মুখের অভিব্যক্তিটা কেমন হবে তা যেন মানস চক্ষে দেখতে পাচ্ছে রুম্পা। ভোলেভালে মার্কা মুখটা আরও শিশুর মতো হয়ে উঠবে। সেই মুখেই মনে মনে একের পর এক চুমু খেতে খেতে ঘুম নেমে আসে রুম্পার চোখে। মনোতোষের পাশে শুয়ে প্রভাতও ঘুমের ভান করে পড়ে থাকে। সে ঘুমোয় নি জানলে রুম্পার প্রসঙ্গ তুলে তার পিছনে লাগবে মনোতোষ। কিন্তু ঘুমের ভান করে পড়ে থাকলেও রুম্পার মুখটাই তার সামনে বার বার ভেসে ওঠে। রুম্পার কথা ভাবতে ভাবতে তার চোখে ঘুম নামতে রাত ভোর হয়ে যায়। সকালে ঘুম ভাঙে মনোতোষের ডাকে।চোখ খুলে দেখে কৌতুকভরা দৃষ্টিতে তার দিকে চেয়ে আছে মনোতোষ। সেটা দেখেই বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ে প্রভাত।
কিছুক্ষণের মধ্যেই বেরোতে হবে তাদের। তাই দ্রুত বেরোনোর তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। সেই সময়ই হন্তদন্ত হয়ে বাড়িতে ঢোকেন রুম্পার বাবা। তাকে দেখেই সবার মুখে দুঃচিন্তার ছায়া ঘনিয়ে আসে। সব থেকে চিন্তিত দেখা যায় ভুবনবাবুকে। তিনি মনে মনে ভাবেন , রাতারাতি কি মত বদলে গেল ওদের ? তাহলে তো লজ্জায় মাথা কাটা যাবে তার। সবার সামনে আর্শিবাদ হয়ে যাওয়ার পর বিয়ে বন্ধ হয়ে গেলে কি করেই বা সুধাদির কাছে মুখ দেখাবেন তিনি ? তাই খুব সংশয়ের সংগেই বলেন, এসো শান্তি। এত সকাল সকাল কি ব্যাপার ?
--- ওনারা তো চলে যাবেন। তাই সকাল সকালই আসতে হল। বিয়ের ব্যাপারে একটা কথা বলার ছিল। সেটা বলতেই ছুটে আসা।
শান্তির কথা শুনেই বুকের ভিতরটা যেন ধক করে ওঠে ভুবনবাবুর। তাহলে কি তিনি যা আশংকা করেছিলেন তাই বলতেই এসেছে শান্তি ? সেই আশংকায় সাহস করে কিছু জিজ্ঞেসও করতে পারেন না তিনি।জিজ্ঞাসু চোখে কেবল শান্তির মুখের দিকে চেয়ে থাকেন তিনি। সেটা লক্ষ্য করেই শান্তি বলে , আসলে কাল পিকনিক থেকে ফেরার পরই আমি আমাদের কুল পুরোহিতের বাড়ি গিয়েছিলাম। সব শুনে উনি বললেন মাঘ মাসের পাঁচ তারিখে একটা ভালো দিন আছে। ওনাদের যদি অসুবিধা না থাকে তাহলে ওইদিনেই বিয়েটা ঠিক করব ভাবছি। সেই মতটা নিতেই সাত সকালে ছুটে আসতে হল।
কথা শোনার পর যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে সবার। রুদ্ধশ্বাসে চা খেতেও ভুলে গিয়েছিল সবাই। কাপের চা কাপেই ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে।সেটা লক্ষ্য করে ভুবনবাবু স্ত্রীর উদ্দেশ্যে হাক পাড়েন -- কই গো আর এক রাউণ্ড করে চা হয়ে যাক নাকি? সাধনাও একক্ষণ চরম সংশয়ের মধ্যে ছিলেন। আর্শিবাদের কথাটা এতক্ষণে আর কারও জানতে বাকি নেই। কুনাল আর রামের কানেও পৌঁচ্ছে যাবে। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার খবর শুনে ওরা তো হাসির খোরাক পাবে। স্বামীকে কারও কাছে হাস্যাস্পদ হতে হলে সে যে কিছুতেই সহ্য করতে পারবে না। তাই রুম্পার বাবার কথা শুনে সাধনাও স্বস্তি পান।
রান্নাঘরের দিকে যেতে যেতে বলেন , হ্যা হ্যা তোমরা কথা বলো। আমি এক্ষুনি চা নিয়ে আসছি।
শান্তির প্রশ্নে ভুবনবাবুকে কিছু বলতে হয় না। সুধাদেবীই বলেন , আমাদের তরফে কোন অসুবিধা নেই। যা করার ভুবনকেই তো করতে হবে। মাঝে তো আর সতেরোটা দিন হাতে রয়েছে। এই কয়েকদিনে ও কি সবদিক সামাল দিতে পারবে ?
প্রশ্নটা ঘুরপাক খায় ভুবনবাবুর মাথায়। সত্যিই তো, তার নিজের অর্থনৈতিক অবস্থা তো তেমন একটা স্বচ্ছল নয়। সঞ্চয় বলতেও কিছু নেই। না রুম্পার বাবা, না সুধাদি কারও কাছে হাত পেতে কিছু তিনি নিতেও পারবেন না। তাহলে কি করে সবদিক সামলাবেন তা ভেবে কিছু কুলকিনারা পান না তিনি। কিন্তু না'ও করতে পারেন না।তাই চরম দোটানার মধ্যে পড়তে হয় তাকে। অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এবারেও মুশকিল আসানএগিয়ে আসেন স্ত্রী। সবার দিকে চায়ের কাপ এগিয়ে দিতে দিতে তিনি বলেন , না না আমাদেরও কোন অসুবিধা নেই। মেয়ের বাবা যদি সতেরো দিনের মাথায় সব যোগাড়পাতি করতে পারেন তাহলে আমরাই বা পারব না কেন ? পাঁচ মাঘই দিনটা ফাইন্যাল করা হোক।
ব্যস, স্ত্রীর কথা শুনেই ভুবনবাবুর মাথা থেকে দুঃশ্চিন্তার ভার নেমে যান। তিনি এর আগেও দেখেছেন , যখনই কোন দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন তখন সাধনা বলেছে , অত ভেব না তো, দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে। বলা বাহুল্য সেইসব সমস্যার ঠিক সমাধানও হয়ে গিয়েছে। সেইজন্য স্ত্রীর কথায় বড়ো বল-ভরসা পান ভুবনবাবু।সেই ভরসায় তিনিও বলে ওঠেন , হ্যা হ্যা, ওইদিনটাই চূড়ান্ত করা হোক কি বলেন সুধাদি ?
সম্মতিসূচক ঘাড় নেড়ে ভুবনবাবু আর সাধনাকে একটু পাশে ডেকে নিয়ে যান সুধাদেবী। তারপর হাত থেকে চার গাছা চুড়ি খুলে ভুবনবাবুর হাতে তুলে দিয়ে বলেন , আমার তো আর এই টুকুই সম্বল। জানিনা এতে কতদুর কি হবে ? যদি কোন ভাবে ধারদেনা করে যোগাড় করতে পারো দেখো।তাবলে কৃপণতা করার দরকার নেই।প্রভাত বেতন পেলে সব মিটিয়ে দেব। আর না হলে চুড়ি গুলো বিক্রি করে নমো নমো করে সেরে দিও।
নমো নমো করে সেরে দিলে আমার আক্ষেপ নেই। কিন্তু কাজটা তো তুমিই করছো। তোমাকে এখানে পাঁচজনকে নিয়ে চলতে হয়। তোমার যাতে নিন্দা না হয় সেই জন্যই আমার এত দুশ্চিন্তা।
সুধাদির কথা শুনতে শুনতে চুড়িগুলো হাতে নিয়ে কেমন যেন হতভম্ভ হয়ে গিয়েছিলেন ভুবনবাবু। সম্বিৎ ফিরতেই সেগুলো সুধাদির হাতে ফিরিয়ে দিয়ে বলেন , তুমি আমার নিন্দার কথা ভেবে এত চিন্তিত হচ্ছো? আর তোমার চুড়ি নিয়ে ভোজ করলে আমি বুঝি খুব শান্তি পাব ? না লোকে শুনলে বুঝি খুব সুখ্যাতি করবে আমাকে ? আসলে দিদি এখনও তুমি আমাদের আপন ভাবতে পারলে না। সেই সামর্থ্য নেই ঠিকই , কিন্তু তাই বলে আমাদের বাড়িতে প্রভাতের বিয়ে হবে আর তার জন্য তুমি হাতের চুড়ি খুলে দেবে , আর আমরা হাত পেতে তা নেব তা তুমি ভাবলে কি করে ? আগেই তো বলেছি প্রভাত আমাদের বড়ো ছেলের মতো। আয়োজনের বাহুল্য করার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই ঠিকই কিন্তু বড় ছেলের বিয়ে নমো নমো করেও সারব না।
ভুবনবাবুর কথার পিঠে আর কিছু বলতে পারেনা সুধাদেবী। চুড়ি চার গাছা নিয়ে আবার সুধাদেবীর হাতে পড়িয়ে দেন সাধনা। তখন আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়ে তার চোখে।
( ক্রমশ )
No comments:
Post a Comment