( কিস্তি --- ৭২)
জলে ভিজে যায় সুস্মিতার চোখ। বাড়ি ফিরে কাউকে কিছু বলতে পারে না সে। শুধু দাদাকে সান্ত্বনা দেয়। মনোতোষ আর ছন্দাও ছেলেকে সান্ত্বনা দেন। সান্ত্বনা ছাড়া তো আর কিছু দেওয়ার নেই তাদের। এখন সময় পেলেই ছেলেকে নিয়ে বসেন মনোতোষ। ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো বিভিন্ন মনীষীর জীবনের কাহিনী শোনান। সেই সব শুনতে শুনতে যেন আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় সূর্য। ছেলের গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বাবা বলেন , মনে জোর রাখ ভেঙে পড়িস না। মনে রাখবি চাকরি পাওয়াটাই জীবনের একমাত্র মোক্ষ লাভ নয়।
নানা ভাবে ছেলেকে সঙ্গ দেন মনোতোষ। সূর্যই এখন তাকে সাইকেলে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আসে। আবার ছুটির সময় গিয়ে নিয়েও আসে।কিন্তু তাতেও বিড়ম্বনার শেষ নেই।মানুষের কথার হুল থেকে ছেলেকে রক্ষা করতে পারেন না মনোতোষ। উপযাচক হয়ে সবাই এগিয়ে এসে বলে , মাস্টারের ছেলে মাস্টার হয় শুনেছি। তোমার বাবাও তো মাস্টার ছিলেন। কিন্তু তোমার ছেলেটা তো দেখছি ধম্মের ষাঁড় হয়ে উঠল গো। ও তোমার হোমেও লাগবে না , যজ্ঞিতেও লাগবে না।
ওইসব কথা শুনে খুব বিব্রত হয়ে পড়েন মনোতোষ। লোকগুলোকে বলতে ইচ্ছে করে তার ছেলে নিজের যোগ্যতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেষ্ঠ ডিগ্রি অর্জন করে বসে আছে। সামর্থ নেই বলে তার বাবা তাকে চাকরি কিনে দিতে পারেন নি।কিন্তু কিছুই বলতে পারেন না। মনের কথা মনেই চেপে রেখে ছেলেকে বলেন , ওদের কথা কানে তুলিস না। এই ব্যর্থতার দায় তোর নয় , তোর মতো একটা ব্রাইট ছেলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পারার ব্যর্থতা রাষ্ট্রের।লজ্জা রাষ্ট্রনায়কদের।
সূর্য বাবার কথা চুপ করে শোনে। কোন উত্তর করে না। অমন প্রনোচ্ছল ছেলেটা কেমন যেন চুপ-চাপ হয়ে যায় ছেলেকে দেখে খুব কষ্ট হয় মনোতোষের। তার মুখের দিকে ভালো করে তাকাতে পর্যন্ত পারেন না। নিজেকেই অক্ষম বলে মনে হয় তার। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাকে মেনে এবং মানিয়ে নিতে না পারার অক্ষমতা , আপোষ করতে না পারার অক্ষমতা , সর্বোপরি আর্থিক অক্ষমতার জ্বালা তাকে অহরহ কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।তার জন্যই ছেলের চাকরি হলো না , তার জন্যই ছেলের প্রেমিকা ছেড়ে চলে গেল , সব কিছুর জন্য নিজেকেই দায়ি মনে হয় তার। নিজেকে বড়ো অপরাধী লাগে মনোতোষের। লেখাপড়া - গানের মাধ্যমে নিজে এবং ছেলেকে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু মানুষ তাদের কিছুতেই ভুলে থাকতে দেয় না।খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আরও রক্তাক্ত করে তোলে।
একদিকে যখন তিনি ছেলের ব্যাথায় প্রলেপ দেন তখন কিছু মানুষ নির্মম ভাবে খুঁচিয়ে ক্ষতটাকে আরও বাড়িতে দেয়।তাতে এক ধরনের পৌশাচিক আনন্দ লাভ করে সমাজের কিছু মানুষ।সেদিন খুঁকী তো সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেল।কয়েকদিন আগেই ছেলে চাকরি পেয়েছে।তাই খুঁকীর চলনে বলনে অহঙ্কারের ছাপ স্পষ্ট।হাতে একটা বিয়ের কার্ড নিয়ে এল।সেটা ছন্দার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে , গঙ্গাজল বৈশাখ মাসেই রজতের বিয়ে লেগে গেল।তোমাদের সবার নিমন্ত্রণ , আসতেই হবে কিন্তু।
সূর্যকে ছেড়ে রজতের সঙ্গে শ্রাবন্তীর মেলা মেশার কথা কানাঘুষোয় শুনেছিল ছন্দা। তাহলে কি তার সঙ্গেই বিয়ে ? কার্ডটা খুলে সেটা দেখার উপক্রম করতেই খুঁকী বলে উঠে , বিয়ের কথা আর বোল না।চাকরির নিয়োগপত্র এসেছে কি আসে নি , ও পাড়ার সৌমেন আর তার স্ত্রী রীনা বাড়িতে গিয়ে যাকে বলে একে বারে ঝোলা-ঝুলি শুরু করে দিল। রজতকে নাকি ওদের খুব পচ্ছন্দ , ওদের একমাত্র মেয়ে শ্রাবন্তীর সঙ্গে বিয়ে দিতেই হবে।আমরা যত বলি একটু ভেবে দেখি , ওরা তত বলে ভাবাভাবির কিছু নেই। গয়না-গাটি, আসবাব পত্র সহ নগদ চৌদ্দ লক্ষ টাকা দেবে। আমরা ভেবে দেখলাম রজতের চাকরির জন্য দেওয়া টাকাটা তো ঘরে ঢুকছেই। হাতে হাতে পাঁচ লক্ষ টাকা লাভও হচ্ছে। তার উপরে ওদের একমাত্র মেয়ে। বিয়ের পর সব তো মেয়ে জামাই পাবে। তাই আর না করতে পারি নি।তখন তোমাদের কত করে বললাম , তা কানে করলে না। আজ তোমারাও ছেলের বিয়ে দিয়ে আসল উসুল করেও লাভের টাকা ঘরে তুলতে পারতে। চাকরি না হলে তো কেউ অত টাকা পণ দেবে না ? বিয়েই দিতে চাইবে না মেয়ের বাবারা। যাই বল মনোদা তোমরা কিন্তু বোকামিই করলে।
নাগাড়ে কথাগুলো বলে যেমন এসেছিল তেমনই চলে যায় খুঁকী।তার গমন পথের দিকে তাকিয়ে কথা হারিয়ে ফেলেন মনোতোষ। ছন্দা গঙ্গাজলকে চা খাওয়ার কথা বলতেও ভুলে যায়। কখন যে সেখানে সূর্য এসে দাঁড়িয়েছে তা তারা কেউ টের পান নি। সামনে দাঁড়িয়ে সে তখন নতমুখে পায়ের নখ দিয়ে মাটি খুঁড়ে চলেছে। অক্ষমতার জ্বালায় তার বুকটা যেন পুড়ে খাঁক হয়ে যাচ্ছে। স্রেফ বাবার টাকার জোরে চাকরী কিনে সহপাঠী তারই প্রেমিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে বিয়ে করতে চলেছে। এ যে কতো বড়ো জ্বালা , তা যারা জ্বলে তারাই জানে। বিয়ের কথাটা শোনার পর থেকেই কেমন যেন অপ্রকৃতস্থ হয়ে পড়ে সূর্য। কথাবার্তাও অসংলগ্ন হয়ে পড়ে তার। কিছুতেই সে ভুলতে পারে তার বাল্যপ্রেম। ভাবতেই পারে না তার প্রেমিকার গলায় মালা পড়িয়ে নিয়ে চলে যাবে অন্যজন। রাগে, দুঃখে সে কুটিকুটি করে ছিঁড়ে ফেলে শ্রাবন্তী--রজতের বিয়ের কার্ড।
না, যেমন করেই হোক শ্রাবন্তীকে আটকাতে হবে।যে কোন ভাবে তাকে চাকরি একটা যোগাড় করতেই হবে।চাকরির খোঁজে উদভ্রান্তের মতো হন্যে হয়ে সরকারি দফতরে দফতরে ঘুরে বেড়াতে শুরু করে সূর্য। কিন্তু কোথাও কোন আশার আলো দেখতে পায় না। ক্রমেই এগিয়ে আসে শ্রাবন্তীর বিয়ের দিন। আরও অস্থিরতা বেড়ে যায় সূর্যর।শ্রাবন্তীকে দেখতে খুব ইচ্ছা করে তার।একদিন সব মান অপমান ভুলে বড়ো আশা নিয়ে সে ছুটে যায় শ্রাবন্তীর কাছ।শ্রাবন্তী তখন রজতের সঙ্গে গল্পে মশগুল।দূর থেকেই খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল তাকে।একটিবার তাকে ছুঁয়ে দেখতে খুব ইচ্ছে করছিল তার। কিন্তু তাদের মাঝে যে এখন লক্ষ যোজন দুরত্ব। সেই দুরত্ব অতিক্রম করে শ্রাবন্তীর কাছে কি করে পৌঁছোবে সে ? অথচ কিছু দিন আগে এই মেয়েটাই তার কতো কাছের , কতো আপন ছিল ! দমকা ঝড়ে তাকে যেন অনেক দূরে সরিয়ে দিল। তাকে দেখেই ভ্রু কুঁচকে যায় শ্রাবন্তীর।দরজার বাইরে থেকেই সূর্য বলে , শ্রাবন্তী প্লিজ আমাকে আর কয়েকটা দিন সময় দাও।আমি ঠিক একটা চাকরি যোগাড় করব।
একরাশ বিরক্তি ঝড়িয়ে শ্রাবন্তী বলে , তুমি চাকরি পেলে না পেলে তাতে আমার কি এসে যায় ? তোমার সঙ্গে আমার কিসের সম্পর্ক ? কয়েকদিন পরেই আমার বিয়ে।তুমি এখন এখানে কি জন্য এসেছো ? যাও তো এখান থেকে।
শ্রাবন্তীর মুখে বিয়ের কথা শুনে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারে না সূর্য। ঘরের ভিতরে ঢুকে শ্রাবন্তীর হাত ধরে বলে ,এমন কোর না লক্ষ্মীটি তাহলে আমি পাগল হয়ে যাব।
তার কথা শেষ হয় না।রজতের একটা থাপ্পড় এসে পড়ে তার গালে।তারপর তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাড়ির বাইরে ঠেলে ফেলে দিয়ে রজত বলে , রাসকেল তোর সাহস তো কম নয়। আমারই সামনে তুই আমার হবু বৌয়ের গায়ে হাত দিস। এরপর দেখলে হাত কেটে নেব।
রজতের পাশে দাঁড়িয়ে সূর্যর গায়ে এক দলা থুতু ফেলে দিয়ে মুখের উপর সশব্দে দরজা বন্ধ করে দেয় শ্রাবন্তী। আচমকা চড় খেয়ে মাথাটা ঝিম ঝিম করে উঠে সূর্যর।সে টের পায় ঠোঁট কেটে রক্ত ঝরছে।তার মনে পড়ে যায় সুরমতীর নদীর সেই নিরালা দুপুর , বুড়ো শিবের থান , ধরণী পাহাড় , এমন কি এই বাড়ির ওই সাজানো ড্রয়িং রুমেই শ্রাবন্তীর মুখোমুখি বসে হাত ধরে কেটে গিয়েছে কত ক্ষণ, কত মুহুর্ত।আর আজ সেই শ্রাবন্তীর হাত ছোঁওয়ার কোন অধিকার নেই তার।
জলে ভরে উঠে তার দুই চোখ। কান্না আর রক্তে মাখামাখি হয়ে বাড়ি ফেরে সূর্য। ছেলের ওই অবস্থা দেখে আঁতকে উঠেন ছন্দা।পড়া ফেলে ছুটে আসে সুস্মিতা। কি হয়েছে তাদের আর বুঝতে বাকি থাকে না।কিন্তু সূর্যের কষ্টের কথা ভেবে কেউ কোন কথা বলতে পারে না। শুশ্রষা করতে করতে কেঁদে ভাসায় মা, মেয়ে। মনোতোষও দীর্ঘশ্বাস লুকোতে পারেন না।
নির্ধারিত দিনেই বিয়ে হয়ে যায় শ্রাবন্তীর।তারপর থেকেই সূর্য যেন ঘোরের মধ্যে থাকে।তার চাকরি খোঁজার প্রবনতা আরও বেড়ে যায়। ততদিনে সবার মুখ চেনা হয়ে উঠেছে সে। তার অপ্রকৃতিস্থতা নিয়ে কত জনে কত রকম মজা করে। ওই ভাবেই সে একদিন পৌঁচ্ছে যায় স্কুল পরিদর্শকের দফতরে।পরিদর্শককে বলে , স্যার বাবার তো বয়েস হয়ে গিয়েছে। কয়েক মাস পরেই অবসর নেবেন। বাবার চাকরিটা আমায় দিন না স্যার।
সব শুনে পরিদর্শক বলেন , সেরকম তো কোন নিয়ম নেই।তবে কর্মরত অবস্থায় বাবার মৃত্যু হলে ছেলে বা পরিবারের কেউ চাকরি পেতে পারে।
কথাগুলো শুনে কেমন যেন গুম মেরে যায় সূর্য।তারপর থেকে হাতের কাছে যাকেই পাই তাকে ধরে ধরে বলে , জানো তো এ সময় বাবা মারা গেলেই চাকরিটা আমি পেয়ে যাব। ডি ,আই আমাকে বলেছে জানো। তখন কিন্তু আর আমাকে কেউ ধম্মের ষাঁড়, কোন কম্মের নয় বলতে পারবে না দেখো।
কথাটা মনোতোষের কানেও যায়।তার মনে পড়ে যায় বন্ধু মানসের কথা। মানসও শিক্ষকতা করত।টেনেটুনে সংসার চলত তাদের। মাথায় মাথায় বিবাহযোগ্য তিনটি মেয়ে।
ভালোভাবে বি,এ পাশ করেও একমাত্র ছেলে চাকরি পায় নি। বছর খানেক আর চাকরি ছিল। হঠাৎ একদিন কড়িকাঠে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে মানস।খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি।মানসের ছেলে অরুণ দুটো চিঠি তার হাতে তুলে দিয়েছিল।চিঠি দুটো মানসের মৃত্যুর আগে লেখা সুইসাইড্যাল নোট। চিঠি দুটো পড়ে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল সে।সেই চিঠি দুটো আজও তার মানসপটে অক্ষয় হয়ে আছে। একটা চিঠিতে মানস লিখেছিল ,
স্নেহের অরুণ,
আমি আত্মহত্যা করেছি তা কাউকে বলবি না ।ভোর হওয়ার আগেই আমার দেহ বিছানায় শুইয়ে চাদর ঢাকা দিয়ে দিবি। লোককে বলবি আমি হৃদরোগে মারা গিয়েছি।তাহলেই আমার চাকরি তুই পাবি।আমাকে ভুল বুঝিস না।এছাড়া তোদের বাঁচানোর আর যে কোন পথ আমার জানা ছিল না বাবা।দ্বিতীয় চিঠিটা ব্রজেন ডাক্তারকে দিবি। ও সেই মর্মে সার্টিফিকেট লিখে দেবে। তাহলে আর আমাকে দাহ করতে তোদের অসুবিধা হবে না। তোরা ভালো থাকিস।
ইতি
তোদের হতভাগ্য বাবা
দ্বিতীয় চিঠিটা ছিল জনৈক ডাক্তার বাবুর উদ্দেশ্যে লেখা।সেই চিঠিতে মানস লিখেছিল--
শ্রদ্ধেয় ডাক্তারবাবু ,
বছর খানেকের মাথায় আমি অবসর নেব। তারপর আমার পরিবার না খেতে পেয়ে মরবে।তাই আমার পরিবারকে বাঁচাতেই আমাকে এই পথ বেছে নিতে হল।ময়না তদন্ত ছাড়া ছেলেদের যাতে আমাকে পোড়াতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য তোমাকে হৃদরোগ বা ওই জাতীয় কোন রোগে মৃত্যু হয়েছে বলে সার্টিফিকেট লিখে দিতে হবে।আত্মহত্যা করে মৃত্যু হলে ছেলে চাকরিটা পাবে না। তাহলে যে আমার মরাটাই বৃথা হয়ে যাবে। আমি মরেও শান্তি পাব না। আমার শেষ অনুরোধটা তুমি যেন রেখো ভাই।
ইতি
' হতভাগ্য মানস '
বলাবাহুল্য মানসের নির্দেশ মতোই সব কিছু হয়েছিল। বছর খানেকের মাথায় কর্মরত অবস্থায় মৃত কর্মীর পুত্র হিসাবে তার ছেলে অরুণ শিক্ষকতার চাকরিও পায়।হৃদয় বিদারক ঘটনাটার কথা আজও ভুলতে পারেন মনোতোষ।ছেলের কথায় ফের তাকে আরও একবার নাড়িয়ে দিল।একদিন মনোতোষকেও সে সরাসরি বলে, জানো বাবা তুমি মরে গেলে আমি আর বেকার থাকব না। তুমি কবে মরবে বাবা ?
শুনে মনোতোষ হেসে সস্নেহে ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলেন , সেটা হলে তো ভালোই হয় রে।
ছন্দা শুনে বলেন , সূর্য ওকি অলুক্ষণে কথা। ছি বাবা ওরকম বলতে নেই।
মনোতোষ বলেন , ওর কথা বাদ দাও ছন্দা। ওকি জানে কি বলছে ও।লোকেই ওর মাথাটা খারাপ করে দিল।
ছেলেমেয়েকে কাছে বসিয়ে বলেন , আয় সেই গানটা করি।
তারপর গলায় গলা মিলিয়ে তার গেয়ে ওঠে "তুমি নির্মল করো মঙ্গল করো মলিন মর্ম মুছায়ে "। এক অদ্ভুত আবেশ ভুলিয়ে দেয় সব কিছু।তারপরই সেই অভিশপ্ত দিনটা আসে।
( ক্রমশ )
No comments:
Post a Comment