( কিস্তি --- ৬১ )
পুরোপুরি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন ভূবনবাবু। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলে না তার। পার্টির ছেলেরা প্রায় দিনই বাড়িতে অপমান করে যায় তাকে। সাধনা তাদের হাত জোড় করে বলেন , এত অপমান সহ্য করতে করতে লোকটা তো মরে যাবে। আমি তোমাদের মায়ের মতো। তোমাদের কাছে হাত জোড় করে বলছি ওকে তোমরা বাঁচতে দাও।
ছেলেগুলো তার কথা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বলে , বুড়ো ভামটাকে বলুন না টাকাটা আমাদের দিয়ে দেবে। তাহলে আমরা আর জ্বালাতে আসব না।
কথাটা একদিন স্বামীর কাছেও পাড়েন সাধনা। কিন্তু ভুবনবাবুর সেই এক কথা -- জীবন থাকতে মানুষের কষ্টের টাকা আমি ওদের হরি ঘোষের গোয়াল করতে দিতে পারব না।
সাধনাও স্বামীর কথার যৌক্তিকতা উড়িয়ে দিতে পারেন না। আবার ছেলেগুলোর অত্যাচারও অসহনীয় হয়ে উঠে।চরম দোটানায় পড়েন সাধনা। কি করবেন , কোথাই যাবেন কিছুই ভেবে উঠতে পারেন না। পরামর্শ দেওয়ার লোক পর্যন্ত পাশে নেই। ভুবনবাবু শয্যাশায়ী হয়ে পড়ার পর থেকেই সান্ধ্য আসরও আর বসে না। শাসকদলের বিষ নজরে পড়ার আশংকায় কিনা কে জানে অধিকাংশই আর এই দিক মাড়ায় না। দু 'একজন যারা আসে তারা লৌকিকতা দেখাতে আসে।
পাছে তারা বিড়ম্বনায় পড়ে বলে তাদের সঙ্গে কিছু আলোচনা করতে পারেন না সাধনা। তবে ডাক্তারকাকা নিয়মিত আসেন। ভুবনবাবুকে দেখে যান। একদিন সমস্যার কথা তাকেই বলেন সাধনা। কথাটা শুনেই চমকে ওঠেন ডাক্তারকাকা। রাগত স্বরে বলেন , এ যে দেখছি দুর্যোধনের রাজত্ব শুরু হল। এতদিন আমাকে বলো নি কেন ?
--- আপনাকে আর দুশ্চিন্তায় ফেলতে চাই নি। কিন্তু আর তো সহ্য করা যাচ্ছে না। বেছে বেছে মনোর স্কুলে থাকার সময়েই আসে ওরা। সেই সময় ছন্দাকে উদ্দেশ্য করে কুইংগিত করে। আমরা এখন কি করি বলুন তো কাকা ?
---- পুলিশ , প্রশাসনে গিয়ে কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না আমার। ওদের উপর মহলের নেতাদের একবার বলে দেখা যেতে পারে। তাতেও যে বিশেষ লাভ হবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে একবার চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। চলো মা , আমিও তোমার সঙ্গে যাচ্ছি।কাল একবার ওদের দলের সদর দফতর থেকে ঘুরেই আসি।
সেই মতো পরদিন ডাক্তার কাকার সঙ্গে সিউড়িতে ওদের জেলা দফতরে পৌঁছোন সাধনা।পার্টির জেলা সম্পাদককে সমস্ত কথা খুলে বলেন তারা। সব শুনে মাথা নেড়ে চশমা চোখের ভদ্রলোকটি বলেন , এমন কাজ আমাদের দলের কারও হতেই পারে না। এ নিশ্চয় বিরোধীদের চক্রান্ত। তবু আপনারা যখন এসেছেন তখন ওখানকার স্থানীয় নেতৃত্বকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলছি। তারপর দেখছি কি করা যায়।
শাসক দলের জেলা সম্পাদকের কথা শুনে হাঁ হয়ে যান সাধনা। আরে বলছেন কি উনি ? যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদেরই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ? এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর কি'ই বা হতে পারে ? ডাক্তারকাকা বলেন , গোটা শাসনযন্ত্রটাই যে পচে গিয়েছে দেখছি।এভাবে প্রহসনের শিকার হতে হবে ভাবতে পারি নি। লাভের মধ্যে হয়রানিটাই সার হল।লাভের আরও কিছু বাকি ছিল সিউড়ি থেকে ফেরার তিন দিনের মাথায় সেটা মালুম পেলেন সাধনা। অন্যান্য দিনের মতোই সেদিন মনো স্কুলে বেড়িয়ে যেতেই রান্নাঘরে ব্যস্ত ছিলেন শাশুড়ি --বৌমা। ঠিক সেই সময় রে-রে করে দলবল নিয়ে বাড়িতে ঢোকে সুব্রত। তারপর সাধনাকেই সামনে পেয়েই খিস্তি খেউরের বন্যা বইয়ে দেয় তারা। সুব্রত এগিয়ে এসে বলে, এই হারামজাদী মাগী , সিউড়িতে কি তোর মায়ের ভাতার আছে ? আমাদের নামে লাগাতে গিয়েছিলি। আজ তোদের দুই শাশুড়ি বৌমাকে তুলে নিয়ে রেপ করে ছেড়ে দেব।
এতটা কল্পনাও করতে পারেন নি সাধনা। প্রতিকার চাইতে গিয়ে যে এই অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে তা ভাবতেও পারেন নি সে। প্রতিকার যে কিছু হবে না তা সেদিনই টের পেয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি যে আরও ভয়াবহ আকার নেবে তা কে জানত ? শাশুড়িকে হেনস্থা হতে দেখে ততক্ষণে রান্নাঘর ছেড়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ছন্দা। তাকে দেখে চোয়াড়ে চেহারার একটি ছেলে বলে , গুরু এ মাল যে দেখি রসে টসটস করছে। খেয়েও ফুরোবে না। চলো এটাকেই তুলে নিয়ে যায় , টাকা উসুল হয়ে যাবে।
ওদের কথা শুনে প্রমাদ গোনেন সাধনা। হাত জোড় করে বলেন , তোমাদের বাড়িতেও তো মা-বোন রয়েছে। আমরা তোমাদের মা-বোনেরই মতো। দোহাই তোমাদের এবারটির মতো আমাদের ক্ষমা করে দাও।
তার কথা শেষ হয় না। সুব্রত এগিয়ে এসে বলে , চোপ শালী।দুজনেই তুলে নিয়ে গিয়ে ম্যায়ফিল বসাব।
বলেই ছন্দার হাত ধরে টানতেই সজোরে তার গালে এসে পড়ে একটা চড়। চিৎকার শুনে অশক্ত শরীরে কখন ভুবনবাবু পিছনে এসে দাঁড়িয়েছেন কেউ টের পায় নি। স্বামীকে উঠে আসতে দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সাধনা। কিন্তু ভুবনবাবুর তখন কোনদিকে ভ্রুক্ষেপই নেই।রাগে কাঁপতে কাঁপতে তিনি তখন ফের আর একটা চড় তুলে বলতে থাকেন - কাপুরুষের দল , ক্ষমতার অহংকারে সাপের পাঁচ পা দেখছ না ? দ্রৌপদীকে অসম্মান করে কুরু রাজ্য শেষ হয়েছিল। তোরাও শেষ হবি। এত বড়ো আস্পর্ধা তোদের ? আমার সামনে তোরা আমারই বাড়ির লক্ষ্মীকে অপমান করবি আর আমি দাঁড়িয়ে দেখব ?
বলেই ফের চোয়াড়ে ছেলেটার গালে আরও একটা চড় বসিয়ে দেন ভুবনবাবু। ঘটনার আকস্মিকতায় ছেলেগুলো প্রথমে কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়ে। তারপরই স্বমূর্তি ধারণ করে। সুব্রতই প্রথমে একটা থাপ্পড় কসিয়ে দেন ভুবনবাবুর গালে। চোয়ারে ছেলেটাও চড় তোলে। কিন্তু সেটা মারার আগেই ভুবনবাবু মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ছেলে গুলো চম্পট দেয়।সাধনা আর ছন্দা চোখে মুখে জলের ছিটে দিতেই জ্ঞান ফেরে ভুবনবাবুর।তাকে ধরাধরি করে শুইয়ে দেওয়া হয় বিছানায়।
শুয়ে শুয়ে কড়িকাঠের দিকে ভাবলেশহীন দৃষ্টিতে চেয়ে থাকেন তিনি। তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে জলের ধারা। সেটা দেখে সাধনা আর ছন্দা চোখের জল ধরে রাখতে পারে না। নিজেকে সামলে নিয়ে সাধনা বলেন , যা দেখি মা রান্নাবান্না কতটা কি বাকি আছে সেরে নিতে পারিস কিনা দেখ তো। আমি ততক্ষণ তোর বাবার কাছে একটু বসি।
ঘাড় কাত করে ছলো ছলো চোখে রান্নাঘরের দিকে চলে যায় ছন্দা। সেটা দেখে যন্ত্রনায় বুকটা টনটন করে উঠে সাধনার। দুটো নোংরা হাতের স্পর্শ মেয়েটার মনে বড়ো দাগা দিয়েছে। তাই তার বুকে কান্না জমাট বেঁধে রয়েছে। এদিকে অপমানের জ্বালায় স্বামীর চোখ দিয়ে জল গড়িয়েই চলেছে। কাকে ছেড়ে কাকে সামলাবে ভেবে পায় না সাধনা। স্বামীর পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে সান্ত্বনা দেন তিনি -- তুমি যদি অত ভেঙেপড়ো তাহলে আমরা কি করে থাকি বলো তো ? যা হয়েছে সব ভুলে যাও।
সাধনার কথা শেষ হয় না।তার হাতে জড়িয়ে ধরে বাচ্চা ছেলের মতো কেঁদে ওঠেন ভুবনবাবু। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলেন , ভুলতে পারছি না গো , কিছুতেই ভুলতে পারছি না।এত অপমানও আমার কপালে লেখা ছিল ? মনোর বয়সী ছেলেগুলো আমাকে চড় মারল ! বাইরে গেলে শুনতে হচ্ছে চোর অপবাদ। বাড়িতে এই অত্যাচার। এর থেকে মরে যাওয়া ভাল।
হাত দিয়ে স্বামীর মুখ চাপা দিয়ে সাধনা বলেন , ও কি অলুক্ষণে কথা ? ওই সব কথা ছাড়ো তো। স্নান করে একটু ঘুমোও তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
সেই মতো স্বামীকে স্নান করিয়ে দেন সাধনা। ছন্দা ভাত খাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু খাওয়ার গিলতে পারেন না ভুবনবাবু। ঘুমোতেও পারেন না। তার চোখে মুখে কেমন একটা অস্থিরতা কাজ করে। বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে সব শুনে প্রচণ্ড রেগে ওঠে মনোতোষ।থানায় যাওয়ার উপক্রম করতেই ছেলেকে কাছে ডেকে বসান ভুবনবাবু। কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর বলেন , থানায় গিয়ে ফের শত্রুতা বাড়ানো ছাড়া আর কোন লাভ হবে না। যে যুগে দুর্যোধন রাজা আর মন্ত্রী হয় শকুনি সেই যুগে কার কাছে বিচার চাইবি তুই ? পুলিশ - প্রশাসন তোর কথার কোন গুরুত্বই দেবে না। ওদেরও দোষ দিয়ে লাভ নেই।পেশাগত বাধ্যবাধকতার কারণেই ওদের দাসত্ব করতে হয়। ওদের জায়গায় আমরা থাকলে হয়তো আমরাও এই রকমই করতাম। এই পরিস্থিতিতে নিজের লড়াইটা তাই নিজেকেই লড়তে হবে। তুই আমার পায়ে হাত রেখে কথা দে যাই ঘটুক না কেন তুই পুলিশ প্রশাসনের কাছে ছোটাছুটি করে শত্রুতা বাড়াবি না। বলেই ছেলের হাতটা নিজের পায়ের উপর চেপে ধরেন ভুবনবাবু। বাবার ব্যগ্রতায় কথা দিতে হয় মনোতোষকে। তারপর ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ভুবনবাবু বলেন , তোর এত মাথা গরম করলে চলে ? আমি যেদিন
থাকব না সেদিন তো তোকেই তোর মায়ের , ছন্দার দায়িত্ব নিতে হবে বাবা।
ওই কথা শুনেই সাধনার মতোই বাবার মুখে হাত চাপা দিয়ে বলে , বাবা তুমি ওইরকম কথা বলবে না। আমার খুব কান্না পায়।
মনোতোষকে যেন সেই ছোট্টটি মনে হয় ভুবনবাবুর। তার কিম্বা সাধনার জ্বরজ্বালা কিছু হলেই কেঁদে ভাসাত। ছেলেকে আরও খানিকটা কাছে টেনে নিয়ে বলেন , মনো তোর সেই ছোট্টবেলায় ঘুড়ি ওড়ানোর কথা মনে আছে ?
---- হ্যা , তুমি রামপুরহাট থেকে লাটাই সুতো আর ঘুড়ি এনে দিয়েছিলে।
---- সেটা নিয়ে তুই চেন-দীঘির মাঠে ঘুড়ি ওড়াতে যেতিস। মাঝ আকাশে উঠে ঘুড়িটা যখন স্বচ্ছন্দে উড়ত তখন তোর বাড়ি ফেরার সময় হয়ে যেত। কিন্তু ঘুড়িটার তখন মাঝ আকাশেই উড়তে ইচ্ছে করত। কিন্তু তোর সুতোর টানে তাকে আস্তে আস্তে নীচে নেমে আসতেই হত। আমরাও এক - একটা ঘুড়ি।ভগবান লাটাইয়ে সুতো বেঁধে ছেড়ে দিয়েছেন। আর আমরা এখানে উড়ে বেড়াচ্ছি। ভগবানের সময় হলেই সুতো গুটিয়ে তুলে নেবেন। তখন আর আমাদের কারও কিছু করার থাকে না।
কথা বলতে বলতেই আবার ভিজে যায় ভুবনবাবুর চোখ। বাবার চোখের জল মুছিয়ে দিতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে ছেলে। সাধনা আর ছন্দাকেও সংক্রামিত করে সেই কান্না।সেটা লক্ষ্য করেই ভুবনবাবু বলেন , ওরে আর মন খারাপ করে বসে থাকিস না। ছন্দা যা দেখি মা হারমোনিয়াম আর তবলাটা বের করে নিয়ে আয়। একটু গান বাজনা হোক।
স্বামীর কথা শুনে বিস্মিত হন সাধনা। এই পরিস্থিতিতেও গানের কথা মনে এলো মানুষটার ! আসলে মানুষটা চিরদিনই ওই রকম। মন খারাপ থাকলে গানেকে আশ্রয় করেই সান্ত্বনা খুঁজে নেন। আজও তাই বোধ হয় গানের মাধ্যমেই উতলা মনটাকে শান্ত করতে চাইছেন। মনো আর ছন্দা ততক্ষণে তবলা আর হারমোনিয়াম নিয়ে বসে পড়েছে। তাদের দেখে
স্মিত হাসি ফোটে ভুবনবাবুর মুখে।ছন্দার দিকে চেয়ে বলেন , ধর দেখি মা সেই গানটা। ছন্দার বুঝতে অসুবিধা হয় না তিনি কোন গানের কথা বলছেন। মন খারাপ থাকলে কাকু ওই গানটাই শুনতে চান। সেই মতো ছন্দা গেয়ে ওঠে --
" ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু
পথে যদি পিছিয়ে পড়ি কভু।।
এই যে হিয়া থরো থরো কাঁপে আজি এমন তরো,
এই বেদনা ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু।।
এই দীনতা ক্ষমা করো প্রভু,
পিছন পানে তাকাই যদি কভু।।
দিনের তাপে রৌদ্র জ্বালায়, শুকায় মালা পূজার থালায়,
সেই ম্লনতা ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু ।।"
সাধনার সঙ্গে গলা মেলান ভুবনবাবুও। বাদ যায় না মনোতোষও। তারপর একটার পর একটা গানের সুরের মুর্ছনায় কেটে যায় সমস্ত গ্লানি , অপমানের জ্বালা। ভুবনবাবুর মুখে যেন ফুটে ওঠে স্বর্গীয় দীপ্তি। গানের আসর ভাঙতে রাত অনেকখানিই গড়িয়ে যায়। সাধনা ভুবনবাবুকে ঘরেই খাবার এনে দিতে বলেন ছন্দাকে।কিন্তু ভুবনবাবু বলেন , চলো আজ একসঙ্গে বসেই খায়।
স্বামীর কথা শুনে খুব ভাল লাগে তার। স্বামী দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠছেন বলেই মনে হয় তার। চারজনে গোল হয়ে খেতে বসেন তারা। খেতে খেতে সেদিন কত গল্প গুজব হয়।
কত সুখ, দুঃখের স্মৃতিচারণ করেন ভুবনবাবু।খাওয়া শেষ হতেই অবশ্য ঘরে চলে যান ভুবনবাবু। সেটা দেখে সাধনা বলেন , ছন্দা মা যা তো তোর কাকুকে ঘুমের ওষুধটা খাইয়ে , মশারিটা খাটিয়ে দিয়ে আয়। আমি এদিকটা গুটিয়ে নিয়ে আসছি। সাধনার নির্দেশ পালন করে ফিরে আসে ছন্দা। সাধনা যখন ঘরে যান তখন ঘুমিয়ে পড়েছেন ভুবনবাবু। ঘুম ভেঙে যেতে পারে বলে খুব সন্তর্পণে স্বামীর পাশটিতে শুয়ে পড়েন সাধনা। ভোর হতে না হতেই ঘুম ছুটে যায় সাধনার।
( ক্রমশ )
No comments:
Post a Comment